হাসপাতালের ছাদে লিফটের মেশিন ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াল। বুধবার দিনহাটা হাসপাতালে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অফিসারদের ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে ওই ঘটনা ঘটেছে। দিনহাটার মহকুমাশাসক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অগাস্টিন লেপচা বলেন, “তিন তলার ছাদে বসানো লিফটের মেশিন ঘরে আগুন লেগে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় সমস্যা হয়। তবে বড় কোনও বিপদ হয়নি। কেউ জখমও হননি। পূর্ত কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “এমন ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সেই বিষয়ে পূর্ত দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দুই বছরের মধ্যে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে এই নিয়ে তৃতীয়বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। এর আগে হাসপাতালের স্টোররুমে এবং শিশু বিভাগের ঘরেও একই ভাবে সট সার্কিট থেকে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। লো-ভোল্টে গত কয়েকদিন লিফট অচল থাকার পাশাপাশি তড়িঘড়ি কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসায় বড় বিপদের আশঙ্কা এড়ানো গিয়েছে। সকাল ১১টা নাগাদ তিন তলার ছাদে থাকা লিফটের মেশিন ঘর থেকে ধোঁয়া বার হতে শুরু করে। হাসপাতালের তিনতলায় থাকা শিশু বিভাগ, মহিলা বিভাগেও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। তা দেখেই আতঙ্ক ছড়ায় রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে। বিপদ এড়াতে নেমে আসার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মন্ডল-সহ অন্য কর্তারাও তিনতলায় ছুটে যান। দমকলের পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও হাসপাতালে আসেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আধঘন্টার মধ্যে অবশ্য পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। দিনহাটা নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক বলেন, “দুই বছরে হাসপাতালে তিন বার আগুন লাগল। আমরি-কান্ডের পরেও যথেষ্ট সতর্কতা যে নেওয়া হয়নি তা এ দিন স্পষ্ট হয়েছে। হাসপাতালের বহু পুরানো তার বদল ও অগ্নিনির্বাপণের ব্যাবস্থা ঢেলে সাজা দরকার।”
|
অসুস্থতার কারণে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ইসিজি বিভাগের একমাত্র কর্মী না আসায় ফিরে যেতে হল অনেক রোগীকে। বুধবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোগীর লোকজনদের অনেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে নিজেদের ক্ষোভ জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনা কেবল এ দিনই ঘটেছে তা নয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি, আলট্রাসোনগ্রাফি বিভাগেও একজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছে। তিনিই সব কাজ করেন। এক্সরে বিভাগেও ১ জন কর্মী। তাঁরা অসুস্থতার কারণে কখনও ছুটি নিলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা বন্ধ থাকছে। হাসপাতালের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত ২ দিন ধরে অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজ করেছেন ইসিজি বিভাগের ওই কর্মী। কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদনও জানিয়েছিলেন। এ দিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আসতে পারেননি। রোগীরা ফিরে যাচ্ছে দেখে হাসপাতালের অন্য বিভাগের অপর এক কর্মীকে দিয়ে কয়েক জন রোগীর ইসিজি করানো হয়। তবে ইসিজি করাতে আসা অধিকাংশ রোগী এ দিন ফিরে গিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত সুপার অশোক বিশ্বাস মন্তব্য করতে চাননি।
|
সার্বিক উন্নয়ন দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
মালবাজার মহকুমা হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে হাসপাতাল সুপারকে স্মারকলিপি দিল যুব কংগ্রেস। গত মঙ্গলবার তারা এই স্মারকলিপি দেয়। বুধবার এলাকার যুব কংগ্রেস নেতা শুভশঙ্কর ঘোষ জানান। চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালে রক্ত সঞ্চালন বিভাগ খোলার দাবিও জানানো হয়েছে। শল্য চিকিৎসার পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও জোর দিতে বলা হয়েছে। শুভশঙ্করবাবু জানান, মালাবাজার শহর ছাড়াও পাহাড় ও ডুয়ার্সের চা বাগান এলাকার প্রচুর মানুষ মহকুমা হাসপাতালের উপরই নির্ভর করেন। তাই অবিলম্বে পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন।
|
‘গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘে’র উদ্যোগে বুধবার রক্তদান শিবির হল মেদিনীপুর আদালত চত্বরের সামনে। উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক মির দারা শেখো। ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি দেবীদাস চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক রঘুনাথ ভট্টাচার্য। ৩৩ জন রক্ত দেন। ৫২ জনের ইসিজি-ও করা হয়। |