শিক্ষকদের একাংশের নামে দেরি করে স্কুলে আসা এবং একাধিক অনিয়মের অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে স্কুল গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের শীতগ্রাম বিদ্যাভবন স্কুলে। প্রধান শিক্ষক-সহ ৭ জন শিক্ষক স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করলে গেট থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মধ্যে রায়গঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি লিয়াকত আলি ও কংগ্রেসের রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রফুল্ল বর্মন নামের দুই শিক্ষক ছিলেন। পরে দুপুরে গ্রামবাসীরা স্কুল গেটের তালা খুলে দেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ইকতেকর আলি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের একাংশ দেরি করে স্কুলে আসায় পঠন ব্যাহত হচ্ছে। তাই মঙ্গলবার থেকে শিক্ষকেরা সঠিক সময়ে স্কুলে হাজির না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুলগেটে তালা মেরে দেওয়া হবে। নিয়মিত মিড ডে মিলের প্রকল্পে নজর রাখা হবে।” তাঁর দাবি, “এ দিনের তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা স্কুলগেটে তালা মারলেও আন্দোলনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।” প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা বলেন, “স্কুলের কাজে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। তাই স্কুলে পৌঁছতে দেরি হয়। গ্রামবাসীদের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কংগ্রেস নেতা লিয়াকত আলি ও প্রফুল্ল বর্মনের দাবি, “আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম। তবে আন্দোলনকারীরা বাধা দেওয়ায় ফিরে আসি। সর্বশিক্ষা মিশনের ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে স্কুলে সমিতি ৪টি ক্লাসরুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের সন্দেহ, বরাত না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”
জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের অভিযোগ, “পরিচালন সমিতি কংগ্রেসের দখলে থাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে তৃণমূল গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে গোলমাল করছেন।” রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি রজত ঘোষ বলেন, “গ্রামবাসী হিসেবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সামিল হতে পারেন। কংগ্রেস নেতারা নিজেদের দোষ আড়াল করতে গল্প ফাঁদা শুরু করেছেন।” |