দীপাবলির আলোকেই শারদোৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন জগৎবল্লভপুরের পাতিহাল পঞ্চায়েতের পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা। এই পাতিহাল পঞ্চায়েতে নিজবালিয়া গ্রামে রয়েছে সিংহবাহিনীর মন্দির। সে কারণে এই পাঁচটি গ্রামে দুর্গাপুজো হয় না। তাই এই পঞ্চায়েতের নিজবালিয়া, গড়বালিয়া, বাদেবালিয়া, যমুনাবালিয়া এবং নিমবালিয়া গ্রামে মূল আকর্ষণ কালীপুজো।
পাঁচটি গ্রাম মিলিয়ে কালীপুজোর সংখ্যা প্রায় শতাধিক। নিজবালিয়া সূর্যোদয় সঙ্ঘের ৪১ তম বর্ষে থিম কেদারনাথ মন্দির। বাঁশ, কাঠ, থার্মোকল ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। অন্য দিকে, ৫১ তম বর্ষে নিজবালিয়া অমর সঙ্ঘও তৈরি করতে চলেছে উত্তরপ্রদেশের মন্দির। |
গড়বালিয়া প্রভাত সঙ্ঘের চমক হোগলার মন্দির। বাঁশ, কাঠ, দড়ি এবং হোগলা দিয়ে তৈরি হয়ে উঠছে মণ্ডপ। যমুনাবালিয়া নবোদয় সঙ্ঘের সর্বজনীন পুজোর ৭৫ তম বর্ষের থিম আগুনের উপর লোকনাথ। বাদেবালিয়া গ্রামের বালিয়া মিলন সঙেঘর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে জলের উপর রোমানিয়ান চার্চের আদলে। অন্য দিকে, বাদেবালিয়া ফুটন্ত গোলাপ ক্লাব সর্বজনীন মণ্ডপ তৈরি করছে ওড়িশার মন্দিরের আদলে। নিমবালিয়া বিদ্যুৎবাহিনী ক্লাব সর্বজনীন কালীপুজোয় এ বারের নিবেদন সাবেকি ঠাকুর দালান। নিমবালিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা অনুপ সাহা বলেন, “কালীপুজোয় দিনগুলিতে প্রতিটি মণ্ডপে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। মণ্ডপগুলিতে থাকে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মেলার আয়োজন।” |