সময়ের নিয়ম মেনেই অতীতের কিশোরী আজ বয়স্কা নাগরিক। সে সময়ের কিশোর এখন প্রাজ্ঞ বিদ্বজ্জন। সে দিনকার সেই শহর এখন আরও ঝলমলে,
আরও আধুনিক। তবু, সময়ের এই বদলানো নিয়মের মধ্যে কিছু অনুভূতি আটকা পড়ে যায়। তারা যেন একই রকম ভাবে নাড়া দিয়ে যায় চিরটা কাল।
বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো তেমনই এক অনুভূতি। ছোটবেলা থেকে এ-বেলা, পুজো মানে আসলে অনেকটা সুখের কথা, ভাল থাকার কথা, ভালবাসার
কথা, চোখ ভেজানোর কথাও। চিরন্তন সেই অনুভূতির কথা এ বার তারাদের কথায়। যে কথা এই সময়েও এসে মনে পড়িয়ে দেয় সে সময়টাকে।

বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ (আবৃত্তিকার)
জন্ম বাংলাদেশের রংপুরে হলেও আমার শহর এখন কলকাতাই। বড় হয়ে ওঠা, লেখাপড়া, কর্ম ও বিবাহিত জীবন সবই এই শহরকে কেন্দ্র করে। তখন আমি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে কয়েক বছর থাকার পরে পাকাপাকি ভাবে চলে আসি কলকাতায়।
কলকাতার দুর্গাপুজোর যে উন্মাদনা, তা ওই আগের দুই জায়গায় ছিল না। গোটা শহরে সাকুল্যে চার-পাঁচটি পুজো হত। সেই জায়গা থেকে এই শহরে যখন পুজোর ভিড় দেখতে শুরু করলাম, তখন মনে মনে বেশ ভয় হত। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে কোনও দিনই ঠাকুর দেখা আমার পছন্দের ছিল না।
ভবানীপুরের শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে আমার বড় হয়ে ওঠা। বিয়ে হয়ে চলে আসি কালীঘাট রোডে। বর্তমানে বাস ল্যান্সডাউনের কাছে বকুলবাগান রো-তে।
তখন নবম শ্রেণির ছাত্রী, বাড়ির লোকদের সঙ্গে কালীঘাটের সঙ্ঘশ্রীর ঠাকুর দেখতে গিয়ে দলছুট হয়ে যাই। সবাই খুঁজতে বের হয়। আমারও সে কি ভয়! এখনও যে খুব একটা ঘোরাঘুরি করি তা নয়। তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজমের সৌজন্যে পুরনো বাড়ির ঠাকুর দেখেছি দু’বছর। এক বছর সারা রাত বারোয়ারি ঠাকুরও দেখেছি। পুজোর উন্মাদনা সরাসরি গায়ে মাখি না। তবে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও কখনও ভাবতে পারি না। বাইরে থেকেই পুজোর আনন্দ উপভোগ করি।

শুভেচ্ছাবার্তা: এই উৎসবের দিনগুলো সক্কলের জন্য শুভ হোক।

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত
(নাট্য ব্যক্তিত্ব)
আমার ছোটবেলা আর পাঁচটা সাধারণ ছেলের মতো কাটেনি। তাই পুজোর আনন্দও সেই অর্থে বুঝেছি অনেক বড় বয়সে। মা ছিলেন অসুস্থ। তাই বড়দি সংসারের হাল ধরেছিলেন। দু’বেলা দু’টি স্কুলে পড়াতেন। একা একা বড় হয়েছি। কোনও বন্ধুও ছিল না। আর কোনও চাহিদাও তৈরি হয়নি। আমার বড় বৌদির বাপের বাড়ি ছিল কারবালা ট্যাঙ্কের কাছে। ওই বাড়িতে ২৫-৩০ জন সদস্য ছিল। ছোট ছেলেমেয়ের সংখ্যাও বেশ ভালই। দুর্গাপুজোর সময় ওই বাড়িতে তাই আমার যাতায়াত ছিল। নবমীতে আমাকে নিয়ে যাওয়া হত ওই বাড়িতে। তখন আমার বয়স দশ থেকে বারোর মধ্যে। আমি গোগ্রাসে ৫০ থেকে ৬০টি লুচি খেয়ে ফেলতাম। সবাই আমার খাওয়া দেখতেন। চোখের সামনে এখনও স্পষ্ট দেখতে পাই আমাদের দারিদ্রতা।
পুজোর উৎসবের আরও একটা বড় অংশ প্রতিমা বিসর্জন। কিন্তু আমি কোনও দুর্গাপুজোর বিসর্জনে শহরে থাকি না। আমার আগের ভাই কালীপুজোর বিসর্জনের দিন ডুবে মারা যান।
আমার জীবনে পুজো এসেছে অনেক পরে। যখন আমি স্বাতীলেখা ও সোহিনীকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে গিয়েছি।
বাঙালির কাছে পুজোর তাৎপর্য পরস্পরের সঙ্গে মেলামেশা। গ্রামের মানুষের শহরে আসা। পুজো মানেই যেন একটু বড় হয়ে ওঠা। প্রথম খাওয়া সিগারেট। প্রেমে পড়া। একটু যেন পেকে ওঠা। সেই সরলতা এখন নেই। বিশেষ করে কর্পোরেট সেক্টরে পুজো চলে যাওয়ায় সেই আন্তরিকতাই নেই।
পুজোর চাঁদা নিয়ে পাড়ার লোকেদের মন কষাকষি, রাগারাগি আবার পুজোর মণ্ডপে তা মিটিয়ে নেওয়ার আনন্দ এখন যে আর নেই।

