রাখে দাদা-দিদি তো মারে কে!
সঙ্গে বিধায়ক দিদি, দাদা বা নেতা-ভাই রয়েছেন। এমন অনেকে এ বার হুগলিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে চলে এলেন।
পুড়শুড়ার তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমনের ভাই শেখ মেহবুব রহমান সভাধিপতি হচ্ছেন। শুক্রবার জেলায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন হয়। ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের বোন অর্পিতা বারিক ধনেখালি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন। বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ছায়াসঙ্গী সৌমেন ঘোষ ওরফে পটলা হয়েছেন সহ-সভাপতি। উত্তরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদবের দাদা আচ্ছালাল যাদব। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হয়েছেন তৃণমূল যুবার জেলা সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার দুই আত্মীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হয়েছেন। এমন উদাহরণ আরও আছে।
তবে, জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কারও ভাই বা বোন তো হতেই পারেন।”
ব্যতিক্রমও রয়েছে। উত্তরপাড়া-শ্রীরামপুর ব্লকে পদ নিয়ে ভোটাভুটিতে হেরেছেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, উত্তরপাড়ার বিধায়ক অনুপ ঘোষাল আর চাঁপদানির বিধায়ক মুজফ্ফর আহমেদের রীতিমতো লিখিত ‘হুইপ’ দেওয়া প্রার্থীরা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের এক সর্বভারতীয় নেতা ওই পদ্ধতিতে হুইপ দেওয়া যায় না বলে জানান। জয়ীদের খেদোক্তি, “ওঁরা হুইপ দেওয়ার কে? ৩ জনই জেলার বাইরের।” উত্তরপাড়ার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছেন সবিতা ঘোষ। চণ্ডীতলা-২ ব্লকে আবার উলটপুরাণ। সেখানে দলের ব্লক পর্যবেক্ষক সুবীর মুখোপাধ্যায়কে না জানিয়ে স্থানীয় বিধায়ক আর সিঙ্গুরের বিধায়ক সন্ধি করে অন্য এক জনকে সভাপতি করতে আসরে নামেন। এ নিয়ে রাত পর্যন্ত জটিলতা অবশ্য অব্যাহত ছিল। |