স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলায় আগ্রহী করতে চায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় এ কথা জানান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের মাঠমুখী করতে নয়া নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুলগুলিতে নিয়মিত খেলাধূলার ক্লাস নেওয়া দরকার। ক্লাস নেওয়া ঠিক মতো হচ্ছে কি না রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদকে দেখতে বলা হয়েছে।”
তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাদ্রাসাগুলির পড়ুয়াদের নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করা হয়। অথচ, স্কুলগুলিতে নিয়মিত খেলাধূলা করা হয় না। মন্ত্রী বলেন, “আগে যা হওয়ার হয়েছে, এ বার থেকে প্রতিটি স্কুলে নিয়মিত ক্রীড়ার ক্লাস নেওয়া হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদ থেকে স্পটার পাঠানো হবে।” তাঁদের সরকারের নীতি শুধু শহরাঞ্চলের খেলাধূলার উন্নতি করা নয়, গ্রামাঞ্চলেরও খেলাধূলার প্রসার করাও তাঁদের লক্ষ্য বলে মদনবাবু দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “কায়িক পরিশ্রমের ক্রীড়া ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলের ছেলে মেয়েরা উঠে এসেছেন। এই ধরনের প্রতিভা খুঁজে বের করে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” এ প্রসঙ্গে তিনি আর্ন্তজাতিক মানের খ্যাতি সম্পন্না সোমা, পিঙ্কিদের উদাহরণ তুলে ধরেন। |
এ দিন পুরুলিয়ায় মানভূম ক্রীড়া সংস্থার মাঠে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আয়োজিত ২৯ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি এসেছিলেন। প্রতিযোগীদের খালি পায়ে মাঠে নামতে দেখে মন্ত্রী বলেন, “প্রতিযোগীদের খালি পায়ে খেলতে দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে।” তিনি প্রতিযোগীদের জুতো ও খেলার পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য ক্রীড়া দফতর থেকে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। পরে তিনি পুরুলিয়ার নির্মিয়মান ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাজ পরিদর্শন করেন। টাকার অভাবে ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাজ আটকাবে না বলে তিনি আশ্বাস দেন।
তিনি জানান, স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণে কলকাতায় আমন্ত্রণমূলক ফুটবল প্রতিযোগিতা হবে। সেই খেলায় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জঙ্গলমহল ও ডুয়ার্সের দলও অংশ গ্রহণ করবে। ২৫২ জন পড়ুয়া অংশ গ্রহণ করেছিল। উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের রাজ্য সচিব রত্না বাগচি, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা সভাপতি নীলকমল মাহাতো, রাজ্যের স্বনির্ভর দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো প্রমুখ। |