| আজকের দিনে |
 • ১৯৭৪: উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয় অঞ্চলে রাজ্য বনদফতরের গাছ কাটার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন রেনি গ্রামের ২৭ জন মহিলা। এঁদের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বাসিন্দা গৌরা দেবী। এটি চিপকো আন্দোলন নামে পরিচিত। |
|
|
| হপ্তা শেষে... |
| শনিবার |
রবিবার |
বৃহস্পতির পাক্ষিক |
 |
 |
 |
 |
 |
|
|
বাজেট অধিবেশনের মুখে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র কংগ্রেসের গঙ্গোত্রী দত্তের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল তৃণমূল। তবে তারপরেও ধ্বনিভোটে বাজেট পাশ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গঙ্গোত্রীদেবী। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ওই অধিবেশনে ধ্বনিভোটের পরে ফের ভোটাভুটি হয়েছে। তাতে তাঁরা বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় বাজেট অনুমোদিত হয়নি। বামেরা এই অধিবেশনে ছিলেনই না। বাজেট নিয়ে এই বিভ্রান্তিতে আগামী আর্থিক বছরে (২০১৩-১৪) শিলিগুড়ি শহরের উন্নয়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন পুর বাসিন্দারা।এই পুরসভায় মোট কাউন্সিলর ৪৭ জন। তার মধ্যে এক জন পদত্যাগ করায় এখন সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪৬। এর মধ্যে কংগ্রেসের ১৪ জন। ‘বিতর্কিত’ চেয়ারম্যান নান্টু পালকে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর ১৫ জন এবং বামেদের ১৭ জন। কংগ্রেসের দাবি, এই অবস্থায় তৃণমূল সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেও পুরবোর্ড ভাঙবে না। কারণ মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে অন্তত ১৬ কাউন্সিলরের সমর্থন তাঁদের পেতেই হবে। 
বাঁকুড়ার এক প্রাক্তন এসএফআই নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় ওই জেলারই প্রাক্তন শীর্ষ এসএফআই নেতা অর্ক পোদ্দারকে দোষী সাব্যস্ত করল বিষ্ণুপুর আদালত। সোমবার বিষ্ণুপুরের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রসাদকুমার রায় ওই প্রাক্তন এসএফআই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলার সরকারি আইনজীবী গুরুপদ ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারক অর্ককে ৩০৬ ধারায় (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) দোষী সাব্যস্ত করে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার অর্কর সাজা ঘোষণা হবে।” ২০০৮ সালের ৫ অগস্ট রাতে আসানসোলের কালিপাহাড়ি স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে তৎকালীন বাঁকুড়া জেলা এসএফআইয়ের সহ-সভাপতি দেবযানী নন্দীর (২১) দেহ উদ্ধার হয়। দেবযানীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত হন সেই সময়ে এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অর্ক। 
কোনও জায়গায় আগুন লাগলে সাধারণ মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা দেওয়ার জন্য দমকল যথাস্থানে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। সমস্যার সৃষ্টি হয় যখন মানুষ কোনও কারণে দমকলের সঠিক পরিষেবা পায়না। কালনা মহকুমায় পাঁচটি ব্লকে দশ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা। কিন্তু দমকলের কেন্দ্র শুধুমাত্র একটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দূরত্বের কারণে বহু সময় দমকল পৌঁছনোর আগেই বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যায়। কালনা মহকুমার একমাত্র দমকল কেন্দ্রটি রয়েছে শহর ঘেঁষা জিউধারা এলাকায়। এখান থেকে মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলী ১,পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বহু গ্রামেরই দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারের বেশি। এর উপর রয়েছে দুর্গম রাস্তা যা দমকলের জন্য বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই তিন ব্লকে নদী পেরিয়ে বহু গ্রামে ঢুকতে হয়। মনমোহনপুর, কিশোরীগঞ্জ, দেবনগর চড়ের মত গ্রামগুলিতে বড় আগুন লাগলেও জলপথে দমকলের ভারি ইঞ্জিনের যাওয়া কষ্টকর। এই গ্রামগুলিতে আগুন নেভানোর জন্য একমাত্র ভরসা কাছাকাছি নদীর জল। সাধারণত চাষের খড়, চালের খড়, পাটকাঠি-সহ নানা দাহ্য পদার্থ ঘরে ঘরে মজুত থাকার জন্য সারাবছর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামগুলিতে একটি বাড়ির সঙ্গে অন্য বাড়ির চাল ঠেকে থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত গতিতে। 
আবিরের রঙে মেতে উঠেছে হাওড়ার শ্যামপুরের পিছলদল গ্রাম। বুধবার দোল হলেও এই জনপদে তা শুরু হয়ে গিয়েছে রবিবার থেকেই। মন্দিরের কাঁসর ঘণ্টা, নাম সংকীর্তন, খোল-করতালের মধুর ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আকাশ-বাতাস। শ্রীমহাপ্রভু আশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে গড়ে ওঠা মন্দিরকে ঘিরে প্রতি বছর এখানে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়।
দোলের তিন দিন আগে থেকে শুরু হয়ে যায় উৎসব। অধিবাস পর্বের পরে চোদ্দো মাদল সহযোগে নগর পরিক্রমা, নামযজ্ঞ, পূজার্চনা, গীতা পাঠ, চণ্ডীপাঠ, ভাগবত পাঠ, ধর্মসভা, কীর্তনের আসর ছাড়াও নাম সংকীর্তন, মালসা ভোগ বিতরণের মতো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষ যোগ দেন। এখানে একটি তমাল গাছের নীচে চৈতন্যদেবের মূর্তি রয়েছে। শ্রীমহাপ্রভু আশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে গত বছর একটি মন্দিরকে নতুন ভাবে গড়া হয়। সেই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই হয় দোল উৎসব। মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট মুরারী ব্রহ্মচারী জানান, এই গ্রামে রূপনারায়ণের তীরে চৈতন্যদেব নীলাচল থেকে পানিহাটির রাঘব পণ্ডিতের বাড়িতে মহোৎসবে যোগদান করার পথে এসেছিলেন। 
