|
|
|
|
বাঁকোলায় কাজ বন্ধের ডাক |
কেন ছুটি, প্রশ্ন করতেই কপালে ঠেকল পিস্তল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডবেশ্বর |
হাজিরা খাতায় অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী তথা তৃণমূলের শ্রমিক নেতা পিস্তল বের করে সোজা অফিসারের মাথায় ঠেকিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
তার জেরে আজ, শনিবার থেকে পাণ্ডবেশ্বরের বাঁকোলা এরিয়ায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ইসিএলের অফিসার্স ইউনিয়ন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঁকোলায় একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বৈঠক সেরে বেরোনোর সময়ে কয়েক জন আধিকারিকের উপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ।
বাঁকোলার কুমারডি-বি খনির আধিকারিক দিব্যেন্দু ঘোষ শুক্রবার পুলিশে অভিযোগ করেন, পার্সোনেল বিভাগের এক কর্মী ৭ ও ৮ অগস্ট অনুপস্থিত ছিলেন। এ দিন হাজিরা খাতা দেখার সময়ে দিব্যেন্দুবাবু খেয়াল করেন, ওই দু’দিন কর্মী হাজির ছিলেন বলে লেখা রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “দুপুরে হাজিরা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়কে ফোনে এই অসঙ্গতির কারণ জানতে চাই। তিনি আমায় হুমকি দেন। তার পরে সোজা চেম্বারে এসে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে শাসান, বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়া হবে। মারধরও করেন।”
বাপ্পাদিত্যবাবু আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কেকেএসসি-র ওই কোলিয়ারির শাখা সভাপতি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর দাবি, মারধর বা হুমকির ঘটনা ঘটেনি। বাদানুবাদ হয়ে থাকতে পারে। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, বাপ্পাদিত্যবাবুও দিব্যেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন।
সন্ধ্যায় বাঁকোলা এরিয়ায় একটি বৈঠক করে ইসিএলের অফিসার্স ইউনিয়ন। পরে সংগঠনের সম্পাদক দামোদর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই এই এরিয়ায় তাঁরা কাজ বন্ধ রাখবেন। শনিবার সকালেই ইসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে পুরো বিষয়টি জানাবেন বলেও তিনি জানান। পুলিশ জানায়, দু’টি অভিযোগেরই তদন্ত চলছে।
এই ঘটনার পরে সন্ধ্যায় বাঁকোলা এরিয়ায় তাঁরা একটি বৈঠক করেন বলে জানান ইসিএলের অফিসার্স ইউনিয়নের সম্পাদক দামোদর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে আধিকারিকেরা কাজ করতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে এই এরিয়ায় আধিকারিকেরা কাজ বন্ধ রাখবেন বলে দাবি তাঁর। তিনি আরও জানান, শনিবার সকালেই ইসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা সংগঠনের তরফে লিখিত ভাবে পুরো বিষয়টি জানাবেন। সন্ধ্যায় ওই বৈঠক সেরে বেরোনোর সময়ে এক দল লোকজন জনা পাঁচেক আধিকারিকের উপরে চড়াও হন বলে দামোদরবাবুর অভিযোগ। গাড়ির কাচ ভাঙচুর, এক জনের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে বলে তাঁর দাবি। ভয় পেয়ে তাঁরা ফের এরিয়া অফিসে ঢুকে পড়েন। শেষে পুলিশ গিয়ে তাঁদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তৃণমূল নেতা নরেনবাবুর দাবি, কোনও কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। |
|
|
|
|
|