আসন্ন ৩৬তম কলকাতা বইমেলায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না উদ্যোক্তরা। আজ দিল্লিতে বইমেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মিলন মেলা প্রাঙ্গনে হাই-ড্রেনের ব্যবস্থা রাখা হবে। এ ছাড়া, বইয়ের দোকানগুলির কাছাকাছি পর্যাপ্ত পাইপের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে প্রয়োজনে সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে জল পাওয়া যায়। মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের গেটগুলিও এমন ভাবে নির্মাণ করা হবে, যাতে সেগুলি দিয়ে অনায়াসে দমকলের বড় গাড়ি প্রবেশ করতে পারে।” এ বারের কলকাতা বইমেলার থিম ইতালি। তাই সংগঠকদের পক্ষ থেকে বইমেলায় উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে। আজ ইতালির রাষ্ট্রদূত জিয়াকোমো স্যানফেলিস ডি মন্তেফর্তে বলেন, “২০১০-এ ইতালির তুরিনে বইমেলার থিম ছিল ভারত। এ বার কলকাতা বইমেলার থিম ইতালি হওয়ায় এ দেশের পাঠকেরা আমাদের দেশের সাহিত্যের ছোঁয়া পাবেন।” এ বারের মেলা উদ্বোধন করার কথা ইতালির সাহিত্যিক তথা সাংবাদিক বেপ্পে সেভার্গনিনির।
|
বিভিন্ন পক্ষের চাপান-উতোরেই যে কঠিন হয়ে উঠেছে কালীঘাট মন্দিরের উন্নয়ন, তা উপলব্ধি করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার রাজ্যের জি পি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি হাইকোর্টের কাছে জানিয়ে দিলেন, মন্দিরে ভক্তদের দেওয়া অর্থ, সোনার গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী লুঠপাটের জন্যই মন্দিরের উন্নয়ন বা সু-পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। মন্দিরের সভাপতি এবং সম্পাদকের মধ্যে যে ‘যুদ্ধ’ চলছে, তা-ও স্পষ্ট হয়ে যায় এ দিন শুনানির সময়ে। আপাতত প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ সেবায়েত, মন্দির কমিটি, মন্দির কমিটির অপর গোষ্ঠী, রাজ্য সরকার, কলকাতা পুরসভা, পর্যটন দফতরের মতো সব পক্ষকে একসঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেই আলোচনায় জানা যাবে, কোন পক্ষ মন্দিরের জন্য কী করতে চায়। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের জি পি। মন্দিরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে সব পক্ষের মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় তৈরির রূপরেখাও স্থির করা হবে সে দিন। হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে আলোচনার পরে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পুনরায় কালীঘাট মন্দির নিয়ে শুনানি হবে। |