সবে গ্রীষ্ম শেষ হয়েছে, মেঘ ও রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা চলছে সারা আকাশ জুড়ে। হাওয়ার দোলায় উইন্ডমিলগুলো যেন নেচে উঠেছে আনন্দে। শুরু হয়েছে পাতা ঝরার দিন অর্থাৎ শরত্কাল, ডাচ ভাষায় যাকে বলে 'হারভেস্ট'। আর এই ঝরা পাতাই যেন নীলকন্ঠ পাখির মতন শারদোত্সব এর বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে নেদারল্যান্ডসের বাঙালিদের মনের আঙ্গিনায়। দিগন্ত প্রসারী সবুজের মাঝে কাশফুলের দেখা মেলে না বটে, কিন্তু এখানকার বাঙালিদের ঘ্রানে এখন শিউলিফুলের আবেশ, মনে ঢাকের আওয়াজ এর আনাগোনা |
পুজোর শুরু
২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথম দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
পুজোর বৈশিষ্ট্য
কলকাতা থেকে শিল্পী প্রশান্ত পালের তৈরি ফাইবার গ্লাসের প্রতিমা।
ভোগ বিশেষত্ব
আচার মেনে ভোগ রান্না করা হয়। স্থানীয় বাঙালিদের আন্তরিক সহযোগিতায় প্রতিদিনের ভোগের আয়োজনে থাকে ভাত, পোলাও, খিচুড়ির
সঙ্গে পাঁচ রকমের ভাজা দিয়ে শুরু করে দধিকর্মার আয়োজনও সম্পূর্ণ থাকে।
পুজোর আকর্ষণ
বয়সে নবীন হলে কি হবে, আড়ম্বর বা উত্সাহে কোনও অংশে কম নয়। সঙ্গে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর বিপুল সম্ভার— নাচ, গান, নাটক দিয়ে সাজানো প্রতিদিনের অনুষ্ঠানের পসরা। সমগ্র অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকে কাঠি পড়ার।