বারোমাসে তেষট্টি রকমের উদযাপনে ব্যস্ত একমাত্র বাঙালিই থাকে। জন্মদিন থেকে পুজো-পার্বণ, খেলায় জেতা থেকে রাজনৈতিক দলের মসনদ দখল, বর্ষাকে সম্ভাষণ জানানো বা শীতকে আমন্ত্রণ করা— হুজুগে মেতে উঠতে উপলক্ষের কোনও কমতি নেই। আর এ সব করতে গিয়ে কখন যেন অন্যের ‘উত্সব’ও তার নিজের হয়ে যায়। দেশ-ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সেখানে মুখ্য হয়ে ওঠে একমাত্র একটিই শব্দ— ‘আনন্দ’। এ ভাবেই কোনও এক সময়ে যিশুর জন্মদিনও তাদের কাছে হয়ে উঠেছে আনন্দের ‘বড়দিন’। গির্জার ক্যারলে অংশ নেওয়া থেকে শুরু করে কেক খাওয়া, এমনকী সান্তার মোজাও এখন মধ্যরাতে ঝোলে বাঙালির শোওয়ার ঘরে। ধর্মে ও জিরাফে থাকার মতো করে একমাত্র বাঙালিই পারে এ ভাবে জমে যেতে। সে যেমন পয়লা বৈশাখেও আছে, আবার ‘নিউ ইয়ার’-এও আছে। হতে পারে এ সব ঔপনিবেশিকতার হাত ধরে এসেছে, তবুও উদযাপনের নিরিখে বাঙালির সঙ্গে কারও তুলনা হবে না। বছর আসে বছর যায়। উদযাপনের ঘটা পাল্টে পাল্টে গেলেও পাল্টায় না অনুভূতি। উদারতার হাওয়া ভরে, উত্সব-সুতোয় বাঁধা বাঙালির আনন্দ-বেলুন ‘বড়দিন’ ও ‘বর্ষবরণ’-এর আকাশে ভাসত, ভাসে, ভাসবে। এ বারে আপনার কলমে তেমনই সব নতুন-পুরনো বেলুন ওড়ানোর গল্প। সঙ্গে ক্যামেরা-বন্দি লেহ-যাত্রার চিত্রনামা। |