এই শহর জুড়ে নিরন্তর ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার মাত্র কয়েকটি হয়ে ওঠে সংবাদের শিরোনাম।
ভাল আর মন্দ
সেখানে হাত ধরাধরি করে আসে। শেষ তিরিশ দিনে প্রকাশিত শহরের সেরা শিরোনামগুলি
দিয়েই বোঝা যায় কেমন
আছে এ শহর। কলকাতার হাঁড়ির হাল বুঝতে ২১ জুন ২০১২ থেকে ২০ জুলাই ২০১২-র শীর্ষ শিরোনাম।
৬০% আসনে নিজেদের ছাত্র নেবে কলকাতা:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে ৬০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে তাদের অধীন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। বাকি ৪০ শতাংশ আসনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারবেন। প্রথম ৬০ শতাংশ আসনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে-সব ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন না, তাঁরাও বাকি আসনের প্রতিযোগিতায় সামিল হতে পারবেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই এই পদ্ধতি মেনে স্নাতকোত্তরে ছাত্র ভর্তি হবে বলে জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এত দিন স্নাতকোত্তরের ৯৫% আসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের পড়ুয়া ও বাকি ৫% আসনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু রাজ্য সরকার সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছে, সংরক্ষণের এই পদ্ধতি বদলে ৬০% আসনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের পড়ুয়াদের এবং ৪০% আসনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হোক। সুরঞ্জনবাবু সোমবার বলেন, “৪০% আসনে শুধুই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নয়, আমাদের কলেজগুলির ছাত্রছাত্রীরাও ভর্তি হতে পারবে। ওএমআর পদ্ধতি, মৌখিক, নাকি লিখিত পরীক্ষা কোন বিভাগ কোন পদ্ধতিতে ওই সব আসন পূরণ করবে, তা জানতে চেয়ে বিভাগীয় প্রধানদের কাছে চিঠি লেখা হবে।” উপাচার্য জানান, এই পদ্ধতিতে ছাত্র ভর্তি হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কলকাতার ভাগ্য ঝুলে:আই পি এলের মতো ওর্য়াল্ড সিরিজ হকি হলেও কলকাতার কোনও জায়গা ছিল না সেখানে। এ বার হকি ইন্ডিয়ার উদ্যোগে নতুন হকি লিগে কলকাতার কথা উঠছে। কিন্তু কলকাতার পরিকাঠামো খারাপ বলে, পূর্বাঞ্চল থেকে তারা অনিশ্চিত। রাঁচি ও গুয়াহাটি পরিকাঠামোর জোরেই এগিয়ে। এতদিনেও কলকাতায় কোনও হকি স্টেডিয়াম হয়নি বলে। এখনও রাজ্য হকি সংস্থার ভরসা, সাই। হকি ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি কুক্কু ওয়ালিয়া কলকাতার পরিকাঠামো দেখে গেলেন। তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করছেন ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ছ’টি শহরকে চুড়ান্ত ভাবে বাছা হয়ে যাবে। ১৩টির মধ্যে আটটি শহর ঘুরে পরিকাঠামো দেখেছেন হকি ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। প্রাক্তন হকি তারকা গুরবক্স সিংহ বলেন, “কলকাতার সাই রাজি আছে। সরকার রাজি থাকলে সাই-তে স্টেডিয়াম, ড্রেসিংরুম বানিয়ে উপযুক্ত করে তোলা যায়।” ছ’টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। চলবে এক মাস।
রাগবি খেলায় উৎসাহ জোগাতে শহরে এসেছিলেন
ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর খেলোয়াড়রা। ময়দানে অনুশীলনে।
