জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন কাঞ্চনের বাবা
লালগড়ের জঙ্গল থেকে নিখোঁজ রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর কনস্টেবল কাঞ্চন গরাইয়ের বাবা মখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানালেন জেলা শাসকের কাছে। বৃহস্পতিবার তিনি এ ব্যাপারে জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারিকে লিখিত ভাবে জানান।
ছাতনা থানার সুয়ারাবাকড়া গ্রামে কাঞ্চনের বাড়ি। তাঁর বাবা বাসুদেব গরাই বলেন, “২০০৯ সালের ৩০ জুলাই লালগড়ের বৃন্দাবনপুরের জঙ্গল থেকে কাঞ্চন ও তার সহকর্মী সাবির মোল্লা নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রশাসন জানিয়েছিল ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ছেলের কোনও খবর পাইনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেই তাঁকে ব্যবস্থা নিতে বলব। মাওবাদীরা তাঁদের অপহরণ করেছিল বলে প্রশাসন তখন জানিয়েছিল। ঘটনার কিছু দিন পরে মাওবাদী নেতা বিকাশ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিল ওই দুই পুলিশ কর্মী জনরোষের শিকার হয়েছেন। চলতি বছরের গোড়ায় লালগড়ের ধরমপুর অঞ্চলে মাটি খুঁড়ে পুলিশ কিছু হাড়গোড় পেয়েছিল। ওই হাড়গোড়গুলি দুই পুলিশকর্মীর কি না তা জানার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের পরিবারের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আজও তাঁদের জানানো হয়নি বলে কাঞ্চনের বাবা অভিযোগ করেছেন। তাঁর আক্ষেপ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমাদের দু’টি পরিবারকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে কেন্দ্র সরকারের কাছে আমরা ছেলেদের খুঁজে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় এলে ওদের খুঁজে বের করার কিছু ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু এখনও তিনি কোনও খবর দিতে পারলেন না।”
বাসুদেববাবু জানান, কাঞ্চনের মা শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য সারা দিন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। সংসারের শান্তি উড়ে গিয়েছে। জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “তাঁদের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.