নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েছিলেন আগেই। কনস্টেবল তারক দাসকে আবার সেখানেই জামিন নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গেই বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি সুবল বৈদ্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, পাটুলি এবং সংলগ্ন আরও ছ’টি থানা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না কলকাতা পুলিশের ওই অভিযুক্ত কনস্টেবল। অর্থাৎ আপাতত নিজের বাড়িতেও ঢুকতে পারবেন
না তিনি। কারণ তাঁর বাড়ি পাটুলি
থানা এলাকাতেই।
সিপিএমের অফিস ভাঙচুর, সাংবাদিক-নিগ্রহ, খুনের চেষ্টা-সহ নানান অভিযোগ আছে তারকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আলিপুর আদালতে দু’হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। সেই জামিন খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এক ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই তাঁকে আবার জামিন নিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তারা বলেছে, এই নির্দেশের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ফের আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন নিতে হবে তারককে। বিচারপতিরা জানান, ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী কলকাতা পুলিশের অধীন পাটুলি, কসবা, যাদবপুর, পূর্ব যাদবপুর, রিজেন্ট পার্ক-সহ মোট সাতটি থানা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। সপ্তাহে তিন বার তাঁকে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে।
আবেদনকারীর আইনজীবী মণিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক-নিগ্রহ, অপহরণ, মারধর-সহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু শাসক দলের আশ্রিত হওয়ায় দীর্ঘদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও অসুস্থতার জন্য তিনি জামিন পেয়ে যান। তার পর থেকে পাটুলি এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় তিনি একই ভাবে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছিলেন।
পুলিশি সূত্রের খবর, গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি, শিল্প ধর্মঘটের দিন তারকের নেতৃত্বেই যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানে সিপিএমের অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই কনস্টেবল খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও মারধর করেন। পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই মামলায় তারক আলিপুর আদালত থেকে আগাম জামিন নেন। তার পরেও সিন্ডিকেট ব্যবসায় রেষারেষির জেরে দলেরই এক কর্মীকে তিনি মারধর করে বলে ওই কর্মী থানায় অভিযোগ করেন। সেই ঘটনায় পুলিশ তারকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে। তার কয়েক সপ্তাহ পরেই তারককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালত তাঁকে যে-জামিন দিয়েছিল, তারই বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
জানানো হয়েছিল। |