অগস্ট ২০১৩

 
এই সংখ্যায় ‘দেবস্থানে দুর্যোগ’
১৬ জুন, সাতসকালে চোরাবারি তাল ফেটে উত্তাল হয়ে ওঠে মন্দাকিনী। গ্যালন-গ্যালন জল ও তার সঙ্গে পাথরের স্তূপ নেমে এসে মুছে দেয় কেদারনাথ, রামওয়াড়া ও জঙ্গলচটির জনপদ। বর্তমানে কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহটি ছাড়া আশেপাশে আর কোনও কিছুর অস্তিত্ব নেই— মন্দিরের একেবারে গা-ছুঁয়ে থাকা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অতিথি নিবাস, বিড়লা গেস্ট হাউস, শঙ্করাচার্যের সমাধি কিছুই নেই। মুছে গিয়েছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম এই মন্দিরটির চাতাল ও প্রধান ফটকও। নিরেট পাথরে তৈরি মন্দিরের দেওয়াল জলভারের অভিঘাতে সামান্য হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয়, তাই মন্দিরের পিছনে একটি প্রাচীর খাড়া করে কেদারনাথকে রক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। কেদারনাথ-সহ এই সব জায়গা আপাতত ৩ বছরের জন্য পর্যটকদের জন্য বন্ধ। অন্য দিকে, ৭ জুলাই ভোরবেলাতেই একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর। বারুদের দাগ পড়ে বুদ্ধদেবের ৮০ ফুট উঁচু মূর্তিতেও। বোধিবৃক্ষের সামনে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন দুই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।
দুর্যোগের গেরোয় পড়ার আগে এই দুই দেবস্থানেই পর্যটকের ঢল নামত। প্রকৃতির কোলে অপরূপ কেদার বা মানবতার তীর্থস্থান বুদ্ধগয়া— দু’টি জায়গাই দেশি বিদেশি মানুষের কাছে যতটা পবিত্র, ততটাই দেখার। অনুভব করবার। অনুভবের চরাচরে এখন হানা দিয়েছে আতঙ্ক। কিন্তু জুন মাসের আগে চিত্রটা এ রকম ছিল না। কেমন ছিল?— সে কথাই এ বারের হাওয়াবদলে। সঙ্গে মহারাষ্ট্রের অন্য দুই দেবস্থান সিরডি ও সিঙ্গানাপুরের শনি মন্দিরের কথাও থাকল। যদিও এই জায়গায় আপাতত কোনও দুর্যোগের গন্ধ নেই। এ ছাড়া ফোটোশপে শোনানো হল কুমায়ুন হিমালয়ের গল্প।


পথ গিয়েছে কেদারনাথে
কেদারনাথে মহিষরূপী শিবের পশ্চাদ্দেশের বিগ্রহের পুজো করা হয়। শরীরের বাকি অংশগুলি যথাক্রমে মদমহেশ্বর, তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ, কল্পেশ্বরে। লোকগাথার সঙ্গে বাস্তব মেলালেন শিবু মণ্ডল। বিস্তারিত...

বুদ্ধদেবের বোধি অর্জনের প্রাণকেন্দ্র
মন্দিরের ডান দিকে বিরাট এক বটগাছ— বোধিবৃক্ষ। ভক্তরা নানা মনস্কামনা করে গাছের ডালে রঙিন কাপড়ের টুকরো বেঁধে দিয়েছেন। বুদ্ধগয়া ঘুরে এসে কলম ধরলেন নূপুর বাগচী। বিস্তারিত...
 

সিরডি থেকে সিঙ্গানাপুর— ধর্ম দর্শনের পথে
ভক্ত সমাবেশ হোক বা ভক্তির আবেশ— এ দুইয়ের মাপকাঠিতে অন্যান্য অনেক ধর্মস্থানের থেকে
বেশ কয়েক কদম এগিয়ে সিরডির সাঁইবাবা মন্দির ও সিঙ্গানাপুরের শনি মন্দির। ঠিক ভক্তির টানে নয়,
খানিকটা স্থানমাহাত্ম্যের কৌতূহল মেটাতেই এই মন্দির দু’টি ঘুরে এলেন শেলী মিত্র। বিস্তারিত...


ক্যামেরাও কথা বলে। সেই রং-বেরঙের ছবির সাম্রাজ্যেও অবাধ বিচরণ হাওয়াবদল-এর।
রঙিন মুহূর্তগুলিকে একের পর এক সাজিয়ে শোনানো হবে বেড়ানোর অন্য রকম গল্প।
এ সংখ্যায়
প্রসেনজিত্ দাস-এর ক্যামেরায় কুমায়ুন হিমালয়-এর কথা।
 
 

মাঝ-মাসের সংযোজন
 
 
‘হাওয়াবদল’ আপনার কেমন লাগছে? লেখা, ছবি ও অন্যান্য বিষয়ে আপনার মতামত জানান নীচের ঠিকানায়:
হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com
 
এ যাবৎ ২০১৩
জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন
বড়দিন
বর্ষবরণ
মেক্সিকোর প্রাচীন সভ্যতা
মায়া সভ্যতা, কানকুন, টেপোজলন
সফর যখন সাগরপাড়ে
ত্রাঙ্কেবার, সিঙ্গাপুর
সাগরপাড়ে আবারও
দিউ, সুন্দরবন, বকখালি
পায়ে পায়ে পাহাড় পথে
রূপকুণ্ড, তপোবন
মিশন ঝাড়খণ্ড
পল্+অম্ম্+উ=পলামু

জুলাই
শহর পথের রাহি
সান আন্তোনিও, বুসান, কোব্লেঞ্জ

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player

রোজের আনন্দবাজার সংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.
z