|
|
|
|
বেশি যাত্রী চাপিয়ে অটো চলাচল রুখতে অভিযান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
দীর্ঘ দিন ধরেই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করার অভিযোগ রয়েছে অটোগুলির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন মোড়ে পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। এ দিন কোনও শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও ফের অনিয়ম ধরা পড়লে আইনভঙ্গকারী অটোর মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক অনিমেষ সিংহরায়। অন্য দিকে, পরিবহণ দফতরের তরফে এ দিনের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে দুপুরের পর থেকে অটো চলাচল বন্ধ করে দেন অটো মালিকেরা। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
বর্তমানে দুর্গাপুরের বিভিন্ন রুটে প্রায় ১৬০টি অটো চলে। নিয়মানুযায়ী চার জন যাত্রী নিয়ে অটো চলার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফার কথা ভেবে কোনও কোনও সময় অটোগুলি পাঁচ জন, কখনও আবার ৬ জন যাত্রী নিয়েও চলাচল করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে তাই বিভিন্ন মোড়ে অটো আটকে দেখা হয় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সেগুলি চলাচল করছে কি না। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, অধিকাংশ অটোই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলে। এ দিন অটো মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক অনিমেষবাবু বলেন, “নিয়ম মেনে যাত্রী তোলার জন্য বলা হয়েছে অটো মালিকদের। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।”
এ দিকে পরিবহণ দফতরের অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন রুট থেকে অটোগুলি তুলে নিয়ে সেগুলিকে সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে দেন অটো মালিকরা। রাস্তায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘সিএনজি অটোরিক্সা অপারেটরস ইউনিয়ন’-র সাধারণ সম্পাদক নাড়ুগোপাল দত্তের দাবি, বর্তমানে সিএনজি-এর দাম বেড়ে গিয়েছে। বেড়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশের দামও। কিন্তু যাত্রী ভাড়া বাড়েনি সেই অনুপাতে। তাই অটোচালকেরা বাধ্য হয়ে কখনও কখনও বেশি যাত্রী তোলেন। তিনি বলেন, “কঠোরভাবে নিয়ম মানতে গেলে আমাদের পেটে টান পড়বে।” যদিও যাত্রীদের বিপাকে ফেলে কেন হঠাৎ দুপুরের পর তাঁরা কেন অটোগুলি বন্ধ করে দিলেন, তার কোনও জবাব মেলেনি। তিনি শুধু বলেন, “শুক্রবার সকাল থেকে নিয়মিত অটো চলবে।” |
|
|
|
|
|