|
|
|
|
সালিশিতে গিয়ে মহিলাকে মারধর, অভিযুক্তেরা অধরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পারিবারিক বিবাদের মীমাংসা করতে গিয়ে এক মহিলার হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শ্রমিক নেতা-সহ স্থানীয় ক্লাবের লোকজনদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হলদিয়ার দুর্গাচক থানার পূর্ব রঘুনাথচক গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গণ্ডগোলটা হয়েছিল ১৫ মার্চ। ওই দিন বাড়িতে মেজ ছেলের স্ত্রী আমিরুল বিবির সঙ্গে বচসা হয় শাশুড়ি আলেমা বিবির। আমিরুল বিবি স্থানীয় ‘মহতি সঙ্ঘ’ ক্লাবে অভিযোগ জানালে দলবল নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা শেখ সেলিম শাশুড়ির উপর চড়াও হন। বাড়িতে ছেলেরা ছিলেন না। অভিযোগ, আলিমা বিবিকে অশালীন গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। আলেমা বিবি বলেন, “ঘরে তো অশান্তি সকলেরই হয়। ওরা আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারত। তা না করে শেখ সেলিম ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল। মেরে আমার হাত ভেঙে দিয়েছে। বড় ছেলে শেখ আসগর আলি বাড়িতে এলে থানায় অভিযোগ করতে যাই। কিন্তু দুর্গাচক থানা কোনও কথাই শুনতে চায়নি।” |
|
আলেমা বিবি। —নিজস্ব চিত্র। |
গত ১৮ মার্চ আদালত মারফত ক্যুরিয়ারে দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত মহিলা। লিখিত ভাবে তৃণমূল নেতা শেখ সেলিম, ক্লাবের ছেলে শেখ হাপি, শেখ সানু-সহ আমিরুল বিবি, আবেদান বিবিদের নামে (৮ জনের বিরুদ্ধে) অভিযোগ দায়ের করা হয়। আসগর আলির অভিযোগ, “আমরাও তৃণমূল করি। কিন্তু সেলিম নেতা হওয়ায় থানা আমাদের দেখেনি। তাই কোর্টে গিয়েছি। সেলিম হুমকি দিয়েছিল, থানায় গেলে পুলিশ উল্টে আমাদের গ্রেফতার করবে। তাই ক্যুরিয়ারে পাঠিয়েছি। তার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২১ মার্চ হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক চন্দন ঘোষের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।”
হলদিয়ায় ‘মর্ডান ইন্ডিয়া’ নামে একটি ফেরো অ্যালয়ের কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা শেখ সেলিমের দাবি, “পারিবারিক বিষয়ে পুলিশকে না জড়িয়ে মীমাংসা করতে গ্রামের লোকদের নিয়ে গিয়েছিলাম। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই মহিলা।” তৃণমূলের শ্রমিক নেতা মিলন মণ্ডল বলেন, “সেলিম আমাদের দল করে ঠিকই। তবে পারিবারিক ঝামেলায় রাজনীতি জড়ানো ঠিক নয়। সেলিম যদি দোষ করে থাকে শাস্তি হবে।” আর পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “মামলা রুজু হয়েছে। আমি দুর্গাচক থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” |
|
|
|
|
|