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে রাস্তার আর্জি: সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে কলকাতার কোনও রাস্তাকে চিহ্নিত করার প্রস্তাব দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি দেখার জন্য বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানান তিনি। শোভনবাবু বলেন, “সতেন্দ্রনাথ বসুর বাড়ির আশপাশের কোনও রাস্তাকে বা শহরের অন্য গুরুত্বপূর্ণ পথকে তাঁর নামে চিহ্নিত করা হবে। বিষয়টি পুরসভার রাস্তার নামকরণ সংক্রান্ত কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে।”
খুলিট আসছেন কলকাতায়: এ মাসেই কলকাতায় আসছেন রুড খুলিট। ২৯ জুলাই এক বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে। ২৮ জুলাই আসবেন ডাচ কিংবদন্তি। ফুটবল সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে বাছবেন সেরা ফুটবলারদের। সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কলকাতায় আসার ব্যাপারে। ২৪ বছর আগে খুলিটের দাপটেই নেদারল্যান্ডস ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়। এখন সারা ইউরোপেই ডাচ দর্শন অনুসরণ করা হচ্ছে। রেশ পড়েছে ভারতীয় ফুটবলে। দেশের টিডি, জাতীয় কোচ ডাচ। কোচ কোভারম্যান্স খুলিটের সঙ্গে ইউরো জয়ী টিমে ছিলেন।
রোনাল্ডিনহো এবং কলকাতা:বাস্তবে পরিণত হওয়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু রোনাল্ডিনহোর এজেন্ট ভারতের ক্লাবে খেলার ব্যাপারে প্রাথমিক আগ্রহ দেখালেন। রোনাল্ডিনহো এখন খেলেন ব্রাজিলের ছোট ক্লাব অ্যাটলেটিকো মিনেইরোতে। প্রয়াগ ইউনাইটেডের কর্তারা মেল করে জানতে চান, তিনি ভারতে খেলতে আগ্রহী কি না। রোনাল্ডিনহোর এজেন্ট আলদো জিওভানি কুর্লে প্রয়াগের ফুটবল কর্তা নবাব ভট্টাচার্যকে মেলে জানান, “ডিসেম্বর পর্যন্ত রোনাল্ডিনহো চুক্তিবদ্ধ। তারপরে ওকে নিতে যদি আগ্রহী থাকেন, আমাদের প্রস্তাব দিন। কত ট্রান্সফার ফি দেবেন জানান। আমরা খতিয়ে দেখব।”
ক্যানসার সারাতে সুইডেন থেকে শহরে: নিজের দেশে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে আরও তিন মাস অপেক্ষা করতে হত সুইডেনের উলা গ্রেনস্ট্রোমারকে। তত দিনে তাঁর কোলনের ক্যানসার হয়তো ছড়িয়ে পড়ত আরও অনেকটাই। ইন্টারনেট ঘেঁটে, পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এক আত্মীয়ের যোগসূত্র ধরে আসেন কলকাতায়। অস্ত্রোপচার করে তাঁকে নতুন জীবন দিলেন এই শহরের চিকিৎসকেরা। ই এম বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারটি হয়েছে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই হাসপাতালের ক্যানসার শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “গুরুতর হৃদ্রোগী, ৭২ বছরের উলাকে অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়াই একটি বড় ঝুঁকি ছিল। ওঁকে সুস্থ করে দেশে ফেরাতে পেরে প্রমাণ করা গেল, এই শহরের চিকিৎসকেরাও কোনও অংশে কম নন।” ক্যানসার চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পরে সুইডেনের চিকিৎসকদের সঙ্গে ই-মেলে যোগাযোগ রেখে সেখানেই ওঁর কেমোথেরাপির ব্যবস্থা হবে। তিনি বলেন, “প্রথম বিশ্বের একটি দেশ, যেখানে রাষ্ট্রই চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেয়, সেখানেও চিকিৎসার জন্য এমন দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ওই রোগিণীর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে কলকাতাকে বেছেছেন, সেটিই এই শহরের চিকিৎসকদের যোগ্যতা প্রমাণ করে।” বাইপাসের ওই হাসপাতালের সিইও স্বরাজব্রত পুরকায়স্থ বলেন, “হেলথ্-ট্যুরিজমের ভাবনাকে আরও প্রসারিত করার বিষয়ে এ রাজ্যের সরকার যথেষ্ট আগ্রহী। শহরের হাসপাতালগুলিও সে জন্য নিজেদের তৈরি রেখেছে।”
