| আজকের দিনে |
 • ১৯২৫: ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার ঋত্বিক ঘটক। ১৯৫০ সালে নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ ছবিতে সহ-নির্দেশক ও অভিনেতা হিসাবে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ। তিনি মোট ৮টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছায়াছবি এবং কিছু স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ও তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। তাঁর প্রথম বাণিজ্যিক ছবি ‘অযান্ত্রিক’। |
|
|
| হপ্তা জুড়ে... |
| শনিবার |
রবিবার |
পাক্ষিক |
 |
 |
 |
 |
 |
 |
|
ডাকাতি হচ্ছে খবর পেয়ে দু’জন কনস্টেবল নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কল্যাণী থানার এক টহলদারি অফিসার। কিন্তু তাঁর হাতে ছিল কেবল একটি ছ’ঘরার রিভলভার। সঙ্গী কনস্টেবলদের হাতে ছিল শুধু লাঠি। ডাকাতেরাও পাল্টা গুলি ছুড়তে শুরু করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই অফিসার বুঝতে পারেন, এই ভাবে বেশিক্ষণ চালানো যাবে না। তিনি আরও বাহিনী চেয়ে খবর দেন থানায়। আই সি তুষার কর তখন আরও দু’জন রাইফেলধারী কনস্টেবল এবং এসআই সুজিত ভৌমিককে (৫৮) নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শনিবার কালীপুজোর রাত তিনটে নাগাদ কল্যাণী
শিল্পাঞ্চলের একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানার সামনে তখন দুষ্কৃতী আর পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কারখানায় লুঠপাট চালাতে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ দেখে তখন মুড়ি মুড়কির মতো বোমাও ছুড়ছিল তারা। উত্তেজনায় কাহিল হয়ে পড়েন সুজিতবাবু। পরে ব্যারাকে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। 
পুজোর রাতে মন্দির-মণ্ডপে গিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। সেই ফাঁকে রেল আবাসনে পরপর লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। চিত্তরঞ্জনে শনিবার রাতের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ বা আরপিএফের কোনও হেলদোল নেই। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডের সীমানার থানাগুলিকে জানানো হয়েছে।
ওই রাতে রেল আবাসনের দু’টি বাড়িতে তালা ভেঙে টাকা, গয়না-সহ নানা জিনিসপত্র লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও একটি বাড়িতে লুঠপাটের চেষ্টা হয়। কিন্তু আশপাশের লোকজন তা টের পেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে চোরেরা পালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও এ ভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে এই আবাসনে। কয়েক দিন আগে ৩৫ নম্বর রাস্তার একটি আবাসনে দরজার তালা ভেঙে চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। অথচ, বহু গেটে আরপিএফের পাহারা রয়েছে। একটি থানাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে চুরি হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন আবাসিকেরা। 
মাওবাদী এলাকার উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’ (আইএপি)-এ পরপর দুই আর্থিক বছরে ৬০ কোটি টাকার বরাদ্দ নিশ্চিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এক সঙ্গে এই অর্থ মিলবে না। ধাপে ধাপে ১০ কোটি করে ওই টাকা দেওয়া হবে। ৭৫ শতাংশ খরচের হিসাব দিতে পারলেই মিলবে পরের ধাপের টাকা। তা ছাড়া এ বার খরচের ক্ষেত্রে একটি শর্তও আরোপ করা হয়েছে। প্রাপ্য টাকার ১০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে হবে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই প্রকল্প রূপায়ণে পদক্ষেপ করা হবে।
মাও-উপদ্রুত এলাকায় উন্নয়নের লক্ষ্যে আইএপি শুরু করেছিল কেন্দ্র। ২০১০-১১ আর্থিক বছর থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়। প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, এই প্রকল্পে ‘চোখে দেখা যায়’ এমন প্রকল্প রূপায়ণ করতে হবে। অর্থাৎ পানীয় জল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, সেচ খাল প্রভৃতি কাজ করতে বলা হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া, আলোচনা সভা করা প্রভৃতি বিষয়ে প্রচুর টাকা খরচ করা হত। 
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গের মুক্তির দাবিতে রাজ্যপাল এমকে নারায়ণনের দ্বারস্থ হলেন মোর্চা নেতারা। রবিবার বিকালে দার্জিলিং রাজভবনে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি, দার্জিলিঙের বিধায়ক ত্রিলোক দেওয়ান ও কার্শিয়াঙের বিধায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা আধঘন্টা রাজ্যপালের সঙ্গে কথাও বলেন। সেখাই মোর্চার তরফে বিনয় তামাঙ্গের মুক্তির জন্য রাজ্যপালকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করা হয়। কার্শিয়াঙের বিধায়ক বলেন, “বিনয় তামাঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উনি অনশন করছেন। তিনি কোনও চিকিৎসা নিচ্ছেন না। প্রতিদিন ওঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হচ্ছে। তাই আমরা রাজ্যপালকে ওঁর মুক্তির বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছি।” বিধায়কের দাবি, “সব কিছু শোনার পর রাজ্যপাল বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। এরই পাশাপাশি, আমাদেরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি নিয়ে চিঠি লেখার জন্য বলেছেন।” 
