|
|
|
|
চিনাকুড়ি |
ডিপিএসসি বন্ধই, চিন্তায় শ্রমিক-কর্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
কয়লার অভাবে দু’সপ্তাহের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে রয়েছে ডিসেরগড় পাওয়ার সাপ্লাই কর্পোরেশনের (ডিপিএসসি) চিনাকুড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের। কবে ফের ওই কেন্দ্রটিতে উৎপাদন চালু হবে, তা সংস্থা কর্তৃপক্ষও ঠিক ভাবে বলতে পারছে না। এই অবস্থায় বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন বন্ধ সংস্থাটির শ্রমিক-কর্মীরা। দিনে-রাতের অনেকটা সময় বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকছে চিনাকুড়ি-সহ আশপাশের এলাকাগুলি।
চিনাকুড়ি অঞ্চলে বিদ্যুৎ কিনে সরবরাহ করে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তবে এলাকার কিছু কারখানাকে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় ডিপিএসসি।২১ নভেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ডিপিএসসি-র চিনাকুড়ি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। কারণ, ইসিএল কয়লা দিচ্ছে না। ইসিএলের ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) তথা কয়লা সরবরাহ সংক্রান্ত বিভাগীয় প্রধান সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ডিপিএসসি-র কাছে ১৩ কোটি টাকা পাবেন। বকেয়া না মেটালে কয়লা দেওয়া হবে না।
ডিপিএসসি সংস্থা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সোমেশবাবু বলেন, “আমরা চার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেব। পরিবর্তে ইসিএল-কে চার মাসের কয়লা দিতে হবে। তবে চার মাসের আগে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির টাকা ভাঙানো যাবে না, সে কথা ইসিএল-কে লিখিত দিতে হবে।” ইসিএলের ডিরেক্টর সুব্রতবাবু দাবি করেন, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেওয়ার সময়ে কোনও চুক্তি আরোপ করা যায় না। তাই তাঁরা লিখিত কিছু দেবেন না।
দুই সংস্থার এই টানাপোড়েনে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে চিনাকুড়ির শ্রমিক-কর্মীদের। বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদন মার খাচ্ছে বিভিন্ন কারখানারও। আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের উপদেষ্টা রাজেন্দ্রনারায়ণ যাদব দাবি করেন, কোল ইন্ডিয়া এবং চিনাকুড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিজেদের ঝামেলা মিটিয়ে অবিলম্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু না করলে অনেক কারখানাই ক্ষতির মুখে পড়বে।
ডিপিএসসি-র বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় এলাকায় যে বিদ্যুৎ সঙ্কটের অভিযোগ উঠেছে, তা স্বীকার করেছেন সংস্থার এক কর্তা সোমেশ দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “আমরা ডিভিসি-র কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে কিছুটা ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু বেশি দিন এ ভাবে চলতে পারে না।” বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু না হলে সংস্থাটির ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে সোমেশবাবু মন্তব্য করেছেন।
বাড়ি তৈরির উদ্যোগ। বেসিক সার্ভিসেস ফর আরবান পুওর প্রকল্পের অধীনে গরিবদের জন্য বাড়িগুলি দ্রুত সম্পূর্ণ করতে উদ্যোগী হয়েছে আসানসোল পুরসভা। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের পদাধিকারী ও বাস্তুকারদের নিয়ে বৈঠক করেন আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই প্রকল্পের অধীন বেশ কিছু বাড়ি বছর তিনেক আগে শুরু হয়েছিল। কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে। প্রাপকদের কথা ভেবেই এগুলি দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বাড়িগুলির নির্মাণ কাজ মাঝপথে কেন থেমে গিয়েছিল সে বিষয়ে অবশ্য তিনি কিছু জানাতে চাননি। |
|
|
|
|
|