|
|
|
|
কেশপুরে দলের বিরুদ্ধেই মিছিলে তৃণমূলের একাংশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেশপুর আছে কেশপুরেই। সন্ত্রাসের অভিযোগের বিরাম নেই এই তল্লাটে। রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। সিপিএম গিয়ে তৃণমূল এসেছে ক্ষমতায়। বিধানসভায় কেশপুর আসনে সিপিএম প্রার্থী জিতলেও এখানেও এখন ‘দাপট’ তৃণমূলেরই। অধিকাংশ সিপিএম নেতা এলাকা ছাড়া। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে অনেকে ‘পলাতক’। সিপিএমের অনেক দলীয় কার্যালয়েই সেই জুন মাস থেকে তালা ঝুলছে। তবুও গোলমাল লেগেই আছে। তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর বিবাদেই তপ্ত কেশপুর।
|
|
দলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন কেশপুরের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। নিজস্ব চিত্র |
বৃহস্পতিবার সকালে দলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই মিছিল করলেন কয়েকশো তৃণমূল সমর্থক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়ের ছবি নিয়ে মিছিলে পা মেলান বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকেরা। ‘সন্ত্রাস’ ও ‘তোলাবাজি’ বন্ধের দাবিতে স্লোগানও দেন তাঁরা। এই ‘প্রতিবাদী’দের অভিযোগ, কেশপুরে দলের পূর্বতন ব্লক সভাপতি চিত্ত গরাই ও বর্তমান ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের লোকজন সন্ত্রাস করছেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ‘তোলা’ আদায় করছেন। দলের যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের উপরেও হামলা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা নেপাল ঘোষের অভিযোগ, “দলের একাংশের তোলাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদেই আমাদের মিছিল। আমরা চাই, নেত্রীর নির্দেশ মতো দল স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত হোক। এলাকায় শান্তি থাকুক। কিন্তু পূর্বতন ও বর্তমান ব্লক সভাপতি এবং তাঁদের সঙ্গীদের কাজকর্মে দলের বদনাম হচ্ছে। সন্ত্রাস, তোলাবাজি চলছে। আমরা তা হতে দেব না।” বর্তমান ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের অবশ্য দাবি, “যাঁরা মিছিল করেছেন তাঁরা দলের কেউ নয়। ওই মিছিলের বেশিরভাগই সিপিএমের সমর্থক। দু’চারজন তৃণমূল কর্মীকে সামনে রেখে সিপিএম চক্রান্ত করছে।” তিনি বলেন, “এই মিছিলের সঙ্গে যে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই, তা থানাতেও জানিয়েছিলাম। এমন মিছিলের যাতে অনুমতি দেওয়া না হয়, সে জন্যও পুলিশকে বলেছিলাম। তবু পুলিশ কেন অনুমতি দিল, বুঝতে পারছি না।” অন্য দিকে, ‘বিক্ষুব্ধ’ ও ‘প্রতিবাদী’ তৃণমূল নেতা নেপাল ঘোষ, মীর আরশেদ আলিদের ঘোষণা, “দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে।”
|
|
|
|
|
|