|
|
|
|
আপত্তি ইংরেজবাজারে |
কর বাড়ানোয় প্রশ্ন পুরসভায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
পুরকর বৃদ্ধি নিয়ে ইংরেজবাজার পুরসভা এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পুরসভা সূত্রের খবর, কর বৃদ্ধির আপত্তি জানিয়েছে ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার হেোল্ডিংয়ের বাসিন্দা পুরসভায় কর কমানোর আবেদন করেছেন। পুর নাগরিকদের পাশাপাশি পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলরও কর কমানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করায় সমস্যায় পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। চেয়ারম্যান বলেন, “স্টেট ভ্যালুয়েশন বোর্ডের প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরসভার কর নির্ধারণ করেছেন। হাতে গোনা কিছু হোল্ডিংয়ের পুরকরে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। ৩০ হাজার হোল্ডিংয়ের মধ্যে ১০হাজার হোল্ডিংয়ের বাসিন্দা আপত্তি জানিয়েছেন। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”
চেয়ারম্যান জানান, গত ২০০৮ সালের সমীক্ষা রিপোর্টের উপর মূল্যায়ন করা হয়েছে। মালদহ শহরেরে নেতাজি মোড়, রাজমহল রোড, মুকদমপুর, ১ নম্বর কলোনি, ৩ নম্বর কলোনি, পিরোজপুর এলাকায় জমির দাম এক কাঠা ১৫-২০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। তার পরেও মাত্র ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা প্রতি কাঠার সরকারি মূল্য ধরে কর ঠিক করা হয়েছে। তা নিয়েই বিরোধীরা আন্দোলন শুরু করেছে। বিরোধীরা মালদহ শহরের উন্নয়ন চান না। নতুন হিসাবে পুরসভায় বছরে ৫ কোটি ৩৪ লক্ষ ২৮১০ টাকা কর আদায় হবে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা শুভদীপ সান্যাল বলেন, “আমার কাছে অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কোন বাসিন্দার তিন মাসের কর ছিল ৯০ টাকা। তা হয়েছে ২৮৯০ টাকা। কোথাও কোথাও ১০-৩০ গুণের উপরে কর বাড়ানো হয়েছে। কর বাড়ানোর হার যদি ঠিকই থাকত তবে ১০ হাজার হোল্ডিংয়ের বাসিন্দারা কেন কর কমানোর জন্য আবেদন করেছেন। এতে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে।” চেয়ারম্যান জানান, ৮ নভেম্বর আবেদনকারীদের শুনানি হবে। সেই সময়ে কর নির্ধারণে ভুল বা অসঙ্গতি থাকলে মূল্যায়ন পর্ষদের আধিকারিকেরা বিবেচনা করবে। প্রতি দিন ৬০টি আবেদন পুনর্বিবেচনা করা হবে। তার পরে আশা করি সমস্যা হবে না। অভিযোগ, শহরের রাস্তাঘাট বেহাল। ফুটপাত দখল করে দোকান গজিয়ে উঠেছে। রাস্তায় বসছে অসংখ্য দোকান। ভ্যান এবং রিকশার দাপটে রাস্তা দিয়ে চলাফেরায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তার আলো নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। এ সব পরিষেবার দিকে নজর না দিয়ে পুরসভা কর বাড়িয়েছে। |
|
|
|
|
|