আজ শহরে আনন্দের সংবর্ধনা: একঝাঁক খুদে দাবাড়ুর সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বিরল এই সুযোগ বাংলার দাবাড়ুরা আজ বৃহস্পতিবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পেতে চলেছে। উপলক্ষ্য রাজ্য সরকারের দেওয়া সংবর্ধনা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পরে তামিলনাড়ু সরকার বিশ্বনাথন আনন্দকে সংবর্ধনা দিয়েছিল। দেশের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ। আজ সকালে শহরে আসছেন আনন্দ। বিকেলে সংবর্ধনায় সরকারের তরফে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। রাজ্য দাবা সংস্থাও সংবর্ধিত করবে আনন্দকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে আনন্দের একমাত্র ভারতীয় সেকেন্ড বাংলার সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায় সংবর্ধিত হবেন। দিব্যেন্দু বড়ুয়া ছাড়াও থাকবেন বাংলার বাকি নামী দাবাড়ুরাও। প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামীদের মতো ব্যক্তিত্বদেরও থাকার কথা। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র জানাচ্ছেন, আনন্দকে অনুরোধ করা হবে মাঝেমাঝে কলকাতায় এসে যাতে আলেখিন চেস ক্লাবের মতো কোনও জায়গায় দাবার প্রশিক্ষণ দেন।
ফেডেরারের মধ্যে নিজেকে দেখতে পাই’: একদিনের ঝটিকা সফরে এসে দিব্যেন্দু বড়ুয়ার দাবা অ্যাকাডেমিতে বসে আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ। http://www.anandabazar.com/archive/1120713/13khela2.html
এসএসকেএম -এ এজেন্টদের জেহাদ, বন্ধ হার্টের ওটি: কর্তৃপক্ষের বাধায় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকতে না পেরে শুক্রবার এসএসকেএমে হৃদ্রোগীদের স্টেন্ট এবং পেসমেকার সরবরাহ বন্ধ রাখলেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ফলে চিকিৎসকেরা কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে বাধ্য হলেন দিনভর। দুর্ভোগে পড়লেন অসংখ্য রোগী। এ দিন বিকেলে সুপারের সঙ্গে ওই সব সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। কিন্তু তাতেও কোনও স্থায়ী সমাধানসূত্র মেলেনি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতালে সরঞ্জাম সরবরাহকারীদের প্রবেশাধিকার চেয়ে সুপারকে চিঠি লিখে বিতর্কে জড়িয়েছেন যিনি, সেই চিকিৎসক অরূপ দাস বিশ্বাসকে আগামী সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য -শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সুপার তমালকান্তি ঘোষ বলেন, “আমরা বারবার অনুরোধ করেছি রোগীদের স্বার্থে তাঁরা যাতে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখেন। ওটির ভিতরে ঢুকতে না দিলেও কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের নীচে তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। দেখা যাক ওঁরা কী করেন।” এ দিন সরবরাহ বন্ধ রেখে রোগীদের বিপাকে ফেলার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? সুপার বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত জানিয়েছি।” অভিযুক্ত চিকিৎসক অরূপবাবু বলেন, “রোগীদের সমস্যা এড়াতেই সংস্থার প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলাম। এতে ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থ নেই।”
গাড়িতে তেল ভরতে গিয়ে বাঙালি কিনছে শাড়ি ! ডিজেল নিতে গিয়ে হাতে উঠে আসছে ঘর সাজানোর জন্য বাঁকুড়ার ঘোড়া বা কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল ! এমন ব্যবস্থাই করছে রাজ্য সরকার http://www.anandabazar.com/archive/1120716/16bus3.html
বৃষ্টি বাঁচিয়ে বিশ্রাম। শহরের পথে। ছবি: প্রদীপ আদক
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.