আপনার কলমে


বর্ণাঢ্য বালি
সৌমিত্র বিশ্বাস
(নয়াদিল্লি)
বালি— ঘন নীল সমুদ্রের মাঝে গাঢ় সবুজের ছায়া ঢাকা, উঁচু-নিচু পাহাড়ে ঘেরা আর হাসিখুশি মানুষের মেলা— সব মিলিয়ে মন ভাল করার এক মোক্ষম দাওয়াই। গিয়েছিলাম দিল্লি থেকে কুয়ালা লামপুর হয়ে ডেনপাসার— বালির রাজধানী শহর ও একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দিল্লি থেকে রাতে যাত্রা শুরু করে সকাল সাতটা নাগাদ কুয়ালা লামপুরে ঘণ্টা দুয়েকের স্টপ-ওভার। সেখান থেকে ডেনপাসার বিমানপথে প্রায় তিন ঘণ্টা। মালয়েশিয়া ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নীচে দেখা গেল জাভা সমুদ্রের বিশাল বিস্তৃতি। আমরা ক্রমাগত চলেছি দক্ষিণপূর্বে, বিষুবরেখা পার হয়ে দক্ষিণ গোলার্ধে বালির দিকে।

ইন্দোনেশিয়ার অঙ্গরাজ্য বালি, সে দেশের অগুনতি দ্বীপমালার একটি। বড় দ্বীপগুলির মধ্যে কালিমান্তান (বোর্নিওর অংশ), সুমাত্রা, পাপুয়া, জাভা ও সুলায়েসি। এদের তুলনায় বালি অনেক ছোট, দৈর্ঘ্যে পুব-পশ্চিমে ১৫০ কিলোমিটার আর প্রস্থে উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১০০ কিলোমিটার। জাভা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার পূর্বে প্রতিবেশী রাজ্য বালি। ইন্দোনেশিয়ার বাকি সব দ্বীপেই বাস করেন ইসলাম ধর্মের মানুষ। কিন্তু বালির প্রায় ৯০ শতাংশই হিন্দু। ভারতবর্ষ থেকে বালিতে হিন্দুধর্ম প্রচারিত হয় খ্রিস্টিয় প্রথম শতাব্দীতেই। ছোট রাজ্য হলেও ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতায় বালির অবদান অসামান্য। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এবং পরে ১৯৪৬ সালে দ্বীপবাসীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ঔপনিবেশিক ওলন্দাজদের বিরুদ্ধে। তার পরেই ১৯৪৯ সালে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীন হয়।

সোনালি সমুদ্র সৈকত, সমুদ্রে উইন্ড সার্ফিং, ঘন সবুজ বনানী, কারুকার্যময় মন্দির ও বিদেশিদের মনপসন্দ সি ফুড— পর্যটনের সব উপাদানই মজুত বালিতে। তার সঙ্গে কাঠ, ধাতু, সেরামিক, টেরাকোটা আর পাথরের কারুকাজ, বস্ত্র ও চর্মের হস্তশিল্প, পটুয়াদের আঁকা বালি দ্বীপে জীবনযাপনের নিপুণ চিত্রায়ন— ফিরতি পথে ব্যাগের ওজন বেড়ে যাওয়াই তো স্বাভাবিক! এতেও যদি স্বাদ না মেটে, পরম্পরাগত নাচ-গানের অনুষ্ঠান অতি খুঁতখুঁতে পর্যটকের মনও জয় করে নেবে। তাই সারা বছর ধরে অসংখ্য পর্যটকের আগমন বালিতে। যার ফলে বালির অর্থনীতি লাফিয়ে বাড়ছে গড়পড়তায় বার্ষিক ছয় শতাংশ হারে।

অবশেষে ‘অবতরণ করা হবে’ ঘোষণা হল আর আমাদের চোখে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপমালা। উড়ান আরও নীচে নামলে দেখা গেল বালির স্বর্ণ সৈকত আর ঘন সবুজের ছড়াছড়ি। ইন্দোনেশিয়ায় ভারতীয়দের বিশেষ খাতির করা হয়। মেলে ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’, তাই দেশ থেকে ভিসা নেওয়ার ঝক্কি নেই। মাথাপিছু ২৫ ডলার দিয়ে পাসপোর্টে ভিসার স্ট্যাম্প করিয়েই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলাম বিমানবন্দরের বাইরে। বেশ ভিড়ের মধ্যেই চোখে পড়ল আমাদের নাম লেখা এক প্ল্যাকার্ড। আলাপ হল প্ল্যাকার্ড-ধারক তথা বালিতে আমাদের সর্ব ক্ষণের গাইড মাউয়ির সঙ্গে। তার ইশারায় আমাদের চাঁপা ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানাতে হাজির হলেন দুই বালিনিজ কন্যা।

