নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ উপাচার্যকে নিয়ে গাড়ি হাজির হয়েছিল কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে। সেখানেই আন্দোলনকারীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর জেরে সুশান্তবাবুকে বেশ কিছু ক্ষণ গাড়ির মধ্যেই বসে থাকতে দেখা যায়। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় দরজা খুলে নিজের দফতরের দিকে হাঁটা দেন উপাচার্য। আন্দোলনকারীরাও শ্লোগান দিতে দিতে তাঁর পেছনে পেছনে মূল ফটক পার করে কেন্দ্রীয় দফতরের ভেতরে ঢোকেন। বেলা ১২টায় যখন পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের গাড়ি কেন্দ্রীয় দফতরের ভেতরে ঢুকল, বিক্ষোভ তখনও থামেনি। সাড়ে ১২টায় কর্তৃপক্ষকে নিজেদের দাবিপত্র দিয়ে বিক্ষোভ তুলে নেন পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, ইউজিসির নিয়ম মেনে উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের নির্দেশে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১২টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পঠনপাঠন ও দফতরের কাজকর্ম চলছে বিশ্বভারতীতে। কিন্তু নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ক্লাস করতে প্রথম থেকেই সমস্যার কথা তুলছেন বিশ্বভারতীর একটা অংশ। মাত্র কয়েকদিন আগেই এ নিয়ে বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন কৃষিবিদ্যা বিভাগে প্রথম শুরু হয়েছিল ক্লাস বয়কট। তবে সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষকে নিয়ে উপাচার্য তখন আলোচনায় বসে বিষয়টির মীমাংসা করেন।
এ দিকে বিদ্যা ও ভাষা ভবনের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, আগে জানানো হলেও ছাত্রছাত্রীদের সমস্যাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার চেষ্টা করেননি কর্তৃপক্ষকে। তাঁদের হুমকি, আজ, মঙ্গলবার এই সমস্যার সমাধান না হলে গোটা বিশ্বভারতীতে ক্লাস বয়কটের ডাক দেওয়া হবে। |