শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে বাঁকুড়ার তিনটি ব্লকে হাজারেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে চাষেরও। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) জয়ন্ত মাইতি বলেন, “রবিবার রাতে বাঁকুড়া ২, বড়জোড়া ও গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের প্রায় ৩৭টি গ্রামে শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ও ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। আমরা ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাব।” তিনি জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে আটটার পরে হঠাত্ ঝড় ওঠে। তার গতিবেগ ছিল প্রায় ৫৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ১০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল ঝড়। সঙ্গে নাগাড়ে প্রায় এক মিনিট শিলা বৃষ্টিও হয়। |
শিলাগুলি বড় আকারের ছিল। বাঁকুড়া ২ ব্লকের কালাজুড়ি গ্রামে শিলা বৃষ্টির প্রকোপে প্রায় ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। ওই গ্রামের বাসিন্দা গণেশ চৌধুরী, জহর বাউরিরা বলেন, “শিলার ঘায়ে বাড়ির ছাদের টিন ফেটে গিয়েছে। কোনও রকমে রক্ষা পেয়েছি আমরা।” গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ডিহারজুড়িয়া, তেঁতুলিয়াডাঙা, উকড়াডিহির মতো গ্রামগুলিতেও শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডিহারজুড়িয়ার বাসিন্দা স্বর্ণকমল রায়, দেবীপ্রসাদ চট্টরাজরা বলেন, “ঝড় হতে হতে আচমকাই বড় বড় শিলাখণ্ড টিনের ছাদে পড়তে লাগল। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। টিনের ছাউনি ফুটো হয়ে গিয়েছে।” জেলা উপকৃষি আধিকারিক অনন্তনারায়ণ হাজরা বলেন, “ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জেলার তিনটি ব্লকে প্রায় ৭৯ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩২ হেক্টর জমিতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। |