উল্টোডাঙার উড়ালপুল ভেঙে খালে, আহত ৩
|
|
অশোক সেনগুপ্ত ও আর্যভট্ট খান: অন্ধকার তখনও ভাল করে কাটেনি। রবিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গেল উল্টোডাঙার শ্রীকৃষ্ণ কলোনি ও আশপাশের বাসিন্দাদের। আওয়াজ যেখান থেকে এসেছে, সেখানে গিয়ে আতঙ্কে, বিস্ময়ে চোখ কপালে উঠল তাঁদের। দেখলেন, আক্ষরিক অর্থেই জলে চলে গিয়েছে দু’বছর আগে তৈরি ঝাঁ চকচকে নতুন উড়ালপুল! নিছক চাঙড় খসা কিংবা এক পাশের গার্ড ওয়াল ভেঙে পড়া নয়। |
|
কাস্তের মতো
বাঁকটাই বিপজ্জনক
প্রবীরকুমার দে: উল্টোডাঙা উড়ালপুল যেখানে ভেঙেছে, ওখানে বাঁকটা অনেকটা কাস্তের মতো।
ফলে সেতুর ভারসাম্য যে সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিলই। এখন মনে হচ্ছে,
ওই ভারসাম্য ক্ষুণ্ণ হওয়ার ফলেই অঘটনটা ঘটে গেল। রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেতুটিকে যেটুকু
দেখার সুযোগ হয়েছে, তার ভিত্তিতেই আমার এই অনুমান। সেতুর নকশা নিজের চোখে দেখার সুযোগ
হয়নি। এখনও প্রশাসনের উদ্ধারকাজ চলছে, তাই দুর্ঘটনাস্থলের আঁতিপাতি খুঁটিয়ে দেখাও সম্ভব ছিল না। |
|
পা কাঁপছে, প্রাণপণে ডাল নাড়াচ্ছিলেন ওঁরা |
সুনন্দ ঘোষ: দু’হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছিল মৃত্যু! তার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন চার যুবক। কাকভোরের শহরে সাক্ষাৎ মৃত্যুর সামনে তাঁরাই তুলে দিলেন প্রাচীর। উল্টোডাঙার উড়ালপুলের উপর দিয়ে ওয়াগন-আর চালিয়ে দিব্যি আসছিলেন ওঁরা চার জন। পালান ঘড়ুই, অসিত দাস, সজল চট্টোপাধ্যায়, অমিত সরকার। স্টিয়ারিংয়ে অসিত। গাড়ির কাচ তোলা। হাল্কা হিন্দি গানের কলি বাজছিল স্টিরিওতে। রবিবারের ভোর বেশ ভালই উপভোগ করছিলেন ওঁরা। হঠাৎই জোরে ব্রেক কষলেন অসিত।
|
|
|
|
|
নির্মাণ-রক্ষণাবেক্ষণে দায়সারা সরকারি সংস্থা কেন, থাকছে প্রশ্ন |
|
|
ফের যানজটে ফাঁসবে
ভিআইপি, আশঙ্কা |
|
খসে পড়া সেতু
দেখে হতবাক পাড়া |
|
|
|
সব উড়ালপুলের
হাল দেখার পরামর্শ |
|
|
|
টুকরো খবর |
|
|
|
|