এসএফআই নেত্রীর অপমৃত্যু, দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন নেতা
বাঁকুড়ার এক প্রাক্তন এসএফআই নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় ওই জেলারই প্রাক্তন শীর্ষ এসএফআই নেতা অর্ক পোদ্দারকে দোষী সাব্যস্ত করল বিষ্ণুপুর আদালত। সোমবার বিষ্ণুপুরের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রসাদকুমার রায় ওই প্রাক্তন এসএফআই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলার সরকারি আইনজীবী গুরুপদ ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারক অর্ককে ৩০৬ ধারায় (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) দোষী সাব্যস্ত করে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার অর্কর সাজা ঘোষণা হবে।”
অর্ক ও দেবযানী। —ফাইল চিত্র।
২০০৮ সালের ৫ অগস্ট রাতে আসানসোলের কালিপাহাড়ি স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে তৎকালীন বাঁকুড়া জেলা এসএফআইয়ের সহ-সভাপতি দেবযানী নন্দীর (২১) দেহ উদ্ধার হয়। দেবযানীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত হন সেই সময়ে এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অর্ক। ৭ অগস্ট দেবযানীর বাবা, বাঁকুড়ারই জয়পুর থানার গেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ নন্দী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই অর্ক বেপাত্তা হয়ে যান। সিপিএমের গেলিয়া লোকাল কমিটির সদস্য বৈদ্যনাথবাবুর অভিযোগ ছিল, দেবযানীকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য অর্কর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ায় ওই বছর ১৬ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ চার্জশিট দিতে না-পারায় ১৫ নভেম্বর জামিনে ছাড়া পান অর্ক। ঘটনার পরেই অবশ্য অর্ককে এসএফআই থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তখন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত বছর মার্চে মামলার শুনানির দিন বিষ্ণুপুর আদালত চত্বরে বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল কর্মীরা। বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত অর্ক ও তাঁর পরিবার অবশ্য প্রথম থেকেই খুন বা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বৈদ্যনাথবাবু এ দিন বলেন, “বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করছি অর্কর কড়া সাজা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.