|
|
|
|
বুড়ি মা কালীর মেলা শুরু চাঁচলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
শতাব্দী প্রাচীন বুড়ি মা কালীর মেলা শুরু হয়ে গেল। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের মোবারকপুর কালীতলায় রবিবার থেকে ওই মেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলবে ৪ দিন। এই পুজো শুরু করেন চাঁচলের রাজা। একই সঙ্গে শুরু হয়েছিল মেলাও। এখন পুজো হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে। এখানে দেবী বুড়ি মা কালী নামে পরিচিত। মোবারকপুরের দেবী প্রতিমার সঙ্গে মিল রয়েছে চাঁচলের বত্রিশকোলা ও রতুয়ার লস্করপুর এলাকার কালীর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই তিনটি কালী সম্পর্কে তিন বোন। মোবারকপুরের কালী বড় বোন। তাই এখানকার দেবী বুড়ি মা নামে পরিচিতি। চার দিন ধরে মেলায় শুধু চাঁচল হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া নয়, সংলগ্ন বিহার থেকেও বাসিন্দারা আসেন। এ মেলায় হাজির হন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। রাজ আমলের এই পুজো ও মেলা আজও সম্প্রীতির মেলা বলেই পরিচিত। দেবী প্রতিমার উচ্চতা ১২ ফুট। কিন্তু পুজো হয় খোলা আকাশের নীচে। হিমের হাত থেকে বাঁচতে শুধু মাথার উপর একটি চাঁদোয়া টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
বাসিন্দারা জানান, পুজো হয় স্থায়ী বেদিতে। সেই বেদিটিকে ঘিরে বহুদিন আগে বাসিন্দারা এক বার মন্দির তৈরির উদ্যোগ নেন। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। কথিত যে, দেবী এক বাসিন্দাকে স্বপ্নাদেশে জানিয়ে দেন, পুজো করতে হবে খোলা আকাশের নীচেই। যাতে বহু দূর থেকেও ভক্তরা দেবীকে দেখতে পায়। পুরনো নিয়ম মেনে দেবী প্রতিমা বেদীর পাশেই তৈরি করা হয়। পুজোর রাতে কয়েকশ পাঁঠা বলি দেওয়ার পুরনো সেই রীতি আজও রয়ে গিয়েছে। ভাসানের আগে জোড়া পায়রা বলি দিয়ে বুড়ি মায়ের জিভে রক্ত দেওয়া হয়। পুজোর রাত পোহাতেই জমে উঠতে শুরু করে চার দিনের মেলা। এর পাশাপাশি সারারাত ধরে চলে গানের আসরও। পুজো কমিটির পক্ষে নিকুঞ্জ সাহা বলেন, “বুড়ি মা কালী এলাকায় জাগ্রত দেবী হিসাবেই পরিচিত। তাই মনস্কামনা পূরণের জন্য দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন।” |
|
|
|
|
|