• ১৯২০: শ্রীনগরে জন্মগ্রহণ করেন রকেট বিজ্ঞানী সতীশ ধাওয়ান। তাঁকে ভারতের ‘ফ্লুইড ডায়নামিক্স’-এর জনক বলা হয়। তিনি দেশের প্রথম ‘সুপারসনিক উইন্ড টানেল’ তৈরি করেন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.
৩১ নং জাতীয় সড়কের ওপর ওদলাবাড়িতে ধর্না বিক্ষোভ চলছে দাড়িয়ে থাকা বাস। হইহই করতে করতে পাঁচটা অটো গিয়ে অবরোধে থমকে দাঁড়াল। দেখা গেল, অটোচালকেরা বিদেশি। বারমুডা, টি শার্ট পরা বিদেশিরা একে একে অটো থেকে নেমে ভারতীয় ধর্নার চরিত্রকে বোঝার চেষ্টায় ব্যস্ত হলেন। ভারত দেখতে হলে ভারতের সাধারণ মানুষের যান ব্যাবহার করেই ঘোরা উচিত। ভারতে আসার আগে বৈঠকি আড্ডায় এমন মতই নাকি উঠে এসেছিল ওদের মধ্যে ওরা মানে নিউজিল্যান্ডের জো ক্রুয়েফ, মার্টিন ফ্লেমিং, ইভা মরিশদের আলোচনায়। এর পরে ভারতে কোন যানটি সর্বত্র যাতায়াত করে তাকে তা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে কিছু দিন লেগে যায়। কারণ, সাইকেলের ওপর ভারতবাসী সব চাইতে বেশী নির্ভরশীল। তার পর আসে ভ্যান রিক্শা। কিন্তু এ সব ইঞ্জিনবিহীন যানে ভারত ভ্রমণ করতে হলে ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাবে বলে এই যান বাতিল করা হয়। এর পরেই অটো। 
বেহাল রাস্তা দিয়েই দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল কাটোয়ামুখী বর্ধমান-আমলাই রুটের বাসটি। বাঁকের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। সোজা নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে সেটি। সোমবার সকালে কাটোয়া-বোলপুর রোডে কেতুগ্রাম থানার বারান্দা গ্রামের কাছে ঘটনাটি ঘটে। আহত হন ৪০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ২২ জনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় ১৮ জনকে। যাত্রীদের একাংশ বাসচালকের বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানায়, বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার আমলাই বাস স্টপেজ থেকে বাসটি ছাড়ে। সেখান থেকে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান যায়। কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি থেকে ভুলকুড়ি পর্যন্ত কাটোয়া-বোলপুর রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। রাস্তা ভর্তি খানা-খন্দে। উঠে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। গাড়ি গেলেই ধুলো ওড়ে। এর মধ্যেই ওই রাস্তা দিয়ে খুব দ্রুত গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক।
বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। সোমবার পঠনপাঠনে পুরনো সময়সূচি ফেরানোর দাবিতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ উপাচার্যের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এ দিনই ওই দাবিকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বয়কট শুরু করেন বিদ্যা ও ভাষা ভবনের পড়ুয়ারা।
বিক্ষোভে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত বলেন, “৬ মাস আগে শিক্ষা সমিতির বৈঠকে সময়সূচি পরিবর্তনের ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন সামনেই সেমেস্টার। এই অবস্থায় মুষ্টিমেয় কিছু ছাত্র এই আন্দোলন শুরু করছেন। এর ফলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরই ক্ষতি হচ্ছে।” তাঁর দাবি, বহিরাগত কিছু লোকজনই এ বিষয়ে মদত দিচ্ছেন। এ দিকে, বিক্ষোভের পরে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা দ্রুত আলোচনায় বসে সময়সূচি নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ উপাচার্যকে নিয়ে গাড়ি হাজির হয়েছিল কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে। সেখানেই আন্দোলনকারীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
