রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে রাজ্যের প্রস্তাবিত আগামী ২৬ ও ৩০ এপ্রিল পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে ধরে নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন পর্ব সেরে বনগাঁর গোপালনগর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় সোমবার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল। সোমবার দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে স্থানীয় পোলতা ফ্লাড সেন্টার থেকে টালিখোলা মোড় পর্যন্ত হাজার খানেক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত। মিছিল থেকেই পথচলতি মানুষের সঙ্গে দলীয় প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।
শনিবার মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে বৈঠক করে দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন, প্রতিটি ব্লকে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনের জন্য এগারো সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে সর্বসম্মত ভাবে প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে এবং তা আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে তালিকা জেলা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। জেলা কমিটি ওই তালিকা দেখে চূড়ান্ত অমনুমোদন দেবে। তা হলে তার আগেই গোপালনগর-২ পঞ্চায়েতে এমন ঘটনা টল কেন? জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “গোপালনগর-২ পঞ্চায়েতে যদি ব্লক কমিটি সর্বসম্মত ভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে থাকে তা হলে তা ঠিকই আছে। তা ছাড়া জেলায় নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিতে আমরা আগেই নির্দেশ দিয়েছি।” যদিও বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “এটি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা। প্রতিটি সংসদ থেকে কর্মীদের মতামত নিয়ে সর্বসম্মত ভাবে প্রার্থী করা হয়েছে।”
এই পঞ্চায়েতে গতবার ১৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ৮টি এবং সিপিএম ৫টি। সৌমেনবাবু বলেন, “এ বার আসন বেড়ে হয়েছে ১৭টি। তার মধ্যে আমাদের ৯ জন প্রার্থীই মহিলা। প্রধান রথীন্দ্রনাথ বালার আসনটি এ বার সংরক্ষিত। রথীন্দ্রনাথবাবুর বদলে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়েছে।” |