১৫ ভাদ্র ১৪১৮ বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর ২০১১


বধর্মান: কাটোয়া
চৌধুরী বাড়ির পুজো
পুজোর শুরু
আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগেকার কথা। কাটোয়া শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গুসুম্ব গ্রাম। ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য গ্রাম ছেড়ে কাটোয়া শহরের সিদ্ধেশ্বরীতলায় বাসা বাঁধলেন মুচিরাম দত্ত। তিনি সিদ্ধেশ্বরীতলায় নিজের বাড়িতে দুর্গা পুজো শুরু করলেন। মুচিরামবাবুর কোনও পুত্রসন্তান ছিল না। জামাই জ্যোতিরিন্দ্র মোহন চৌধুরী পরবর্তীকালে এই পুজোর ভার নেন। তাই মুচিরাম দত্তের প্রতিষ্ঠিত পুজো শহরে চৌধুরী বাড়ির পুজো বলে পরিচিতি পায়।

পুজোর বৈশিষ্ট্য

এই বাড়িতে দেবী মূর্তি ভৈরবী। এক সময় এই বাড়ির মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ ‘নিষিদ্ধ’ ছিল। তাঁদেরকে ঘর থেকে দেবী দর্শন করতে হত। এমনকী পুজো অর্চনাতেও মহিলাদের কোনও ভূমিকা থাকত না। ব্রাহ্মণরাই পুজোর জোগাড় করতেন। সময়ের সঙ্গে বাড়ির কঠোর অনুশাসনের ভিত আলগা হয়েছে, পাশাপাশি লোকজনের অভাব দেখা দেওয়াতে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন মহিলারাই পুজোর দায়িত্বে। পুজোর নিয়মেও অনেকখানি শিথিলতা এসেছে। এখনও পুজোর সময় ৭০ থেকে ৮০ জনের পাত পড়ে। এখন আর ভিয়েন বসে না। অনেক কিছইু ‘নেই’ তবে তার মধ্যেও বনেদিয়ানা অটুট রয়েছে।



গঙ্গাটিকুরির বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ির পুজো
হলুদ রঙের বিশাল বাড়ি। তার সামনে বাগান। গঙ্গাটিকুরির এই বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্কিম যুগের রম্য সাহিত্যিক ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির পোশাকি নাম ‘ইন্দ্রালয়’। পেশায় আইনজীবী ইন্দ্রনাথ বাবু ১৮৭৪ সালে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু করেন। ১৩৭ বছর পরেও এই পুজো ঐতিহ্যে অমলিন। পুজোর খরচের জন্য তৈরি করা হয়েছে অভয়াচরণ ট্রাস্ট।
পুজোর শুরু
পরিবারের সদস্যদের কথায়, পেশায় আইনজীবী ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান আদালত থেকে গঙ্গাটিকুরি ফিরছিলেন। সেই সময় তিনি দেখেন পথের ধারে এক বৃদ্ধা বসে কাঁদছে। জানতে পারেন, বৃদ্ধাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে সেই বছরে গ্রামে পুজো হয়নি। তখন ইন্দ্রনাথবাবুর ধারণা হয়, বৃদ্ধা রূপে দেবী দুর্গা তাঁর কাছে এসেছিলেন পুজো করার নির্দেশ দিতে।

এর পরের বছর, অর্থাৎ ১৮৭৪ সালে দেবী দুর্গা ইন্দ্রালয়ে পূজিত হন। প্রথম বছর পুজো করেন পঞ্চানন তর্কতীর্থ। তিনি চণ্ডীপাঠও করেছিলেন।

পুজোর বৈশিষ্ট্য
ঠাকুরদালানের মস্ত একচালার প্রতিমা ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। দেবীপক্ষের শুরুর পর থেকে চণ্ডীপাঠও শুরু হয়ে যায়।

গ্রামের মধ্যে একটি বেলগাছ আছে। সেখানে চতুর্থী থেকে পুজো আরম্ভ হয়। সপ্তমীর সকালে শোভাযাত্রা করে কলাবউ স্নান করিয়ে মন্দিরে রাখা হয়। দশমীর দিন থাকে মহোৎসব। এ ছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ির ভিতর বিশাল চত্বরে নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জলসা বসে।

ভোগ বিশেষত্ব
পুজোর সময় দেবীর জন্য বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। তাঁর মধ্যে অন্যতম চিনির ভোগ।

তথ্য: সৌমেন দত্ত
ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
 
হাওয়াবদল
উত্তর ২৪ পরগনা
• শ্যামনগরের ঘটকবাড়ি
• বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি
উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসত
• শিবের কোঠায় মোগল বধূর পুজো
• শিবানন্দ রোডের গুহবাড়ি
কলকাতা
• কলুটোলা রায়বাড়ি
কলকাতা: বেহালা
• হালদারবাড়ি
• মুখোপাধ্যায়বাড়ি
হুগলি: আরামবাগ
• ব্যানার্জি পাড়ার পুজো
• গড়বাড়ির রাজপরিবারের পুজো
• রাংতাখালির প্রাচীন পুজো
হাওড়া
• জগৎবল্লভপুরের রায় পরিবার
• আমতার ন্যায়রত্ন পরিবার
মেদিনীপুর
• তমলুকের ভট্টাচার্যবাড়ি
• রোহিণীগড়ের দুর্গাপুজো
বধর্মান
• কাঞ্চননগরের দাসবাড়ি
• রাধাবল্লভ জীউ মন্দিরের পুজো
বধর্মান: কাটোয়া
• চৌধুরীবাড়ি
• গঙ্গাটিকুরির বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ি
পুরুলিয়া
• গড় পাথর মহড়া রাজবাড়ি
• বিষ্ণুপুর রাজবাড়ি
• ছাতনার রাজবাড়ি
বীরভূম
• বসাকবাড়ি
• সরকারবাড়ি
মুর্শিদাবাদ
• বহরমপুর আদিদুর্গা পুজো
• কৃষ্ণনগরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পুজো
• ডোমকল জমিদারবাড়ির পুজো
উত্তরবঙ্গ: রায়গঞ্জ
• রায়চৌধুরী পরিবারের পুজো
• দক্ষিণ বীরনগরের সাহাবাড়ি
উত্তরবঙ্গ: কোচবিহার
• রামেন্দ্র ভবনের পুজো
• দিনহাটার সাহাবাড়ি
উত্তরবঙ্গ: জলপাইগুড়ি
• ভুঁইয়া বাড়ি
• কামারপাড়ার নিয়োগীবাড়ি