|
|
শীর্ষ শিরোনাম...
সন্ধ্যে ৮.১৪ |
হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন |
• ভয়াবহ আগুন লাগল ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে।
• বৃহস্পতিবার রাত দু’টো নাগাদ হাসপাতালের নতুন ভবনের বেসমেন্টে আগুন লাগে।
• দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনার পিছনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
বেসমেন্ট থেকে এখনও বের হচ্ছে ধোঁয়া।
• আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন।
• জানলার কাচ ভেঙে বের করা হয় কিছু রোগীকে। এখনও পর্যন্ত ৯০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
• সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৮৯। তবে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
• এসএসকেএম-এ রাখা হয়েছে অন্তত ৪২টি মৃতদেহ। রাখা হয়েছে হাসপাতালের সামনের পার্কেও। এছাড়াও বাঙুর, মুকুন্দপুরের হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে মৃতদেহ।
• ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
• দমকলের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা
দায়ের করেছে পুলিশ।
• মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
• আত্মসমর্পণ করলেন হাসপাতালের কর্ণধার শ্রবণকুমার তোদী। আত্মসমর্পণ আর এস গোয়েঙ্কারও।
• এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার শ্রবণকুমার তোদী-সহ হাসপাতাল পরিচালন সমিতির ৬ সদস্য।
• এদের সকলকেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
• ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন ও অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের।
• হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
• উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।
• অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করলেন সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত।
• অন্যদিকে বামেদের দুষছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর কথায় ‘সিপিএমের আমলে তৈরি এই হাসপাতাল বাম-ঘনিষ্ঠদের’।
• অপর দিকে রাজ্য সরকারের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়া।
হেল্পলাইন: ৯৯৩২২১৫২৯৬/৯৮৩১২২৫০৬৭ |
|
কেশপুরে দলের বিরুদ্ধেই মিছিলে তৃণমূলের একাংশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেশপুর আছে কেশপুরেই। সন্ত্রাসের অভিযোগের বিরাম নেই এই তল্লাটে। রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। সিপিএম গিয়ে তৃণমূল এসেছে ক্ষমতায়। বিধানসভায় কেশপুর আসনে সিপিএম প্রার্থী জিতলেও এখানেও এখন ‘দাপট’ তৃণমূলেরই। অধিকাংশ সিপিএম নেতা এলাকা ছাড়া। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে অনেকে ‘পলাতক’। সিপিএমের অনেক দলীয় কার্যালয়েই সেই জুন মাস থেকে তালা ঝুলছে। তবুও গোলমাল লেগেই আছে। তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর বিবাদেই তপ্ত কেশপুর। বৃহস্পতিবার সকালে দলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই মিছিল করলেন কয়েকশো তৃণমূল সমর্থক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়ের ছবি নিয়ে মিছিলে পা মেলান বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকেরা। ‘সন্ত্রাস’ ও ‘তোলাবাজি’ বন্ধের দাবিতে স্লোগানও দেন তাঁরা। এই ‘প্রতিবাদী’দের অভিযোগ, কেশপুরে দলের পূর্বতন ব্লক সভাপতি চিত্ত গরাই ও বর্তমান ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের লোকজন সন্ত্রাস করছেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ‘তোলা’ আদায় করছেন। দলের যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের উপরেও হামলা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা নেপাল ঘোষের অভিযোগ, “দলের একাংশের তোলাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদেই আমাদের মিছিল। বিস্তারিত... |
|
তদন্ত করে ঘরছাড়াদের ফেরাবে পুলিশ, সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
মঙ্গলকোটে সিপিএমের ঘরছাড়াদের গ্রামে ফেরাতে উদ্যোগী হল কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে এ নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে সিপিএমের পক্ষ থেকে ১৬৯ জন কর্মী-সমর্থকের নামের একটি তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ঘরে ফেরানোর দাবি জানিয়েছে সিপিএম। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পরে ঘরছাড়াদের গ্রামে ফিরিয়ে দেবে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। সিপিএমের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মঙ্গলকোটের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই সন্ত্রাসে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মঙ্গলকোট, ঝিলু-২ ও ভাল্যগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সিপিএমের তালিকা অনুযায়ী মঙ্গলকোটে ৬৯ জন, ঝিলু-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বনপাড়া গ্রামে ১৪ জন ও ভাল্যগ্রামের খেঁড়ুয়াতে তাঁদের ৪০ জন কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। ২০০৯ সালের ১৫ জুন খেঁড়ুয়াতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন সিপিএমের বধর্মান জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়। ফাল্গুনীবাবুর মৃত্যুর পরে তৃণমূল ও কংগ্রেসের বহু মানুষ গ্রামছাড়া হয়েছিলেন। শতাধিক বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। বিরোধীরা সেই সময়ে প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনে সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল। বিস্তারিত... |
|
