রাজবাড়ি চত্বরে বিভিন্ন এলাকায় ফাঁদে ধরা পড়া ইঁদুর ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)। এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরে শহরের বাসিন্দাদের একাংশ ফাঁদে আটক ইঁদুর কোচবিহার রাজবাড়ি লাগোয়া চত্বরে ছেড়ে দিচ্ছেন। এতে রাজবাড়ি চত্বরের বাগানে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ করা না গেলে প্রাসাদের লাগোয়া জমিও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। |
এই সেই নির্দেশ।—নিজস্ব চিত্র। |
সচেতনতা বাড়াতে সাইনবোর্ড দেওয়া হলেও ইঁদুর ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এএসআই ইস্টার্ন রিজিয়নের ডেপুটি সুপার সমর কুমার ঘোষাল বলেন, “বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া ওই সমস্যা এড়ানো মুশকিল। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আরও কীভাবে সচেতনতা বাড়ানো যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির কর্তাদের অভিযোগ, ইঁদুর ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতার পাশাপাশি রাজবাড়ির দেওয়ালে অবাধে শৌচকাজ চলছে। এতে পর্যটকদের কাছে রাজবাড়ির পরিবেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে। দেওয়াল ও রেলিংয়েরও ক্ষতি হচ্ছে। সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “এএসআই কর্তাদের সচেতনতা বাড়ানোর সমস্ত কর্মসূচিতে আমরা সহযোগিতা করব। আগামী মাস থেকে সংগঠনের তরফেও লিফলেট, ব্যানার, ফ্লেক্স তৈরি করে শহর জুড়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে।”
১৮৮৭ সালে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ওই রাজবাড়ি নির্মান করেন। প্রায় ৫১,৩০৯ বর্গফুট এলাকা জুড়ে সুবিশাল রাজবাড়ি তৈরি হয়। রাজপ্রাসাদের সামনে ১২ একর এলাকাজুড়ে উদ্যান, জলাভূমি রয়েছে। কিন্তু দেখভালের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী নেই। ওই সুযোগেই মূলত ভোরের দিকে বাড়ি বা দোকানে পেতে রাখা ফাঁদে ধরা পড়া ইঁদুরর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। হেরিটেজ সোসাইটির এক কর্তা জানান, তিনবার রাজবাড়ি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারমধ্যে ১৮৯৭ সালে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়। কোচবিহার ভূমিকম্পপূর্ণ এলাকা। সেখানে ইঁটের স্থাপত্যের মাটি ইঁদুর আলগা করে দেওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। |