শীত উদযাপনে পিঠে-পুলি
গতকালই ছিল পৌষ সংক্রান্তি। কুম্ভ থেকে গঙ্গাসাগর সর্বত্রই পুণ্যস্নানের ঢল নেমেছিল। আর তার পাশাপাশি এই দিনটিতেই ঘরে ঘরে উদযাপিত হয়েছে নানা প্রকারের
পিঠে-পুলি-পায়েস গড়ার উত্সব। সংক্রান্তি শেষ হলেও এই গাঢ় শীতের দিনে বা রাতে পিঠে-পুলির আয়োজন হয়েই চলে। স্বাদবদলের পাতায় তারই হদিশ।

গোবিন্দভোগ চালের নাড়ু
গোবিন্দভোগ চালের নাড়ু
উপকরণ
গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো: ১/২ কাপ (আধভাঙা) ও ৪ চামচ (মিহি) মুড়ির গুঁড়ো: ১ কাপ
ক্ষীর: ১/২ কাপ চিনি: ১ কাপ বাতাসা: ৪-৬টা ঘি: ২ চামচ জল: আন্দাজ মতো

প্রণালী
কড়াইতে ঘি গরম করে আধভাঙা চালের গুঁড়ো দিয়ে ভাজুন।
তার পর একে একে চিনি, বাতাসা, ক্ষীর, মুড়ির গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন।
প্রয়োজন মতো জল দেবেন ও ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যাতে তলায় লেগে না যায়।
ঘন হয়ে মণ্ড মতো হলে নামিয়ে নিন ও নাড়ুর আকারে তৈরি করুন।
মিহি করা চালের গুঁড়োয় নাড়ু গড়িয়ে নিন।
চন্দ্র নাড়ু
উপকরণ
নারকেল: ১ কাপ (কুরানো) ক্ষীর: ১ কাপ ভাজা সুজি: ১/২ কাপ চিনি: ১ কাপ ঘি: ৪ চামচ জল: আন্দাজ মতো

প্রণালী
কড়াইতে একে একে নারকেল, চিনি, ক্ষীর দিয়ে ভাল করে মেখে পাক দিন।
মাঝে মাঝে অল্প জল দিন ও ভাল করে নাড়তে থাকুন।
তার পর সুজি, ঘি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
পাক হয়ে গেলে নামিয়ে নাড়ু তৈরি করুন।
 
চিঁড়ের পুলি রুপসারি পুলি
উপকরণ
চিঁড়ে: ২ কাপ ময়দা: ১/২ কাপ বেকিং পাউডার: ১ চিমটি
পাটালি গুড়: ১০০ গ্রাম নারকেল কোরা: ১ কাপ
কাজুবাদাম গুঁড়ো: ১ টেবল-চামচ কিসমিস: ১ টেবল-চামচ
ছোট এলাচের গুঁড়ো: ১/২ চা-চামচ সাদা তেল: ৪০০ গ্রাম




প্রণালী
শুকনো খোলায় চিঁড়ে নেড়ে রাখুন।
তার পর গরম জলে চিঁড়ে অল্প সেদ্ধ করে মণ্ড তৈরি রাখুন।
চিঁড়ের মণ্ডে ময়দা ও বেকিং পাউডার মিশিয়ে রেখে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন।
কড়াইতে পাটালি গুড়, নারকেল কোরা, কাজুবাদাম কুচানো, কিসমিস ও

ছোট এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে আঁচে বসিয়ে নাড়াচাড়া করে পুর তৈরি করুন।
চিঁড়ের মণ্ডের বাটি তৈরি করে নারকেলের পুর ভরতি করে পুলির
আকারে গড়ে ছাঁকা তেলে সোনালি করে ভেজে নিন।
উপকরণ
ময়দা: ২-৩ চামচ মুড়ির গুঁড়ো: ২-৩ চামচ
খেজুর গুড়: ৩-৪ চামচ ঘি: ৩-৪ চামচ
সিদ্ধ ছোলার ডাল: ১ কাপ (শুকনো খোলায় ভাজার পর সেদ্ধ করুন)
পনির: ৫০ গ্রাম ঘন দুধ: ২ কাপ চিনি: ২ চামচ




প্রণালী
ময়দা, মুড়ির গুঁড়ো, সেদ্ধ ডাল ও গুড় কড়াইতে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
মাখামাখা হলে পনির মিশিয়ে ভাল করে
নাড়তে থাকুন।
ভাল মতো পাক ধরলে নামিয়ে নিন।
পছন্দ মতো আকারে গড়ে নিয়ে ঘিয়ে ভেজে তুলুন।
ঘন দুধে চিনি মেশান।
ভাজা পুলি দিন।

ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন।

খইয়ের মোয়া
উপকরণ
ধানের খই: ৬ কাপ কিসমিস: ১ কাপ গুড় অথবা চিনি: ১ কাপ
বাতাসা: ১/২ কাপ জল: আন্দাজ মতো

প্রণালী
গুড় বা চিনি ও বাতাসা সামান্য জল দিয়ে ফোটান।
ঘন হয়ে এলে খই, কিসমিস ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন।
পাক হয়ে গেলে নামিয়ে মোয়া তৈরি করুন।
কনকচূড় মোয়া
উপকরণ
মুড়ি: ৩ কাপ আধভাঙা বাদাম: ১ কাপ এলাচগুঁড়ো: ২ চামচ গুড়: দেড় কাপ জল: আন্দাজ মতো

প্রণালী
কড়াইতে গুড় ও জল একসঙ্গে ফুটিয়ে এলাচগুঁড়ো দিয়ে নাড়তে হবে।
এ বার মুড়ি, বাদাম ভাল করে মিশিয়ে আলতো করে নাড়তে থাকুন।
পাক হলে নামিয়ে মোয়া তৈরি করুন।
 
মুগ ডালের চিংড়ি পিঠে ন্যারোই পিঠে
উপকরণ
মুগ ডাল: ২ কাপ চিনি: দেড় কাপ নুন: সামান্য
চালের গুঁড়ো: ১/২ কাপ
ময়দা: ১/২ কাপ টুথপিক: ১টা
সাদা তেল: ২ কাপ লবঙ্গ: কয়েকটা



প্রণালী
মুগ ডাল শুকনো খোলায় ভেজে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে রাখুন।
এ বার ডালের সঙ্গে ময়দা, নুন ও সামান্য চিনি দিয়ে মণ্ড তৈরি করুন।
প্যানে চিনি ও জল দিয়ে ঘন সিরাপ তৈরি করুন।
এ বার মণ্ড চিংড়ি মাছের আকারে গড়ে নিয়ে টুথপিক দিয়ে গায়ে দাগ কেটে দিন।
তার পর চিনির সিরাপে ডুবিয়ে, পাক দিয়ে নামান।
উপরে চিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
উপকরণ
কাঁঠালি কলা: ২টো আদাবাটা: ১/২ চামচ চালের গুঁড়ো: ১ কাপ
শুকনো খোলায় ভাজা তিল: ১/২ কাপ
নারকেল কোরা: ১/২ কাপ চিনি: ১/২ কাপ



প্রণালী

কলা, চিনি, চালের গুঁড়ো একসঙ্গে ভাল করে মাখুন।
তার মধ্যে নারকেল, আদাবাটা, তিল মেশান ভাল করে।
উপরে তিল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

সৌজন্য: সানন্দা

 
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