দোলের তিন দিন আগে থেকেই উৎসব পিছলদহে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যামপুর |
আবিরের রঙে মেতে উঠেছে হাওড়ার শ্যামপুরের পিছলদল গ্রাম। বুধবার দোল হলেও এই জনপদে তা শুরু হয়ে গিয়েছে রবিবার থেকেই। মন্দিরের কাঁসর ঘণ্টা, নাম সংকীর্তন, খোল-করতালের মধুর ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আকাশ-বাতাস। শ্রীমহাপ্রভু আশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে গড়ে ওঠা মন্দিরকে ঘিরে প্রতি বছর এখানে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়।
দোলের তিন দিন আগে থেকে শুরু হয়ে যায় উৎসব। অধিবাস পর্বের পরে চোদ্দো মাদল সহযোগে নগর পরিক্রমা, নামযজ্ঞ, পূজার্চনা, গীতা পাঠ, চণ্ডীপাঠ, ভাগবত পাঠ, ধর্মসভা, কীর্তনের আসর ছাড়াও নাম সংকীর্তন, মালসা ভোগ বিতরণের মতো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষ যোগ দেন। |
রঙের উৎসবের কেনাকাটা। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
এখানে একটি তমাল গাছের নীচে চৈতন্যদেবের মূর্তি রয়েছে। শ্রীমহাপ্রভু আশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে গত বছর একটি মন্দিরকে নতুন ভাবে গড়া হয়। সেই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই হয় দোল উৎসব। মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট মুরারী ব্রহ্মচারী জানান, এই গ্রামে রূপনারায়ণের তীরে চৈতন্যদেব নীলাচল থেকে পানিহাটির রাঘব পণ্ডিতের বাড়িতে মহোৎসবে যোগদান করার পথে এসেছিলেন। এক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েছিলেন একটি তমাল গাছের নীচে। পরে ১৩৫৬ বঙ্গাব্দে যোগেশ ব্রহ্মচারী এখানে একটি কুটির নির্মাণ করে চৈতন্যদেবের মূর্তি স্থাপন করে পূজার্চনা শুরু করেন। তখন এ জায়গায় বসতি ছিল খুবই কম।
এখন গ্রামে বসতি বেড়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে হাওড়া ছাড়াও হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, মালদহের মতো জেলাগুলি থেকেও মানুষ আসেন। মেতে ওঠেন আবির খেলায়। অবশ্য শুধু দোল নয়, এই জনপদ মেতে ওঠে জন্মাষ্টমী এবং মাঘী পূর্ণিমাতেও। মন্দির কমিটির সেক্রেটারি স্বপন গিরি জানান, সমস্যা একটাই। গ্রামের মন্দিরে আসার পথটি দীর্ঘদিন বেহাল। প্রশাসনের কাছে সংস্কারের আবেদন করাহয়েছে। |