গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লাঠি-রড-বোমা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। পঞ্চায়েত সমিতি চত্বর থেকে কয়েক হাত দূরে ব্লক অফিস মোড়ে এই ঘটনায় পুলিশকে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। জখম হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। গুরুতর জখম ১৫ জনকে কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে তৃণমূলের দু’জন দাবিদার থাকায় সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। দুপক্ষেরই কর্মী-সমর্থকেরা জমায়েত ছিলেন ব্লক অফিস মোড়ে। হুমকি-পাল্টা হুমকি চলছিল। গোলমালের আশঙ্কা থাকায় রাস্তায় কিছু পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
সভাপতি পদের দাবিদার তৃণমূলের দীর্ঘদিনের দাপুটে নেতা, বহেড়াশোল গ্রামের বাসিন্দা আতাউল হক। অন্য এক দাবিদার কামারপুকুরের তপন মণ্ডল। কাকে সভাপতি করা হবে, দল তা সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে ভোটাভুটি হয়। তপনবাবু ৩ ভোটে জিতে সভাপতি হন।
আতাউলের অভিযোগ, “একে তো অন্যায় ভাবে প্রার্থীদের ভীতি প্রদর্শন করে আমাকে হারানো হয়েছে। দলের জন্য সেটা তবু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু আমি হেরে যাওয়ার পরেই তপনের ছেলেরা আমার সমর্থকদের ব্যাপক মারধোর করেছে। ৩টি দোকান ভাঙচুর করেছে। দু’টি মোটর বাইক ভেঙে দিয়েছে। এ সব মানা যাবে না। পুলিশকে সমস্ত কিছু জানিয়েছি। পুলিশ যদি পক্ষপাতিত্ব করে কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।” অন্য দিকে, সদ্য নির্বাচিত সভাপতি তপন মণ্ডলের বক্তব্য, “অশান্তি ডেকে এনেছে আতাউলের লোকেরাই। তাঁর প্রায় হাজার খানেক সমর্থক সকালেই আমার শ’তিনেক সমর্থককে ব্লক অফিস চত্বর থেকে চড়-চাপড় মেরে তাড়িয়ে দেয়। ভোটাভুটিতে আমি জয়ী হওয়ার পরে অনেক চেষ্টা করেও কিছু ক্ষণ আমার লোকদের নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে যায়। বিকেলে তো ফের আতাউল হকের লোকরা রাস্তাঘাটে আমার সমর্থক দেখলেই পেটাচ্ছে।” |