শুভেচ্ছাবার্তা: ‘আমার জ্বলেনি আলো অন্ধকারে, দাও না, দাও না সাড়া কি তাই বারে বারে’

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (অভিনেত্রী)
ও পার বাংলা থেকে ১৯৪৯ সালে চলে আসি। তার পর থেকে আমার কর্মজীবন জড়িয়ে আছে এই শহর কলকাতা জুড়ে।
পুজো আসছে এটাই ভাল লাগে। শহর জুড়ে যে ভাবে ভিড় উপচে পড়ছে দিনে দিনে, আমি তো ভাবতেই পারি না প্রতিমা দেখতে যাওয়ার কথা। যখন ছোট ছিলাম তখন উত্তর কলকাতার ঠাকুর দেখতে যেতাম। এখন আমার বাড়ির খুব কাছেই সুরুচি সঙ্ঘের পুজো হয়। গত বছর দশমীর দু’দিন পরে সেই ঠাকুর দেখেছি। ছাদে দাঁড়িয়ে পুজোর ভিড় দেখতে দেখতে দিন কেটে যায়। বাড়ির যে নিত্য পুজো হয়, সেখানে দুর্গা প্রতিমার ছবি আছে, সেখানেই পুজো দিই।
এখন চারধারের পরিবেশ বদলে গেছে। তবে একেবারেই কোথাও বেরোই না, তা নয়। কোনও সংস্থা উদ্বোধনের জন্য নিয়ে গেলে যাই এবং অবশ্যই বেশ নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে প্রতিমা দর্শন হয়ে যায়। জামাকাপড় কিনি এবং মহালয়ার আগেই তা নির্দিষ্ট জনেদের দিয়ে দিই। আমিও নানা উপহার পাই। বাঙালি তো, তাই দূর থেকে পুজোর গন্ধ উপভোগ করি।

শুভেচ্ছাবার্তা: শারদ শুভেচ্ছা জানাই সকলকে। সবাই ভাল থাকুন।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (সুরকার)
উত্তর কলকাতায় জন্ম। যে কোনও উৎসবের মেজাজ তাই শিরায় শিরায়। আর কলকাতা তো নিজের শহর, দুর্গাপুজোয় তাকে ছেড়ে অন্য কোনও জায়গার কথা ভাবতেও পারি না। পুজোর পাঁচ দিন গাড়ি বুক করে সন্ধে থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত ঠাকুর দেখি। সাংস্কৃতিক তাগিদ থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরি। কোন মণ্ডপে কি গান বাজছে সেটা শোনার ইচ্ছে হয়। তা ছাড়া প্রতিমা নির্মাণের দিকটাও দেখি। ঐতিহ্যবাহী না অত্যাধুনিকতা— শিল্পীদের তাগিদ কোন দিকে সেটা দেখি। প্রতিমা দেখার আনন্দ এতটুকু কমেনি। একটি জামা, ইলাস্টিকের একটি ইজের ও ক্যাম্বিসের জুতো পরে চার দিন হইহই করে কাটিয়েছি— এখনও সেই একই আনন্দ উপভোগ করি! ঢাকের আওয়াজ আর মনের আনন্দ এক সঙ্গে চলে।

