জলের দাবিতে ঘেরাও-বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জল সরবরাহের দাবিতে হাওড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকশো বাসিন্দা জল বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ারকে সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখলেন। অভিযোগ, গরম পড়তেই ফের জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন উদাসীন। সমস্যার কথা স্বীকার করলেও সমাধানের কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি পুর-প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিন দল বেঁধে পদ্মপুকুর ট্রিটমেন্ট প্লান্টে যান। প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার আশিস সেন গাড়ি করে ঢুকতে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। হাওড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডটি তৃণমূলের দখলে। এই ওয়ার্ডেই থাকেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, “আমি নিজেই ভুক্তভোগী। সমস্যা কমার বদলে বেড়েছে। সমন্বয়ের অভাবে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না পুরসভা।” হাওড়া জেলা তৃণমূলের সম্পাদক শ্যামল মিত্রও বলেন, “বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুরসভা।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন আশিসবাবুও। তিনি বলেন, “এখন কোটাল চলছে। ফলে জলস্তর নেমে গিয়ে সমস্যা বেড়েছে। জলস্তর বাড়লে সমস্যা কিছুটা কমবে।” তাঁর দাবি, এলাকায় ৯টি পাম্পের মধ্য ৬টি চালু আছে। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাত্র ২-৩টি পাম্প নিয়মিত চলে। হাওড়া পুরসভার মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, “সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। ভূগর্ভস্থ জলাধার না হলে সমস্যা কমবে না। কিন্তু জমি পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমানে যে সমস্যা চলছে, তা কোনও প্রযুক্তিগত কারণে হতে পারে।”
অন্য দিকে, এ দিনই সকালে পানীয় জলের দাবিতে এক ঘণ্টা ডায়মন্ডহারবার রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জেলা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অবরোধ ওঠে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ আগে জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ বিষ্ণুপুর থানার গোবিন্দপুরের বাকেরমোড় এলাকায় দু’দিনের মধ্যে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পরেও ওই এলাকায় আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থাই হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। শামিমা শেখ এ দিন বলেন, “ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আমরা কয়েকটি নলকূপ বসিয়েছি। নির্বাচনের পরে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে।” |