ফের পরিদর্শন এমএএমসি-তে
রও এক দফা পরিদর্শন হল রুগ্ণ এমএএমসি কারখানায়। কিন্তু কারখানা কবে খুলবে, সে সম্পর্কে আশ্বাস মিলল না।
যে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ‘কনসোর্টিয়াম’ এমএএমসি খোলার বরাত পেয়েছে, সেই ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল), কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল) এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) আধিকারিকেরা সোমবার কারখানা ঘুরে দেখেন। নিরাপত্তা জোরদার করা, ভিতর ও বাইরের জঙ্গল সাফ করা, কারখানার জমি তিন সংস্থার নামেই নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করার ব্যাপারে আলোচনা করেন তাঁরা। কিন্তু কারখানা কবে খুলবে, সে ব্যাপারে তাঁরা মন্তব্য করতে চাননি।
কনসোর্টিয়াম সূত্রে জানা গিয়েছে, অংশীদারিত্বের চুক্তি চূড়ান্ত করে নেওয়ার পরেই তিন সংস্থার নামে কারখানার ১৯৩ একর জমি রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হবে। এর পরেই কারখানা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ দিন পরিদর্শক দলে ছিলেন কোল ইন্ডিয়ার সিজিএম গৌতম ধর, সিনিয়র ম্যানেজার রঞ্জিৎ কুমার তলাপাত্র, বিইএমএলের জিএম আরডি চৌধুরী, এজিএম বিশ্বজিৎ রায়, ডিভিসি’র সিনিয়র ম্যানেজার তপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁরা কারখানার কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গেও কথা বলেন।
খনির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকারের যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য ১৯৬৫ সালে চালু হয়েছিল এমএএমসি। ১৯৯২ সালে তা বিআইএফআর-এ চলে যায়। ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কারখানাটি নতুন করে খোলার জন্য তিন কেন্দ্রীয় সংস্থা সিআইএল, ডিভিসি এবং বিইএমএল কনসোর্টিয়াম গড়ে।
—নিজস্ব চিত্র।
প্রথম দুই সংস্থার অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশ করে এবং তৃতীয় সংস্থার ৪৮ শতাংশ। হাইকোর্টের নিলামে সর্বোচ্চ দর দিয়ে ২০১০ সালের জুন মাসে লিক্যুইডেটরের হাত থেকে কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয় কনসোর্টিয়াম। এর পরে বেশ কয়েক বার কারখানা পরিদর্শন করে গিয়েছেন তিন সংস্থার আধিকারিকেরা। ৩১ জানুয়ারি মহাকরণে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিইএমএলের চেয়ারম্যানকে দ্রুত কারখানা খোলার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে কারখানার ব্যারাক থাকার ‘অনুপযুক্ত’ বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ প্রত্যাহার করে নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই সুযোগে যন্ত্রাংশ চুরি শুরু হয়ে যায়। রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসে। কাঁকসায় একটি কারখানার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে শিল্পমন্ত্রী জানান, যে ৪২টি আবাসনে সিআইএসএফ জওয়ানেরা থাকেন, সেগুলি সংস্কারে ব্যবস্থা করবে কনসোর্টিয়ামের তিন সংস্থা। আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসাবে কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার হাতে কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। কর্মী সংগঠনগুলি অবশ্য দ্রুত সিআইএসএফ বহাল করার পক্ষে সওয়াল করে। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই এ দিন ফের এক দফা পরিদর্শন হল। আইএনটিইউসি অনুমোদিত হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা, কারখানার জঙ্গল সাফ করার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলেছে কনসোর্টিয়ামের তরফে।” সিটু নেতা বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তীর সংশয়, “কনসোর্টিয়ামের পরিদর্শন তো এই প্রথম বার নয়। কাজের কাজ কবে হবে সেটাই দেখার!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.