পুজোর সময় পর্যটকদের সহায়তায় ‘হেল্প-ডেস্ক’ খুলবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। সোমবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রী জানান, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই সহায়তা কেন্দ্রগুলি চলবে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস, বাগডোগরা বিমানবন্দর, ডুয়ার্সের মালবাজার এবং আলিপুরদুয়ারে ওই সহায়তা কেন্দ্রগুলি হবে। মন্ত্রী বলেন, “পুজোর সময় যাতে কোনও পর্যটক ডুয়ার্স বা পাহাড়ে এসে যাতে সমস্যায় না পড়েন সেদিকে লক্ষ্য রেখে ‘হেল্প-ডেস্ক’ খোলা হবে। সেখানে পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য থাকবে। পর্যটকদের সে তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হবে। কোনও পর্যটক থানার দ্বারস্থ হলে সেখান থেকেও তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হবে।”
এদিনের বৈঠকে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার ছাড়াও বন দফতর, পর্যটন দফতর, মহকুমা প্রশাসন, পুরসভা, রেল পুলিশ এবং বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধিকারিকরা ছিলেন। এ ছাড়া পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারাও যোগ দেন। মন্ত্রী জানান, অনেক সময় পর্যটকরা হোটেলে বা লজে থাকার জায়গা পান না। সেক্ষেত্রে তাঁরা যাতে ‘হোম স্টে ট্যুরিজম’-এর সাহায্য নিতে পারেন সে ব্যপারে সহায়তা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, “যা তথ্য পাচ্ছি তাতে এখনই সমস্ত হোটেল, লজ বুকিং হয়ে গিয়েছে। এর পরেও অনেক পর্যটক আসতে পারেন। সে জন্য আমরা হোটেল, লজ এবং হোম স্টে ট্যুরিজমের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজে নেমেছি। যেখানে বুকিং হয়নি সে সুবিধে যাতে পর্যটকরা নিতে পারেন সে ব্যপারে তথ্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
এ ছাড়াও পর্যটকদের সুবিধের বেশ কয়েকটি গাড়ি রাখা হবে। প্রত্যেকটি সহায়তা কেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধপত্র রাখা হবে সহায়তা কেন্দ্রে। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর আধিকারিকদের সঙ্গেও বিষয়টি আলোচনা করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। পুরো বিষয়টি মনিটরিং করবেন উত্তরবঙ্গ দফতরের যুগ্ম সচিব। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “গত বছরও আমরা সহায়তা কেন্দ্র করেছিলাম। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারে আরও ভালো ভাবে তা করার চেষ্টা হচ্ছে।” তিনি জানান, এবারে শিলিগুড়িতে পুজোর অনুমতি কমিশনারেট থেকে নিতে হবে। |