|
|
|
|
বঙ্কিম সেতু |
অন্যত্র ব্যবস্থার নামে ‘প্রতারণা’, প্রহৃত দুই হকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বঙ্কিম সেতু থেকে উচ্ছেদ হওয়া হকারদের অন্যত্র বসানোর নামে ফর্ম ছেপে টাকা নেওয়ার অভিযোগে দুই হকারকে বেধড়ক মারধর করল একদল হকার। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া আদালত চত্বরে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
|
রাস্তায় ফেলে মারধর। হাওড়া
কোর্ট চত্বরে। ছবি: রণজিৎ নন্দী |
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ হাওড়া আদালত চত্বরের বাইরের রাস্তায় কয়েকশো হকার জমা হন। আচমকা নিজেদের থেকেই দু’জনকে টেনে বার করে মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। ওই দুই ব্যক্তি আদালত চত্বরে ঢুকে পড়লে সেখানেও চলে মারধর। বিক্ষুব্ধ হকারদের অভিযোগ, বঙ্কিম সেতু থেকে তুলে দেওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই চার জন হকার একটি দল গড়েন। বঙ্কিম সেতুর পরিবর্তে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার সামনে থেকে হাওড়া রেল-মিউজিয়াম পর্যন্ত রাস্তায় হকারদের বসার জায়গা করে দেওয়ার নামে তাঁরা রীতিমতো ফর্ম ছাপিয়ে বিলি করতে থাকেন। আবিদ আলি মিদ্দে নামে এক হকার বলেন, “ওরা বলেছিল ফর্মগুলি হাওড়া সিটি পুলিশ বা হাওড়া থানায় জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকেই সবাই নতুন জায়গা পাবে। ফর্ম জমা নিয়ে কয়েক জনের থেকে টাকাও তুলেছে ওরা।”
শিবু মহারাণা নামে এক হকার বলেন, “আমরা ওই চার জন হকারকে ফর্মের মাধ্যমে জায়গা পাওয়ার মিথ্যে গল্প বন্ধ করতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা শোনেনি। আজও ওদের বারণ করি। কিন্তু ওরা মানতে না চাওয়ায় সকলে ক্ষেপে যায়।”
গত ১৮ অক্টোবর বঙ্কিম সেতু হকার মুক্ত করে হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য ছিল, সেতুর উপরে হাট বসায় ব্যাপক যানজট হয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও ছিল। এই ঘটনার পরে উচ্ছেদ হওয়া হকারদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত বদলায়নি।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) অখিলেশ চর্তুবেদী বলেন, “নতুন করে কোনও জায়গায় হকারদের বসতে দেওয়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ফর্ম জমা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারা এ সব করছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|