মদ্যপ বাবার ছুরির ঘায়ে জখম ছেলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছেলেকে ছুরির ঘায়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার বসিরহাটের গাংনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেকেন্দার মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। সেকেন্দারের ছোট ছেলে, বছর বাইশের সামাদ মণ্ডলকে গুরুতর আহত অবস্থায় বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় কসাইয়ের কাজ করেন সেকেন্দার। প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের উপরে নিযার্তন চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে গালিগালাজ করতে থাকেন। টাকার দাবিও করেন। ছেলেরা তাঁকে চেঁচামেচি করতে বারণ করেন। সেই সময়ে সামাদের বুকে সেকেন্দার ছুরি বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
|
হাসনাবাদে জোড়া খুনে ধৃত বেড়ে ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ |
ছেলেধরা সন্দেহে হাসনাবাদের বিশপুরে গণপ্রহারে দু’জনকে হত্যা এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আগেই এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার গ্রেফতার করা হল আরও তিন জনকে। তবে, ঘটনার পরে তিন দিন পার হয়ে গেলেও এখনও মৃতদের কোনও পরিচয় জানা যায়নি। গত শুক্রবার সকালে একটি শিশুকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এই গুজবে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে গণধোলাই দেয়। দু’জনেই মারা যান। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হন দুই পুলিশকর্মীও।
|
বসিরহাটে চুরি অব্যাহত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
ফের সোনার দোকানে চুরি হল বসিরহাটে। ঘটনাস্থল বসিরহাট থানার কাছেই। শনিবার রাতে চৌমাথার পাশে আর এন মুখার্জী রোড লাগোয়া একটি সোনার দোকানে এই ঘটনাটি ঘটে। দোকানের মালিক গণেশ দত্তের ছেলে অনিল দত্ত পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, নগদ ও অলঙ্কার মিলিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়েছে। গত সোমবারই আর এন মুখার্জী রোডেই এক ব্যবসায়ীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছিল দুষ্কৃতীরা। ওই রাতেই চুরি হয়েছিল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা বাজারের একটি সোনার দোকানে ও গিলেবেড়িয়া গ্রামের এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে। চুরির ঘটনা ঘটেছে মন্দিরেও। পর পর এই চুরির ঘটনা বসিরহাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
|
স্কুলে অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্দিরবাজার |
বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হল দক্ষিণ ২৪ পরদনার মন্দিরবাজারের সীতানাথ আদর্শ বিদ্যাপীঠে। শুক্রবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায়। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
|
খাতা নিয়ে উধাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বারুইপুরের সীতাকুঞ্জ এলাকায় উচ্চ মাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থী সোমবার জীবনবিজ্ঞানের উত্তরপত্র নিয়ে চলে গিয়েছিল। তাকে খুঁজে বার করে খাতা জমা নেন পরীক্ষকেরা। ওই ছাত্রকে বারুইপুর থানায় নিয়ে গিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
|
গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানা এলাকার পলতার শ্রীপল্লিতে। মৃতের নাম রিপন দাস (৩০)। সে পেশায় লরির খালাসি ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে স্ত্রী টুম্পা দাসের সঙ্গে বচসার সময়ে মত্ত অবস্থায় রিপন তাঁর মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। টুম্পার মাথা ফেটে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে রিপনকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও সে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। জখম অবস্থায় তাকে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। টুম্পা আহত অবস্থায় আরজিকরে ভর্তি। পুলিশ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে স্ত্রীর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তার নামে একাধিক অপরাধের অভিযোগ আছে।
|
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে গাইঘাটার ফরিদকাঠির ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নিখিল মজুমদার। তার বাড়ি ওই এলাকাতেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বছর কুড়ির এক যুবতীর সঙ্গে সর্ম্পক ছিল নিখিলের। সম্প্রতি ওই যুবতীটির সঙ্গে তার বিয়েও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের দিন সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। স্থানীয় স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাবার চেষ্টাও হয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় যুবতীটির পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
|
গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নাম তপন মৈত্র (৩৮)। বাড়ি গাংনাপুরের বিবেকানন্দপল্লী এলাকায়। পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি বিল্ডার্সের দোকানে ম্যানেজারের কাজ করতেন ওই যুবক। সোমবার রাতে তিনি চাকদহের বালিয়া এলাকার একটি দোকানে টাকা দিতে যান। ফেরার পথে হাঁড়িপুকুরিয়া এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। তাঁকে জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের জানায়, দুষ্কৃতীদের কাছে ভুল খবর ছিল। তারা ভেবেছিল টাকা নিয়ে আসছিলেন তপনবাবু। টাকা হাতাতেই গুলি করা হয় তাঁকে। |