শুভেচ্ছাবার্তা: সারা পৃথিবী জুড়ে মানবাত্মা কাঁপছে, এর প্রেমপূর্ণ সুরাহা চাই।

অরবিন্দ গুহ (ইন্দ্রমিত্র) (লেখক)
প্রায় ষাট বছর আগে বরিশাল থেকে কলকাতায় এসেছি, এখনও কলকাতাতেই আছি। আশা করি এখান থেকেই যথাস্থানে যেতে পারব।
কলকাতায় এসে আজ পর্যন্ত কোথাও পুজো দেখতে গিয়েছি বলে মনে পড়ে না। সব সময়ই মনে হয় এই ভিড়ে টাল সামলাতে পারব না। প্রত্যেক বার ভাবি এ বার থাক, পরের বার যাব। পুজোর সময় রাস্তায় যেতে আসতে দু’একটা প্রতিমা চোখে পড়ে, দূর থেকে নমস্কার করি। হে মা দুগ্গা, তোমার মূর্তি যত বার দেখি তত বারই মনে হয় তুমি প্রত্যেক বারই বদলাও। তত বারই আরও বেশি করে আগের মতো হয়ে যাও।
আর মনে পড়ে এই পুজোর আগের সময় ও পার বাংলায়। সকালবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে একটা শিউলি গাছের ডাল ধরে দাঁড়াতাম। ঝুর ঝুর করে অজস্র শিউলি নীচের ঘাস ভরিয়ে দিত। এখনও সেই শিউলি পড়ার দৃশ্য আর শব্দ দেখি আর শুনি।

শুভেচ্ছাবার্তা: সর্বজনের হিতকামনায় পুরনো বচন স্মরণ করি— কালে বর্ষতু পর্জ্জনং/লোকাঃ সন্তু নিরাময়াঃ

যোগেশ দত্ত (মুকাভিনয়)
আনন্দময়ীর আগমনে আনন্দ গিয়াছে দেশ ছেয়ে/হেরি তাই ধনীর দুয়ারে দাঁড়ায়ে কাঙালিনী মেয়ে/বাজিতেছে উৎসবের বাঁশি/কানে তাই পৌঁছিছে আসি— সেই দৃশ্য আজও আমার কাছে বর্তমান। উৎসব তখনই সার্থক যখন ধনী, দরিদ্র ‘এক আত্মা’ হয়ে যায়। কিন্তু আজ ৮১ বছর বয়সে আমি তা খুঁজে পেলাম না।
মা তোমার এ কি খেলা
চারিদিকে আনন্দমেলা
কিন্তু নিরানন্দে রয়েছে দীনদুঃখীর ছোটবেলা।
তাই মনে হয় উৎসবকে সার্থক রূপ দিতে এখনও অনেক দিন বাকি। আমাদের সময় বাবা-মা জামাকাপড় কিনে দিতেন। আমরা আনন্দ করেই চার দিন তা পরতাম। নিজেদের পছন্দ বলে কিছু ছিল না। রাত জেগে হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখতাম। শহরের কোনও হোটেলে একটা ভেজিটেবল চপ খেলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম। তবে দুর্গাপুজোর একটা খাবার এখনও অটুট। তা হল মণ্ডপের পাশে ফুচকা।
দুর্গাপুজো এখন প্রতিযোগিতায় চলে গিয়েছে। নিজেকে শ্রেষ্ঠ উৎসবে উৎসর্গ করার তাগিদও নেই। এখন কে সেরা হবে তাই নিয়ে চলছে অপরিসীম পরিশ্রম। মহালয়া থেকেই পুজোর আনন্দে পেটের মধ্যে ঢাক গুড়গুড় করতে থাকে। পুজোর রেকর্ড, পুজোসংখ্যার উদ্দীপনা ছিল আলাদা। এখন সারা বছর ধরেই এ সব প্রকাশিত হতে থাকে। তাই নতুন করে আর আনন্দ থাকে না। তবে আমি খুব আশাবাদী। যখন মহালয়ায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনি আর অসংখ্য মানুষ গঙ্গায় যান তর্পণ করতে, তখন মনে হয় অতীতকে এখনও ভুলিনি।

শুভেচ্ছাবার্তা: পৃথিবী হোক একটা দেশ, মানুষ হোক একটা জাত, পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাক রক্তপাত।

