বুধবার অগ্নিকাণ্ডকে ‘অন্তর্ঘাত’ বলে ব্যাখ্যা করলেন মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগরের বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা অন্যতম মালিক পীযূষ পাল বলেন, “আমার মনে হচ্ছে এ ক্ষেত্রে সাবোতাজ হয়েছে।”
পীযূষ পাল। নিজস্ব চিত্র। |
আমরি-কাণ্ডের পর এই নার্সিংহোম পরিদর্শনে এসেছিল স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল। সঙ্গে দমকল-কর্তাও ছিলেন। সেই সময় কয়েকটি বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। স্পষ্ট জানানো হয়, বেসমেন্ট খালি করতে হবে। সেখানে দাহ্যবস্তু মজুত করে রাখা যাবে না। অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশ উপেক্ষা করে বেসমেন্টে দাহ্যবস্তু মজুত রাখা হয়েছিল। আর তার জন্যই অগ্নিকাণ্ড। পীযূষবাবুর অবশ্য দাবি,“ আমরির ঘটনার পর আমরা সতর্ক হয়েছিলাম। আগুন ছড়িয়ে পড়ার মতো দাহ্যবস্তু ওখানে রাখা হয় না।” বেসমেন্টে একটি ওষুধ দোকান রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এর পাশেই দাহ্যবস্তু মজুত করে রাখা হয়েছিল। তা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অদূরে বেশ কয়েকটি অক্সিজেন সিলিন্ডারও মজুত করে রাখা হয়েছিল। তুলো, গজ প্রভৃতি থাকার ফলেই বেসমেন্টে দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও পীযূষবাবুর সাফাই, “ওখানে তুলো ছিল বলে আমার জানা নেই।”
হঠাৎ অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন কেন? ঘনিষ্ঠ মহলে পীযূষবাবু বলেছেন, মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। চিকিৎসার অভাবে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত চিকিৎসক এই নার্সিংহোমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সম্ভবত সে জন্যই কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পীযূষবাবুর এই যুক্তিকে অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন হাসপাতালের একাংশ কর্মীই। |