l
Bengali Magazines
l
Puja Barshiki Magazines
l
Bengali Movies
l
Bengali Food Recipes
l
Bangla Blogs
l
Bengali Online Radio
l
Sicily Villas
l
Registrar nombre del dominio
l
Domain Registration
মৃত্যু-নিকেতন
বিষ-ধোঁয়ায় দম আটকেই লড়াইয়ে ইতি
ঋজু বসু ও শুভাশিস ঘটক • কলকাতা
অশক্ত শরীরগুলো কোনও মতে ঠেলে বদ্ধ ‘মৃত্যুকূপ’ থেকে বেরোনোর আকুতিতে ছটফট করছে কয়েকটা অসহায় মুখ। ভিতরে ঢুকে তাঁদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা স্থানীয় যুবকদের ভিড়টাও একই রকম অসহায়। এ’দুয়ের মাঝখানে ‘প্রাচীর’ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুন ও ধোঁয়া দেখে এগিয়ে এসেছিলেন ঢাকুরিয়ার আমরি (এএমআরআই) হাসপাতালের লাগোয়া পঞ্চাননতলা বস্তির বাসিন্দারা। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ঢুকতে দেননি বলে ওই যুবকদের অভিযোগ। দমবন্ধ-করা ধোঁয়ার গন্ধে সংযুক্ত ভবনের (অ্যানেক্স বিল্ডিং) ঘুম ভাঙার পরে দু’-আড়াই ঘণ্টা এ ভাবেই পেরিয়ে গেল। তত ক্ষণ ‘উদ্ধারে’র আশায় মোবাইলে পাগলের মতো প্রিয়জনকে ফোন করে গিয়েছেন হাসপাতালের ভিতরে ‘বন্দি’ রোগীর দল।
বিস্তারিত...
দশ দিন আগেই শেষ দমকলের সময়সীমা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের যে বেসমেন্টে আগুন এবং তার পর বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসহায় মৃত্যু হল ৮৯ জনের, গত জুলাই মাসে দমকলের তরফে পরিদর্শনের পর সেই বেসমেন্ট পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আমরি কর্তৃপক্ষকে শুক্রবার জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) দময়ন্তী সেন। এ দিন দমকলের তরফে পুলিশে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতেই এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, গত ২৯ অগস্ট বলা হয়েছিল, বেসমেন্ট পরিষ্কার করার জন্য আমরি কর্তৃপক্ষকে ৯০ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে ২৯ নভেম্বর। এর মধ্যেই গত ৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি হলফনামায় জানান, তাঁরা ওই নির্দেশ পালন করবেন। কিন্তু এ দিনের ঘটনা থেকে স্পষ্ট, হলফনামা দিলেও সেই নির্দেশ মানার দরকার বোধ করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তেমনই পরিস্থিতি আবার খতিয়ে দেখেনি দমকলও! যা প্রকাশ্যে এল ৮৯টি প্রাণের বিনিময়ে।
বিস্তারিত...
দেহগুলো ছুড়ছেন কেন, কুকুর-বেড়াল নাকি
সোমা মুখোপাধ্যায় • কলকাতা
চাদরে মোড়ানো একটা শরীর প্রায় পায়ের উপরে এসে পড়ল। এএমআরআই হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়ের এক তলায় লিফটের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কয়েক মুহূর্তের জন্য শরীর অবশ হয়ে গেল। ততক্ষণে আশপাশের ভিড় আছড়ে পড়েছে দেহের উপরে। মুখের চাদর সরিয়ে সকলেই দেখে নিতে চাইছেন, দেহটি তাঁদেরই পরিবারের কারও কি না। বছর পঁচিশের ছিপছিপে যুবকটি তার আগে নাগাড়ে বলে চলেছিলেন, “আমার বাবাকে খুঁজে পাচ্ছি না। নিশ্চয় বেরিয়ে যেতে পেরেছে। আশেপাশেই আছে হয়তো।” কয়েক মুহূর্ত পরে কিছু একটা সন্দেহ হওয়ায় অন্যদের মতোই ঢাকাটা এক বার সরালেন তিনি। তার পরেই একটা তীক্ষ্ন চিৎকার। দুর্গাপুরের শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় শনাক্ত করলেন বাবা তুষারকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাবার মুখটা নিজের দু’হাতের মধ্যে নিয়ে তিনি গোঙাচ্ছিলেন। “তুমি তো তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে চেয়েছিলে!”
বিস্তারিত...