মমতা শঙ্কর (নৃত্যশিল্পী)
আমার জন্ম কলকাতায়। ছোটবেলা থেকে বাবা-মায়ের ট্রুপের সঙ্গে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছি। তাই দেশে যখন যেখানে থেকেছি তখন সেখানকার দুর্গাপুজোয় আনন্দ করেছি। কিন্তু যখন কলকাতায় থেকেছি তখন পুজোতে আনন্দ করেছি আরও বেশি। কলকাতার রাস্তাঘাটে তখন এত ভিড় ছিল না। ফলে মণ্ডপও থাকত ফাঁকা। আমার মনে পড়ছে রানি রাসমণির বাড়ির পুজো, হাটখোলা দত্তবাড়ির পুজো, ফায়ার ব্রিগেড, বাগবাজার সর্বজনীন-এর প্রতিমার মুখ। বছর দুই আগেও যখন বাগবাজারের ঠাকুর দেখতে গিয়েছি তখন প্রতিমার সেই একই রকম ঐতিহ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সেই দীর্ঘ ধারাবাহিকতার পথ ধরে ছোটবেলায় পৌঁছে যেতাম। অনেক পরে এসেছে সঙ্ঘমিত্র, ম্যাডক স্কোয়্যার।
বাবার একটা বড় গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতে মামাতো, মাসতুতো ভাইবোনেরা, মা-মামা-মাসিরা মিলে গভীর রাতে ঠাকুর দেখতে যেতাম। ফাঁকা মণ্ডপে সেই ঠাকুর দেখার মজাটাই আলাদা। এক বার পুজোর আগেই মায়ের অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হয়েছিল। সে বছরও কিন্তু আমরা ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। বাবার জনপ্রিয়তায় প্রায় প্রতি মণ্ডপের কর্তারা অনুমতি দিয়েছিলেন গাড়ি প্রতিমার কাছে পৌঁছানোর। সেটা ফাঁকা কলকাতা বলেই সম্ভব হয়েছিল। এই স্মৃতি, এই সব মানুষের ভালবাসা আজও ভুলতে পারি না।
এখন ভিড়ের জন্য বের হই না। টেলিভিশনে যতটুকু দেখা যায়, দেখি। উৎসবের আনন্দ আছে ঠিকই, কিন্তু একটা কষ্ট থেকেই যায়। কোথায় যেন পুজো ভক্তি থেকে সরে গিয়েছে। হাজার হোক বাঙালি তো! পাশাপাশি অবাঙালিরা তাদের পুজো ভক্তি ও আনন্দের সঙ্গে করে। সেখানে আমাদের পুজোয় ভক্তি ও মার্জিত রুচির অভাব মনকে বড় কষ্ট দেয়। টিভির জন্য পুজো অনেক হাল্কা হয়ে গিয়েছে। পুজো ঘিরে নানা প্রতিযোগিতা উৎসবের আলোকে ম্লান করে দিচ্ছে। পুজোমণ্ডপে সুন্দর মুখ খোঁজা, সুন্দরী প্রতিযোগিতা এগুলো কি না করলেই নয়?

শুভেচ্ছাবার্তা: প্রত্যেকের মনে ভালবাসা এবং শান্তি উপচে পড়ুক।

সুধীন সরকার
(সঙ্গীতশিল্পী)
বাড়িতে নতুন জুতো, নতুন জামা এসে যেত অনেক আগেই। উত্তেজনায় ঘুম আসত না চোখে। কবে পরব, ঠাকুর দেখতে বেরোবো!
ও পার বাংলা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে বাবার হাত ধরে সেই কোন ছোটবেলায় বেলেঘাটায় চলে এসেছিলাম। এ শহরের প্রথম দুর্গাপুজো কেটেছিল ওখানেই। বাবা মায়ের হাত ধরে প্রথম অঞ্জলি দেওয়ার সেই দিন আজও ভুলিনি। অষ্টমীর দিন সকালে অঞ্জলি দিয়ে বেরোচ্ছি। কি বৃষ্টি! নতুন জুতোটা ভিজে গেল। ওই দুঃখে কাঁদতে বসে গেলাম। পরে অবশ্য বাবা বুঝিয়েছিলেন, জুতো ভিজবে, আবার শুকিয়েও যাবে।
সেই থেকে পুজো এলেই আমার মনে ছোটবেলার নানা কথা ঘুরপাক খায়। আবার খারাপও লাগে। এত ভিড়, এত মানুষ! তবুও এক শ্রেণির মানুষ ফুটপাতে থাকে। যাদের কাছে পুজোর কোনও আলাদা গুরুত্ব নেই।
পুজোর ক’দিন আমি শুধু গান শুনি। কোথাও বেরোই না। আমারই গানগুলি আবারও শুনি— নতুন করে।

শুভেচ্ছাবার্তা: সবার পুজো কাটুক আনন্দে, গান শুনে।
 
• গীতাঞ্জলি বিশ্বাস
• দেবশ্রী চক্রবর্তী দুবে
শুভশ্রী নন্দী
ত্রিভুবনজিৎ মুখোপাধ্যায়
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়
ঝর্না বিশ্বাস
দীপাঞ্জনা ঘোষ ভট্টাচার্য
মধুমিতা দে
রূপা মণ্ডল
ভাস্করণ সরকার
 

 

সাক্ষাত্কার: পাপিয়া মিত্র ও বিপ্লবকুমার ঘোষ।
   
 

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player

 
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.