পুরুলিয়া-বাঁকুড়া পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে তৃণমূলের দাপট প্রশান্ত পাল, পুরুলিয়া ও সমীর দত্ত, বান্দোয়ান: আড়াই বছর আগের বিধানসভা নির্বাচনে তবু কিছুটা প্রভাব ছিল। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে জোর ধাক্কা খেল সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। বলরামপুর থেকে বাঘমুণ্ডি, ঝালদা থেকে আড়শাসর্বত্রই পর্যদুস্ত হয়েছে বামেরা। রাজ্যে পালাবদলের পরে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে বলে যে দাবি বারবার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জঙ্গমহলের মানুষ তাতেই আস্থা রেখেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। খাতড়া, রানিবাঁধ, সারেঙ্গাতেও জয় শাসক দলেরই দেবব্রত দাস, খাতড়া: যেন পুরুলিয়ারই প্রতিচ্ছবি! এক সময়ে সিপিএমের ‘গড়’ ছিল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল। এমনকী, গত বিধানসভা ভোটে ‘মমতা-ম্যাজিকে’ও অটুট ছিল ‘লালদুর্গ’। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে সেই ‘দুর্গ’ও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। কোনও ব্লকে মাত্র একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা ধরে রেখে মুখরক্ষা হল। আবার কোনও ব্লকে ক্ষমতা হল শূন্য। ঘাসফুলেই আস্থা দুই জেলার ভোটারদের আম, লণ্ঠন, সাইকেলে ভর করেই জয়ী বিক্ষুব্ধেরা বীরভূম জয়ের দাপটে অনুব্রতর অস্বস্তি কসবা, নানুরও নিজস্ব প্রতিবেদন: দল জেলায় দাপটে জিতেছে। সোমবার গণনার প্রথম দিনের শেষে হাসতেই পারতেন তিনি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের সেই হাসি চওড়া হতে দিল না কসবা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতকেই মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখেছিলেন তিনি। হুমকি দিয়েছিলেন নির্দলরা (আদতে যাঁরা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ) হামলা করলে পাল্টা বোমা মারতে। এই হুমকির জেরে তাঁর মাথার উপরে ঝুলছে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা। জেলা পরিষদে কি একাধিপত্য থাকবে, ১৮টি আসন নিয়েই চিন্তায় শাসক দল অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়, বাঁকুড়া ও ভাস্করজ্যোতি মজুমদার, বীরভূম: আশঙ্কায় সত্যি হল। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকাশিত ফল খানিকটা হলেও কপালে ভাঁজ ফেলল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। রাজ্যের প্রায় সর্বত্র বামেদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের ঝড়ে উড়ে গেলেও খানিকটা উল্টো চিত্র দেখা গেল রামপুরহাট মহকুমায়। সবুজ নানুরে চমকালেন শফিকুল তৃণমূলকে টক্কর দিল কসবার নির্দলেরাই জমি আন্দোলনের কী হবে, সংশয়ে লোবা পরিবর্তনের হাওয়া অটুট চিত্র সংবাদ