ফিনল্যান্ড |
পাতাঝরার আমন্ত্রণে দুর্গাপুজো |
শারদীয় উৎসব ঘিরে বাংলায় যখন সাজো সাজো রব, বহু উত্তরের দেশ এই ফিনল্যান্ডে তখন পাতাঝরার কাল। এখানে কাশফুল বা ঝরা শিউলির শারদীয় আমন্ত্রণ না পৌঁছলেও প্রবাসী মানুষগুলি অসীম উৎসাহে মেতে ওঠে দুর্গাপূজার আয়োজনে। |
|
পুজোর শুরু |
হেলসিঙ্কিতে পুজো শুরু হয়েছিল তেরো বছর আগে, ১৯৯৯ সালে। |
পুজোর বৈশিষ্ট্য |
তিথি নক্ষত্রের কঠিন অনুশাসন নয় প্রাণের টান এই পুজোর মূলমন্ত্র। তাই সকলেই যাতে পরিপূর্ণ ভাবে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সব সময় পুজো হয় সপ্তাহান্তে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিমা সজ্জা ও পুজো দিয়ে উৎসবের শুরু, সমাপ্তি রবিবার সন্ধ্যায় সিঁদুর খেলা ও বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ে।
কলকাতার কুমারটুলির শিল্পী নির্মিত সাবেকী একচালার প্রতিমায় পুজো হয়। মাটি আর শোলার তৈরি প্রতিমার অঙ্গে ডাকের সাজ।
|
ভোগ বিশেষত্ব |
পুজোর বিভিন্ন দিনগুলিতে প্রসাদ থাকে লুচি, ছোলার ডাল, খিচুড়ি, লাবড়া, পায়েস, মিষ্টি দই।
|
পুজোর আকর্ষণ |
পুজো উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় শিল্পীরা। প্রকাশিত হয় পত্রিকা ‘সৃজন’।
পুজোর প্রাণ এখানকার ঘরোয়া পরিবেশ। পারিবারিক পুজোর আনন্দ, আন্তরিকতা ও একাত্মতা খুঁজে পাওয়া যায় এই পুজোয়। নবাগতরা খুব সহজে একাত্ম হয়ে যায় পুজোর সঙ্গে। জাঁকজমকপূর্ণ পুজো দেখতে এবং প্যান্ডেল হপিংয়ে অভ্যস্ত চোখগুলি এখানে খুঁজে পায় দুর্গাপুজোর অন্য রকম মানে। এ যেন সত্যিই ‘হোম অ্যাওয়ে ফ্রম হোম’, এক বৃহত্তর পরিবারের দুর্গোৎসব। |
এ বারের পুজো |
এ বছরের নির্ঘন্ট |
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ |
সন্ধ্যা ৬-০০ ঘটিকা প্রতিমা সজ্জা ও পূজা |
৯-০০ ঘটিকা প্রসাদ বিতরণ |
১ অক্টোবর ২০১১ |
সকাল ১১-০০ পূজা ও পুষ্পাঞ্জলি |
১-০০ প্রসাদ বিতরণ |
সন্ধ্যা ৬-০০ সন্ধ্যারতি |
৬-৩০ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান |
২অক্টোবর ২০১১ |
সকাল ১১-০০ পূজা ও পুষ্পাঞ্জলি |
১-০০ প্রসাদ বিতরণ |
সন্ধ্যা ৫-০০ সিঁদুর খেলা ও বিজয়া |
|
|
উদ্যোক্তা |
ই-মেল: finben@finben.org
ওয়েবসাইট: http://www.finben.org/ |
তথ্য: সোমদত্তা দেব,
পামারস্টোন নর্থ |