আগুনে ধোঁয়ায় আমরি-আতঙ্ক এসএসকেএম, মেদিনীপুরেও |
|
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: ওয়ার্ডের মধ্যে কালো ধোঁয়া দেখে বিছানা থেকে ওঠার চেষ্টা করছেন মুমূর্ষু রোগীরা। চারদিক ঝাপসা, শুরু হয়েছে শ্বাসকষ্টও। আউটডোরের রোগীরা পড়িমরি করে ছুটে বেরোচ্ছেন। গুরুতর অসুস্থদের উদ্ধার করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি ছোটাছুটি করছেন রোগীদের আত্মীয়রাও। অনেককে বার করে এনে কোনওমতে রাখা হচ্ছে হাসপাতাল চত্বরের গাছতলায়। বুধবার সকাল ন’টা। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল তখন আতঙ্কপুরী।
প্রায় একই সময়ে সওয়াশো কিলোমিটার দূরে এক নার্সিংহোম জুড়েও তখন শুধু ভয়ার্ত রোগীদের চিৎকার। বেসমেন্ট থেকে পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। |
|
অগ্নি-সুরক্ষার পাঠ নেয়নি সরকারি হাসপাতাল
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: আমরি-কাণ্ড থেকে বিন্দুমাত্র শিক্ষা নেয়নি শহরের কোনও সরকারি হাসপাতাল।
এখনও যে ন্যূনতম নজরদারি বা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেই, বুধবার এসএসকেএমের অগ্নিকাণ্ড ফের তা
সামনে আনল।
অগ্নিবিধি মেনে চলা তো দূর অস্ৎ, নিয়মিত বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষারও বন্দোবস্ত নেই।
চার দিকে
বিদ্যুতের খোলা তার, বেসমেন্টে দাহ্য পদার্থ, কাজ শেষ হওয়ার পরেও বন্ধ হয় না এসি মেশিন।
আর তার জেরেই বিপন্ন হয় রোগীদের নিরাপত্তা।
আমরির ঘটনার পরে হঠাৎ তৎপর হয়ে ওঠা স্বাস্থ্য
দফতর নির্দেশ জারি করেছিল, সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিয়মিত ‘ফায়ার ড্রিল’ করে অগ্নিকাণ্ড
মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চিকিৎসক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, সকলকেই। |
|
বেসমেন্ট খালির প্রতিশ্রুতিই সার |
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: দু’দিকের রাস্তাই সংকীর্ণ। তার মধ্যেই মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগরে মাথা তুলেছে বেসরকারি হাসপাতালটি। পাঁচতলা হাসপাতালে ১০১টি শয্যা। দোতলা-তেতলা ও তার উপরে ওঠার সিঁড়িও সংকীণর্র্। বুধবারের ঘটনার পর এই বেসরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিজনরা। এ জন্য পুর-প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরকে দুষছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতাল কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ কর্তার ‘বিশেষ সখ্য’র জন্যই পরিকাঠামো ছাড়া এখানে হাসপাতাল গড়ে স্বাস্থ্য-ব্যবসা চালাতে সমস্যা হয়নি। অভিযোগ উড়িয়ে বেসরকারি এই হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পীযূষ পালের দাবি, “রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে আমাদের সব সময় নজর থাকে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোই ছিল।” |
|
|
|
মই বেয়ে পাশের ছাদে
নামানো হল শিশুদের |
|
আগুনের খবর পেয়েই
ছুটে গেলেন স্থানীয়েরা |
|
|
|
|
|
শিশু ওয়ার্ড না বাজার,
প্রশ্ন মায়েদের |
|
শিশু বিভাগে হঠাৎ আগুন,
উদ্বেগ কৃষ্ণনগরে |
|
|
চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই, রোগীরা
অসহায় চাকুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে |
|
টুকরো খবর |
|
|