নত মস্তক...
কলকাতা মানে কি এখনও গঙ্গার ঘাট? যে নদীতে ভেসে যায় মোহনার দিকে নাম না-জানা এক জলযান। যে নদীর পাশে কোথাও বহ্নিমান চিতার পাশে ভবঘুরে, কোথাও সাতসকালে তেল মেখে পালোয়ানদের কুস্তি। আবার কোথাও নেই-আঁকড়া ভিখিরির ভিড়। কলকাতা মানে কি চক্ররেল, হাওড়া ব্রিজ, ফুলবাজার, টানা রিক্শা, ভোরের ট্রাম, ভিক্টোরিয়া, নন্দন-অ্যাকাডেমি-রবীন্দ্রসদন? কলকাতা মানে কি গড়িয়াহাটার মোড় আর তিরিশোর্ধ্ব বুড়ি পাতাল রেল?
নাকি কলকাতা সে সব ছাড়িয়ে আরও আরও দিগন্তে প্রসারিত এই ভুবনীকরণের দুনিয়ায়?
এ কলকাতা কি ফেসবুক-টুইটারের? এ কলকাতা কি রিপ্ড-অ্যাপার্ট জিন্স আর ট্যাঙ্ক টপের? এ কলকাতা কি সিসিডি-বরিস্তা-পাঁচতারার কফিশপের? এ কলকাতা কি এক্সপ্রেসওয়ের চলতি হাওয়ার পন্থী?
আসলে এই শহরে দুই কলকাতার এক আশ্চর্য সহাবস্থান। কবি তো কবেই বলেছিলেন, ‘এ কলকাতার মধ্যে আছে আরেকটা কলকাতা’। সেই দো-ধার কলকাতা নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার ইন্টারনেট সংস্করণের আনকোরা বিভাগ ‘কলeকাতা’।

এক প্রস্থ শেষ হয়ে গেলেও উৎসবের মরসুম এখনও চলছে। শরৎ শেষের বাতাসে হেমন্তের গন্ধ। ঘরের মেয়ে দুগ্গা স্বামীর ঘরে ফিরে যেতেই ফের তোড়জোড়
শুরু হয়েছে। দুর্গতিনাশিনীর পর এ বার শক্তির আরাধনা। এক দিকে যখন আলোর জোয়ারে ধুয়ে যাবে চরাচর, তখনই কালী-সাধনায় ব্রতী হবে ধরাধাম।
অমাবস্যার সে পুজো শেষে প্রতিপদ পেরিয়ে দ্বিতীয়া আসতেই ফের আর এক প্রস্থ আনন্দ— ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া, বাঙালির সাধের ভাইফোঁটা। যমের দুয়ারে
কাঁটার ব্যবস্থা করতে গিয়ে ভাইদের ট্যাঁকের হাল খারাপ হয়ে পড়লে দিদিরাই আবার উদ্ধারকর্তা। পুজো, বাজি পোড়ানো, খাওয়াদাওয়া,
দেওয়া-নেওয়ার বাইরে এই দুই উৎসবের নস্ট্যালজিক আন্তরিকতার দিকটাই তুলে ধরলেন শহরের এক ঝাঁক তারকা।
 
 
দিন আসে, দিন যায়, তার ফাঁকেই ইতিহাসে ঢুকে পড়ে তার চলাচলের খবর। পুরনো দিনের শহুরে খবর দিয়ে চেনা যায় এখনকার অতি পরিচিত শহরের অতীতটাকে, তার নাগরিক জীবনযাপন থেকে খেলাধুলো, সংস্কৃতি বা কূটকচালি থেকে রাজনীতির হাল। পঞ্চাশ বছর আগের কলকাতা শহরের গতিবিধি চিনতে
ফিরে দেখা
এই শহর জুড়ে নিরন্তর ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার মাত্র কয়েকটি হয়ে ওঠে সংবাদের শিরোনাম। ভাল আর মন্দ সেখানে হাত ধরাধরি করে আসে। শেষ তিরিশ দিনে প্রকাশিত শহরের সেরা শীর্ষ শিরোনামগুলি দিয়েই বোঝা যায় কেমন আছে এ শহর। কলকাতার হাঁড়ির হাল বুঝতে
শিরোনামে শেষ তিরিশ
 
রোজকার চলাফেরায় চোখে পড়ে না কত কিছু! অনেক কিছুই ঢাকা পড়ে যায় ব্যস্ত সর্বস্ব জীবনের আড়ালে। তবুও তো আছে তারা ‘বহাল তবিয়তে’। সেই আপাত লুকিয়ে থাকা ঐতিহ্যের সন্ধান পাওয়া যাবে এই বিভাগে। ‘মেট্রোপলিটন’ কলকাতার এক পারিবারিক দেউল: ঘোষাল পরিবারের দয়াময়ী দুর্গামাতা মন্দির নিয়ে এ সংখ্যার এই বিভাগ।
ফ্রেমবন্দি উত্সবের কলকাতা

এক বছরের প্রতীক্ষা চারদিনেই শেষ! তা আবার হয় নাকি! চলুন ফিরে দেখা
যাক উত্সবের সেই শুরুর দিনগুলি থেকে শেষ অবধি, নানা চোখের ক্যামেরায়।
 
আপনার মনে শহর কলকাতা ঠিক কেমন ভাবে জড়িয়ে আছে? শৈশব থেকে কৈশোর, তার পর থেকে আজ পর্যন্ত চেতনে-মননে
মিশে যাওয়া মন্দ-ভালর সাক্ষী এই তিলোত্তমা নগরীকে নিয়ে আপনার অনুভূতির কথা এক হাজার শব্দের মধ্যে লিখে পাঠান
নীচের ঠিকানায়। সঙ্গে আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, ছবি-সহ। মনোনীত লেখা প্রকাশিত হবে এই বিভাগে।
‘কলeকাতা’
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট কলকাতা ৭০০০০১
ই-মেল করুন
kolekata@abp.in
 

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player

 
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.