পর্ষদ-কর্তাকে হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসে ঢুকে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেমারি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা দলের শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষালের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় স্বপনবাবু অবশ্য হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই আধিকারিক গৌরীশঙ্কর দাস অফিসে আইএনটিটিইউসি-র পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন, এ কথা শুনে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার বেশি কিছু ঘটেনি। গৌরীশঙ্করবাবুর অভিযোগ, “জনা দশেক লোক নিয়ে এ দিন আমার চেম্বারে ঢোকেন স্বপনবাবু। একটি তালিকা দিয়ে বলেন, এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার বোর্ড নমিনি বা পরীক্ষা পরিচালকদের নিয়োগ করতে হবে ওই তালিকা থেকে। আমি তা মানতে না চাইলে উনি আমাকে খুন করা-সহ নানা হুমকি দেন। নিগ্রহের চেষ্টাও হয়। আমার দফতরের কর্মীরা এসে তাদের আটকান। এর পরেই ওরা পালিয়ে যায়।” স্বপনবাবু জানান, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া জেলার পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রগুলির জন্য এই আঞ্চলিক অফিস থেকে পরিচালক নিয়োগ হবে। গৌরীশঙ্করবাবুর দাবি, স্বপনবাবু জানান, তাঁর দেওয়া তালিকা থেকে চার জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বিস্তারিত... |
|
অনির্দিষ্টকাল বনধের ডাক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ধর্মঘট শুরু করল ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার থেকে তা শুরু হয়। ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে এই অচলাবস্থার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু’র বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলল ছাত্র পরিষদ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হওয়ার কথাছিল। তা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বুধবার কর্তৃপক্ষ তা স্থগিত ঘোষণা করেন। প্রতিবাদে এ দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ধর্মঘট শুরু হয়। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংগঠন গড়ে তোলার জন্য গৌতমবাবু এবং ব্রাত্যবাবু চেষ্টা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ আধিকারিককে টেলিফোনে নানা নির্দেশ দিচ্ছেন। চাকরি নিয়ে সমস্যা হতে পারে, এই ভয়ে তাঁরা নির্দেশ মেনে কাজ করছেন। সংসদের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেও তা আইন, কমিটির সদস্যদের পদত্যাগের কথা বলে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি জানানোর পাশাপাশি দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগপত্র পাঠাচ্ছে ছাত্র পরিষদ। বিস্তারিত... |
|
পড়ুয়াদের মাঠমুখী করতে হবে, বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলায় আগ্রহী করতে চায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় এ কথা জানান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের মাঠমুখী করতে নয়া নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুলগুলিতে নিয়মিত খেলাধূলার ক্লাস নেওয়া দরকার। ক্লাস নেওয়া ঠিক মতো হচ্ছে কি না রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদকে দেখতে বলা হয়েছে।”তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাদ্রাসাগুলির পড়ুয়াদের নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করা হয়। অথচ, স্কুলগুলিতে নিয়মিত খেলাধূলা করা হয় না। মন্ত্রী বলেন, “আগে যা হওয়ার হয়েছে, এ বার থেকে প্রতিটি স্কুলে নিয়মিত ক্রীড়ার ক্লাস নেওয়া হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদ থেকে স্পটার পাঠানো হবে।” তাঁদের সরকারের নীতি শুধু শহরাঞ্চলের খেলাধূলার উন্নতি করা নয়, গ্রামাঞ্চলেরও খেলাধূলার প্রসার করাও তাঁদের লক্ষ্য বলে মদনবাবু দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “কায়িক পরিশ্রমের ক্রীড়া ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলের ছেলে মেয়েরা উঠে এসেছেন। এই ধরনের প্রতিভা খুঁজে বের করে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” বিস্তারিত... |
|
ভাঙড়ের বর, সোলের কনে, জমজমাট বিয়েবাড়ি |
সামসুল হুদা • ভাঙড় |
‘জাপানিজ ওয়াইফ’-এ সুন্দরবনের স্কুলশিক্ষক স্নেহময় চট্টোপাধ্যায় কোনও দিন চোখেই দেখেননি তাঁর জাপানি ‘স্ত্রী’ মিয়াগিকে। তাতে প্রেমে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। দু’পক্ষের চিঠিতেই চলত ভালবাসার আদান-প্রদান। ১১ বছর ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল হাসান আর সোলের জিনি-আ-ইয়ংয়ের প্রেম অবশ্য চিঠিতে নয়। সামনাসামনিই তাঁরা পরস্পরকে দেখেছেন। ভাষার ব্যবধান প্রেমে ব্যাঘাত ঘটায়নি। সেই প্রেম বৃহস্পতিবার নতুন ‘আলো’ নিয়ে এল দু’জনের জীবনে। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়লেন তাঁরা। মুকুলের বাবা এম এ ওয়াহাব একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার। সংস্থার চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে সুন্দরবন-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে এবং বিদেশেও। মুকুল সংস্থার কো-অর্ডিনেটর। ২০০০ সালে ফরাসি সাহিত্যিক দমিনিক লাপিয়েরের হাত ধরে ভাঙড়ে আসেন জিনি-আ-ইয়ং। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সোলের ওই তরুণী। তাঁকে কাজে নেন ওয়াহাব। সংস্থার কোয়ার্টারেই থাকতেন। তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মুকুলের। তার পরে প্রেম গড়িয়েছে নিজের ছন্দে। বিস্তারিত... |
|
|
|
|
|