| আজকের দিনে |
 • ১৯১৯: সাহিত্যিক অমৃতা প্রীতমের জন্ম। তাঁকে পঞ্জাবের প্রথম প্রখ্যাত মহিলা সাহিত্যিক বলে মনে করা হয়। পঞ্জাবের প্রথম মহিলা হিসাবে ‘সুনেহে’ কবিতার জন্য ১৯৫৬ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। ভারত ভাগের সময় ‘আজ আখান ওয়ারিস শা নু’ কবিতার জন্য তিনি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছন। |
|
|
| হপ্তা জুড়ে... |
| এ সপ্তাহে ‘কলকাতা-হাওড়া’ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হল না। |
| শনিবার |
রবিবার |
পাক্ষিক |
 |
 |
 |
 |
দেরি করের মাসুল |
 |
|
দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই যেখানে পঞ্চায়েত সমিতির পদে, সেখানে সংগঠনের হাল ধরবে কে? শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচন ছিল। ২৯টি সমিতির মধ্যে ২৮টিতেই ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। নির্বাচন-পর্ব মিটতে সর্বত্র শুরু হয় বিজয়োৎসব। চলে আবির খেলা। মিষ্টি বিতরণ। দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা যখন উচ্ছ্বাসে মেতে রয়েছেন, ঠিক তখনই ওই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দলের অন্দরে। বিষয়টি উড়িয়ে দিতে পারছেন না তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বও। কিছু ব্লকে দলের সভাপতি, সহ-সভাপতিরাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি হয়েছেন। তাহলে সংগঠনের কী হবে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলছেন, “দু’টি পদই গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হবে। একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে।” দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “প্রয়োজনে একটি পদ ছেড়ে দিতে হবে।” দলীয় সূত্রে খবর, দলের যে সব গুরুত্বপূর্ণ নেতা পঞ্চায়েত সমিতির পদে বসেছেন, শুরুতে তাঁদের পদ ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হবে। 
ভর্তি কুয়োয় ডুবে যেতে যেতে বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে স্কুলছাত্রীটি। আর কুয়োর পাড়ে দাঁড়িয়ে সমানে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার করে যাচ্ছে তার সহপাঠী। চিৎকার শুনে ছুটে এলেন অন্য এক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, নৃপেনকৃষ্ণ মাহাতো। দেখলেন, পাড়ের উপরে থাকা কিশোরী একটি দড়ি টেনে রয়েছে। আর গলা অবধি ডুবে থাকা মেয়েটি ওই দড়ি ধরে নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে। সাতপাঁচ না ভেবে একগাছি দড়ি জুটিয়ে শিক্ষক নেমে পড়লেন কুয়োয়। শেষমেষ অন্য লোকজনের সাহায্যে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নৃপেনবাবু কুয়োর উপরে তুলে আনলেন মেয়েটিকে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, পুরুলিয়ার কেন্দা আদিবাসী আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসের। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বিকেলের পরে ছাত্রাবাসের আবাসিক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সোনামণি সহিস জল তুলতে গিয়ে পা পিছলে কুয়োর মধ্যে পড়ে যায়। শুক্রবার পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে সে বলেন, “কুয়োর পাড়ের সিঁড়িতে শ্যাওলা ছিল। অন্ধকারে বুঝতে পারিনি।” 
জেলেই এক জনের দিকে জুতো হাতে তেড়ে গিয়েছিলেন। এ বার রুদ্ধদ্বার এজলাসে সাক্ষ্য দিতে এসে তিন ‘অপরাধী’কে দেখিয়ে দিলেন অভিযোগকারিণী। ঘটনার প্রায় দেড় বছরের মাথায়, শুক্রবার থেকে শুরু হল কাটোয়া ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের কেতুগ্রামে ছোট রেলে (এখন ব্রডগেজ) ডাকাতির সময়ে ১১ বছরের মেয়ের মাথায় বন্দুক ধরে তার মাকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ দিন সেই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মহিলা সাক্ষ্য দিতে এলেন। জানালেন, দুষ্কৃতীরা মেয়েকে ধর্ষণ করবে বলে হুমকি দেওয়াতেই তিনি ট্রেন থেকে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ কাটোয়া ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের রুদ্ধদ্বার এজলাসে অবশ্য মা একাই সাক্ষ্য দিতে ঢোকেন। পরনে নস্যি রঙের তাঁতের শাড়ি, মাথায় ঘোমটা। ভিতরে বিচারক সৈয়দ নেহাজ্জুদিন আজাদ ছাড়া ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়, সাত আসামি (অষ্টম জন, কেতুগ্রামের কায়েশ শেখকে পুলিশ আজও ধরতে পারেনি) ও তাঁদের আইনজীবীরা। 
ফের টুকলির অভিযোগে ইটাহারের ডক্টর মেঘনাদ সাহা কলেজে এক ছাত্রী সহ ১০ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হল শুক্রবার। সেই মঙ্গলবার থেকে এই কলেজে টুকলি করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রয়েছে। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম পালের স্ত্রী ওই দিন টুকলি করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর খাতা কেড়ে নেন অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখোপাধ্যায়। তারপরে গৌতমবাবু ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বাবুসোনা মোহান্ত এবং তাঁদের অনুগামীরা স্বপ্নাদেবী, বাংলার শিক্ষক সুদেবকুমার রায়, রসায়নের শিক্ষিকা সেঁজুতি দে ও শিক্ষাকর্মী জাফর সাদেককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। অধ্যক্ষা সহ তিন শিক্ষক শিক্ষিকা ও ওই শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধেও ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ করা হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় দুটি মামলা শুরু করে। এরপর বুধবার কলেজ বন্ধ ছিল। 
