তার পুড়ছে দেখেই বলি, কেউ শোনেনি
কোত্থেকে কী হয়ে গেল, বুঝতেই পারছে না সুরজিৎ রায়।
বছর তেরোর সুরজিৎ মেদিনীপুরের স্পন্দন নার্সিংহোমের কর্মী। বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হঠাৎই বেসমেন্টের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক তার পুড়তে দেখে সে। তার থেকে চড়চড় শব্দও হচ্ছিল। বিপদ হতে পারে ভেবে বিষয়টি হাসপাতালের অন্য কয়েকজন কর্মীর নজরে আনে এই কিশোর। কিন্তু অভিযোগ, ওই কর্মীরা তার কথা

সুরজিৎ রায়। নিজস্ব চিত্র
গুরুত্ব দেয়নি। উল্টে ধমক দেন। জানান, এমন তো মাঝেমধ্যেই হয়! ‘বড়’দের কথার উপর আর কথা বাড়ায়নি সে। মিনিট খানেক পরে অবশ্য ‘ছোট মুখে’র কথাই সত্যি হল। ‘বড়’রা যখন তা বুঝলেন, ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে বেসমেন্টের চারপাশ। ক্রমে সেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।
ঘন ধোঁয়ার মধ্যে পড়ে জ্ঞান হারায় সুরজিৎ। হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী তাকে উদ্ধার করে। চোখেমুখে জল দেওয়ার পর অবশ্য জ্ঞান ফেরে। সুরজিতের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের পাটনাবাজারে। গত ক’মাস ধরে রবীন্দ্রনগরের এই নার্সিংহোমে সে কাজ করছে। বুধবারের ঘটনা তার কিশোর-মনকেও ছুঁয়ে গিয়েছে। আগুন যখন ধীরে ধীরে আয়ত্তে আসছে, তখন হাসপাতালের পাশের এক বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সকালের কথাটাই বারবার মনে পড়ছিল তার। সে বলছিল, “তার পুড়তে দেখেই আমি বড়দের বলি। কিন্তু, কেউই কথা শুনল না!”
নার্সিংহোমে কেন এক কিশোর কাজ করবে? হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পীযুষ পালের ব্যাখ্যা, “কর্মী বলা ঠিক না। ও শুধু গাড়ি ধোয়ার কাজ করত!” আর তা শুনে সুরজিতের মন্তব্য,“ পীযূষবাবু এমন কথা বলেছেন না কি? তাহলে হয়তো মজা করেই বলেছেন!



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.