মাধবডিহির কাঁইতিতে সংঘর্ষে জখম আরও এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শেখ আতোয়ার হক (৪০)। বাড়ি স্থানীয় বৈঠারি গ্রামে। গত শুক্রবার রাতে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কাঁইতিতে ওই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল শেখ সারাফত আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীর। এই ঘটনায় আগেই ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে তিন সিপিএম নেতাকে। |
ধৃতেরা হলেন কাঁইতি পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান রসুন করিম, প্রাক্তন প্রধান অশোক সাঁতরা ও স্থানীয় নেতা মুন্সি সফিউর রহমান। তাঁদের জেরা করার জন্য বর্ধমান থানায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। আজ, বুধবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
সোমবার গ্রামে আতোয়ারের মৃত্যুর খবর পৌঁছনোর পরে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ জানায়, প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। গ্রামের পরিস্থিতি থমথমে। দলের তিন নেতাকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিএম নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দলের জেলা সম্পাদক অমল হালদার অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তা ধামাচাপা দিতে সিপিএমের নেতা-কর্মীদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। তৃণমূল অবশ্য কোনও রকম অর্ন্তদ্বন্দ্বের কথা মানতে চায়নি। |