মৃতের তালিকা
চিন্তা করবেন না, বিমানের
হাত ধরে আশ্বাস মমতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
নজিরবিহীন ট্র্যাজেডি বেনজির ঐক্য এনে দিল রাজ্যের দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরে। ‘সহমর্মিতা’র ঐক্য। আর্ত, ভাগ্য বিড়ম্বিতদের ‘পাশে দাঁড়ানো’র ঐক্য। যে ঐক্যের ফ্রেমে ধরা পড়ল, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুর হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিচ্ছেন চিন্তা করবেন না। যে ঐক্যের ছবিতে উঠে এল, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক বার ঢাকুরিয়ার এএমআরআই হাসপাতাল, আর এক বার এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গের বাইরে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিচ্ছেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরে রাজ্য সরকার আজ, শনিবার শোক দিবস ঘোষণা করুক। আশ্বাস দিচ্ছেন সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের ‘সর্বাত্মক সহযোগিতার’। টুকরো টুকরো ঘটনার মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য নিঃসন্দেহে শুক্রবার মমতা-বিমানের মুখোমুখি সাক্ষাৎ। রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল নেত্রী এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের ‘সম্পর্ক’ কোনও বিশেষণে বাঁধা পড়ার অবকাশ রাখে না। বস্তুত, কোনও ‘সম্পর্ক’ই নেই দু’জনের।
বিস্তারিত...
কাচের জানলা ঠেলে খোলার চেষ্টা
করছিলেন ভদ্রলোক, নাকে মাস্ক
মুন্না আচার্য (রোগীর স্ত্রী)
প্রাণপণে কাচের জানলাটা ঠেলে খোলার চেষ্টা করছিলেন ভদ্রলোক। একা। নাকে অক্সিজেন মাস্ক। এএমআরআই হাসপাতালের চার তলা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টে। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় চোট পেয়ে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে এই হাসপাতালের চার তলার কেবিনেই ভর্তি আমার স্বামী শ্রীপদ আচার্য। স্বামীর পাশের কেবিনেই ছিলেন ওই রোগী। আমি তখন মরছি, স্বামীকে কী করে বাঁচাব সেই চিন্তায়। ওই ভদ্রলোককেই বললাম, ‘দাদা একটু ধরুন না। স্বামীকে নীচে নামাব’। উনি এক বার আমাদের দিকে দেখলেন। তার পরে আবার মরিয়ার মতো জানলাটা খোলার চেষ্টা করতে লাগলেন। এ বার চেঁচালাম, ‘নার্স, কেউ আছেন’? সবাই ব্যস্ত নিজের তালে। জানলা খোলার চেষ্টায় ব্যস্ত ওই রোগীকে বললাম, ‘জানলাটা ছাড়ুন। যে ভাবে হোক, নীচে চলুন’। আমরা আগরতলায় থাকি। রাত ফুরিয়ে সকাল হলেই স্বামীর ‘সিটি স্ক্যান’ হওয়ার কথা। ঘুমোচ্ছিলাম হাসপাতালের দোতলায় রোগীর আত্মীয়েরা যেখানে থাকেন, সেখানে। ঘুমটা ভাঙল এক ঝটকায়। আমাকে ঝাঁকাচ্ছিলেন এক আয়া। বলছিলেন, ‘আগুন লেগেছে।
বিস্তারিত...
হাতে স্যালাইন, বাঁচার আকুল আর্তি
তড়িৎ পুরকায়েত (স্থানীয় বাসিন্দা)
দু’চোখ যেন ঠিক্রে বেরিয়ে আসছিল মানুষটা! সেই ভয়ার্ত চোখে ছিল বাঁচার আকুল আর্তি। তিনতলার ধোঁয়ায় ভরা অন্ধকার ঘরটায় ঢুকে টর্চের আলো ফেলতে প্রথমেই চোখ পড়েছিল ওঁর দিকে। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। হাতে স্যালাইনের ‘চ্যানেল’। ওই অবস্থাতেই মাটিতে ঘষটে ঘষটে দরজার দিকে এগোনোর চেষ্টা করছেন। তাড়াতাড়ি ওঁকে কোলে তুলে নিয়ে ছুটলাম। পঞ্চাননতলা বস্তিতে আমার বাড়ির পাশেই এএমআরআই-এর পাঁচিল। রাত তখন আড়াইটে হবে। হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেল। বাইরে বেরিয়ে দেখি, হাসপাতালের আনাচকানাচ থেকে গলগলিয়ে বের হচ্ছে মিশকালো ধোঁয়া। ঢুকে পড়ছে বস্তিতেও। হাসপাতালের তিন-চারতলার জানলার ও-পাশ থেকে ঠিকরে আসা টর্চের আলোয় আবছা দেখতে পেলাম, জানলার কাচ ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। কিন্তু পারছেন না। বুঝলাম আগুন লেগেছে। পাশের বাড়ি থেকে দুই বন্ধু মনোজ ও রাজুকে ডেকে নিয়ে ছুটলাম হাসপাতালের গেটের দিকে। কিন্তু আটকে গেলাম মেন গেটের সামনে। গেট বন্ধ।
বিস্তারিত...
