১৬ জুন, সাতসকালে চোরাবারি তাল ফেটে উত্তাল হয়ে ওঠে মন্দাকিনী। গ্যালন-গ্যালন জল ও তার সঙ্গে পাথরের স্তূপ নেমে এসে মুছে দেয় কেদারনাথ, রামওয়াড়া ও জঙ্গলচটির জনপদ। বর্তমানে কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহটি ছাড়া আশেপাশে আর কোনও কিছুর অস্তিত্ব নেই— মন্দিরের একেবারে গা-ছুঁয়ে থাকা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অতিথি নিবাস, বিড়লা গেস্ট হাউস, শঙ্করাচার্যের সমাধি কিছুই নেই। মুছে গিয়েছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম এই মন্দিরটির চাতাল ও প্রধান ফটকও। নিরেট পাথরে তৈরি মন্দিরের দেওয়াল জলভারের অভিঘাতে সামান্য হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয়, তাই মন্দিরের পিছনে একটি প্রাচীর খাড়া করে কেদারনাথকে রক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। কেদারনাথ-সহ এই সব জায়গা আপাতত ৩ বছরের জন্য পর্যটকদের জন্য বন্ধ। অন্য দিকে, ৭ জুলাই ভোরবেলাতেই একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর। বারুদের দাগ পড়ে বুদ্ধদেবের ৮০ ফুট উঁচু মূর্তিতেও। বোধিবৃক্ষের সামনে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন দুই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।
দুর্যোগের গেরোয় পড়ার আগে এই দুই দেবস্থানেই পর্যটকের ঢল নামত। প্রকৃতির কোলে অপরূপ কেদার বা মানবতার তীর্থস্থান বুদ্ধগয়া— দু’টি জায়গাই দেশি বিদেশি মানুষের কাছে যতটা পবিত্র, ততটাই দেখার। অনুভব করবার। অনুভবের চরাচরে এখন হানা দিয়েছে আতঙ্ক। কিন্তু জুন মাসের আগে চিত্রটা এ রকম ছিল না। কেমন ছিল?— সে কথাই এ বারের হাওয়াবদলে। সঙ্গে মহারাষ্ট্রের অন্য দুই দেবস্থান সিরডি ও সিঙ্গানাপুরের শনি মন্দিরের কথাও থাকল। যদিও এই জায়গায় আপাতত কোনও দুর্যোগের গন্ধ নেই। এ ছাড়া ফোটোশপে শোনানো হল কুমায়ুন হিমালয়ের গল্প।
‘হাওয়াবদল’ আপনার কেমন লাগছে? লেখা, ছবি ও অন্যান্য বিষয়ে আপনার মতামত জানান নীচের ঠিকানায়: হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১ ই-মেল করুনhaoabadal@abp.inঅথবাhaoabadal@gmail.com
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.