ধর্মতলা, বিবাদী বাগ হেরিটেজ এলাকাকে হোর্ডিংমুক্ত করতে পুরসভা সম্প্রতি যে অভিযান শুরু করেছিল, তা আপাতত বন্ধ হয়ে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এই পরিস্থিতি। এক বিজ্ঞাপন সংস্থার করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র পাল আপাতত হোর্ডিং ভাঙা বন্ধ রাখার ওই নির্দেশ দেন।
কয়েক মাস আগে কলকাতা পুরসভা বিবাদী বাগ, ধর্মতলা-সহ কলকাতার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে হেরিটেজ এলাকা বলে ঘোষণা করে। এই ঐতিহ্যবাহী এলাকায় হোর্ডিং লাগানো যাবে না বলেও তখনই পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়। পুরসভার তরফে ওই এলাকার রাস্তাগুলিতে হোর্ডিং ভাঙাও শুরু হয় তার পরেই। ধর্মতলা ও সংলগ্ন অঞ্চলকে হেরিটেজ এলাকা ঘোষণাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করে ওই বিজ্ঞাপন সংস্থা। |
শহরের হেরিটেজ এলাকা। —ফাইল চিত্র |
এ দিন আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায় ও অরুণাভ ঘোষ সওয়ালের সময়ে বলেন, আইনে ঐতিহ্যবাহী এলাকা ঘোষণার কোনও সংস্থান নেই। ঐতিহ্যবাহী ভবন বা প্রতিষ্ঠান হতে পরে। কিন্তু এলাকার পর এলাকা ঐতিহ্যবাহী হয় না। তাই পুরসভা একটা বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে হোর্ডিংও ভেঙে দিতে পারে না। পুরসভার আইনজীবী তখন জানান, কলকাতা পুরসভা একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। তা অনুযায়ীই হোর্ডিংও ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অরুণাভবাবু দাবি করেন, এ ক্ষেত্রে বিষয়টি মেয়রের মস্তিষ্কপ্রসূত। আইন মেনে যে গাইডলাইন তৈরি করার কথা, তা করা হয়নি।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোর্ডিং ভাঙা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি দু’সপ্তাহ পরে। |