লোকপাল রিপোর্ট পেশ সংসদে, চলছে সংঘাতও
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
লোকপাল বিল নিয়ে যথা সম্ভব মতান্তর কমাতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আজ সংসদে রিপোর্ট পেশ করল ঠিকই। কিন্তু তাতেও যে এ ব্যাপারে শাসক-বিরোধী সংঘাতের বাতাবরণ কাটবে না, তা-ও আজ স্পষ্ট হয়ে গেল। একে তো স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে সুপারিশের সঙ্গেই বিরোধী দলগুলির আপত্তিসূচক নোট রয়েছে। তার ওপর অণ্ণা হজারে এবং তাঁর সহযোগীরা সেই রিপোর্ট এক কথায় খারিজ করে দিয়েছেন। অণ্ণাদের সঙ্গে সুর মেলাতে শুরু করেছেন বিজেপি-বামেরাও। সরকারের পূর্বতন লোকপাল বিলের সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সুপারিশের চরিত্রগত অনেক ফারাক রয়েছে। বিশেষ করে সরকারের বিলে প্রধানমন্ত্রীর পদকে লোকপালের আওতায় রাখার বিষয়টি ছিল না। কিন্তু স্থায়ী কমিটি এ ব্যাপারে তিনটি বিকল্প দিয়ে সংসদের ‘শুভবুদ্ধির’ ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ জানিয়েছে। সেগুলো হল, এক, প্রধানমন্ত্রীর পদকে লোকপালের আওতায় না রাখা। দুই, কিছু রক্ষাকবচ-সহ রাখা। তিন, প্রধানমন্ত্রীর পদ লোকপালের আওতায় থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে, সেই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর।
বিস্তারিত...
দ্বিতীয় সংস্করণ
কলকাতা
‘একটু আগে খবর পেলেও
বাঁচানো যেত অনেককে’
হেরিটেজ এলাকার হোর্ডিং
ভাঙায় স্থগিতাদেশ কোর্টের
দেশ
আবার অবরোধের পথে
মণিপুরের নাগা ও কুকিরা
রক্ষণাবেক্ষণ করবে রাজ্য
ব্যবসা
মনমোহনের ‘সমালোচনা’
নয়া অস্ত্র বিজেপির
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে জমি বাধা
হবে না, আশ্বাস মমতার
খেলা
অবনমন সামলাতে সিএবি-র
আস্থা সৌরভ মন্ত্রে
সেরা ম্যাচ খেলে সাফ
ফাইনালে ভারত
স্বাস্থ্য
দমকল-বিধির তোয়াক্কা
করে না হাসপাতালও
আগুন নেভানোর ব্যবস্থা
নেই বহু নার্সিংহোমেই
জীবজগত্
জরদা নদী সংস্কারে
উদ্যোগী পঞ্চায়েত
সম্পাদকীয়
এ কলঙ্ক মুছিবার নহে
দরকারি
কলকাতা
২৯.৪/১৭.৬
আজকের দিনে
•
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।
• ১৮৭৮:
স্বাধীন ভারতের প্রথম
গভর্নর জেনারেল চক্রবর্তী রাজা
গোপালাচারির জন্ম।
সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র
পাক্ষিক
প্রতি মাসের ২১ তারিখ
প্রতি মাসের ১ ও ১৫ তারিখ
First Page
|
Calcutta
|
State
|
Uttarbanga
|
Dakshinbanga
|
Bardhaman
|
Purulia
|
Murshidabad
|
Medinipur
National
|
Foreign
|
Business
|
Sports
|
Health
|
Environment
|
Editorial
|
Today
Crossword
|
Comics
|
Feedback
|
Archives
|
About Us
|
Advertisement Rates
|
Font Problem
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.