দিল্লি থেকে বিমানে বালি, সমুদ্রের ধারে রিসর্টে থাকার ব্যবস্থা, গাইড সমেত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে সাইটসিইং— সব ব্যবস্থাই ছিল আমাদের ট্যুর প্যাকেজে। রিসর্টটি ছিল কুটা-র সমুদ্রতীরে, বিমানবন্দর থেকে মিনিট পনেরোর দূরত্বে। বালিনিজ স্থাপত্যে তৈরি বিশাল প্রবেশদ্বার পেরোতেই সযত্নে লালিত হোটেল সংলগ্ন বাগিচায় কলা, নারকেল আর সুপারি গাছের সবুজ আভা, থোকা থোকা চাঁপা ফুলের সৌরভ— প্রথম দর্শনেই মন জয় করে নিল রিসর্ট। হোটেলের রিসেপশনে পাসপোর্ট দেখাতেই পাওয়া গেল ঘরের চাবি। বেশ প্রশস্ত ঘর, এক দিকে লম্বা লম্বা ফ্রেঞ্চ উইন্ডো ও তার সংলগ্ন বারান্দা। জানালা দিয়ে চোখে পড়ে হোটেলের কাছের এক মন্দির, বারান্দার কোণ থেকে ঘন গাছ-গাছালির ফাঁক দিয়ে উঁকি মারে সমুদ্র। ঘরের আসবাব, বিরাট কিং-সাইজ বিছানা, ওয়ার্ডরোব, বাথরুমের ফিটিংস, সবই পাঁচতারা হোটেলের মান অনুযায়ী। তাড়াতাড়ি স্নান সেরে বেরিয়ে পড়লাম কুটার রাস্তায়, মধ্যাহ্ন ভোজনের খোঁজে।

রিসর্টটি কার্ত্তিকা জালান বা কার্ত্তিক রোডের উপর। সে রাস্তা ধরে একটু এগোতেই চোখে পড়ল চাইনিজ এক রেস্তোরাঁ। বসে পড়লাম রাস্তার ধারে এক টেবিলে আর অর্ডার করলাম ‘ন্যুডল স্যুপ’। বেশ বড় বড় পাত্রে এল ন্যুডল স্যুপ, সঙ্গে প্রচুর চিকেন ও সব্জি— প্রচলিত নাম ‘লামিয়ান আয়াম জামুর’। ইন্টারনেটের দৌলতে জেনেছিলাম কুটার সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্তের মহিমার কথা। আমাদের হোটেলের ঠিক পিছনেই কুটা বিচ। হোটেলের লনের মধ্যে দিয়েই চলার পথ। লন ছাড়িয়ে দু’টি স্যুইমিং পুল যেখানে শিশুদের নিয়ে অনেক পর্যটকই পরিবার নিয়ে জলকেলিতে ব্যস্ত। বিচে পৌঁছে দেখি আকাশে মেঘ। মন গেল খারাপ হয়ে। সমুদ্রের ধারে প্রোমেনাডে অনেক লোকের আনাগোনা— জগিং, সাইক্লিং-এ ব্যস্ত সবাই। বিক্রি হচ্ছে বাটিকের কাজ করা স্থানীয় পোশাক, সমুদ্র থেকে তুলে আনা শাঁখ-ঝিনুক-কড়ির নানা সম্ভার।

হঠাৎই খেয়াল করলাম মেঘ সরে গেয়ে রক্তিম গোলাকৃতি সূর্যদেব ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছেন দিক চক্রবালের দিকে। সমুদ্রে ঠোঁট ছোঁয়ালেন সুয্যিমামা, আকাশে তখন লালিমার পরশ। পাখিদের তখন ঘরে ফেরা ব্যস্ততা। আর সেই সময় ডেনপাসার থেকে ‘টেক অফ’ করে সূর্যের দিকে ধেয়ে যাওয়া একটি বিমান— ছবি ধরে রাখল আমার ক্যামেরা।

ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট বাটুর
পর দিন আমাদের গন্তব্য কিন্তামনি, বাটুর লেকের ধারে এক ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট বাটুর দর্শনার্থে। কুটা থেকে কিন্তামনি প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ। পথে পড়বে আরও কিছু দ্রষ্টব্য স্থান। তাই সকাল ন’টায় গাড়ি নিয়ে হাজির মাউয়ি। কিন্তামনির পথে ডেনপাসার থেকে ৩৯ কিলোমিটার দূরে তাম্পাক সিরিং গ্রাম। গাড়ি থামানো হল ‘তির্তা এম্পুল’ (পবিত্র প্রস্রবণের মন্দির) দেখতে। মন্দিরের এক পাশে সবুজ পাহাড়। তার চত্বরে অনেকগুলি ছোট মন্দির, দীর্ঘ মহীরুহের দল, একটি বেশ বড় ও কয়েকটি ছোট ছোট জলাশয় যার উৎস পাহাড় থেকে বেরিয়ে আসা এক প্রস্রবণ। প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী সেখানে দেবরাজ ইন্দ্রের সঙ্গে দানবদের প্রবল যুদ্ধের পর তাঁর আহত, ক্লান্ত সৈন্যসামন্তদের পুনরুজ্জীবিত করতে দেবরাজ একটি বাণ নিক্ষেপ করায় মাটি থেকে সৃষ্টি হয় ওই প্রস্রবণের। তাই স্থানীয়দের কাছে তির্তা এম্পুল মন্দির সংলগ্ন জল অতি পবিত্র। অনেক দর্শনার্থীকেই দেখলাম শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রস্রবণের জল মাথায় ছোঁয়াতে। দেখা হল এক সদ্য বিবাহিত দম্পতির সঙ্গে। তাঁরা নতুন জীবনের প্রবেশদ্বারে মন্দিরে আশীর্বাদপ্রার্থী।

অনেক গ্রাম, মন্দির, ধানখেত, দোকানপাট ছাড়িয়ে, কল-কাকলিরত স্কুল ফিরতি বালিকার দল পিছনে ফেলে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলল কিন্তামনির দিকে। পথে পড়ল উবুদ— অনেকগুলি গ্রাম নিয়ে মধ্য বালির এক বিস্তৃত অঞ্চল। উবুদ নানাবিধ শিল্পকলা ও বালিনিজ নৃত্যগীতের কেন্দ্রস্থল। অধুনা অনেক পর্যটকের, বিশেষত ‘ব্যাক প্যাকার’-দের আস্তানা উবুদ। রাস্তার দু’ধারে দেখতে পেলাম বড় বড় আর্ট গ্যালারিতে আঁকা ছবি, কাঠ ও পাথরের ভাস্কর্যের সম্ভার, অসংখ্য বুটিক হোটেল, ইউরোপীয় খানার রেস্তোরাঁ ও কাফে। আমরা থামলাম তেগালালাং গ্রামে। ক্যামেরায় বন্দি করলাম পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ধান চাষের দৃশ্য।

তার পর ধীরে ধীরে বদলে গেল প্রকৃতি। ধানখেত ছেড়ে আমরা পৌঁছলাম পাহাড়ি গাছ-গাছালির জঙ্গলে। পাহাড়ি পথ ধরে আমাদের গাড়ি পৌঁছে গেল পেনেকোলান গ্রামে, প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায়। সেখান থেকে মাউন্ট বাটুর ও লেক বাটুর দৃশ্য অতি মনোরম। মাউন্ট বাটুর এক ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি, ১৮০০ সাল থেকে ২৪ বার তার ঘুম ভেঙেছে, অগ্ন্যুৎপাতে হয়েছে সে অশান্ত! শেষ অগ্ন্যুৎপাত হয় ১৯৭০ সালে। দেখতে পেলাম পাহাড়ের কোল বেয়ে অনেকটা জায়গা জুড়ে জমে যাওয়া লাভা। মাউন্ট বাটুরের পাদদেশে লেক বাটুর বালির সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক হ্রদ। এর জলেই সিঞ্চিত বালির বেশির ভাগ ধানখেত। পাহাড় ও লেকের শোভা আরও ভাল ভাবে আস্বাদনের জন্য একটি ছোট টিলার মাথায় এক রেস্তোরাঁয় গিয়ে বসলাম। সেখানেই সারলাম মধ্যাহ্ন ভোজন— স্যুপ, স্যালাড, ভাত, তিন রকম সব্জি, ফিশ ফ্রাই, চিকেন কারি, ৪-৫ রকমের ডেজার্ট, চা-কফি— সব মিলিয়ে বুফে লাঞ্চের এক এলাহি ব্যবস্থা।

ফেরার পথে উবুদের কাছে একটি গ্যালারিতে খুব পছন্দ হয়ে গেল অতিসূক্ষ্ম কাঠের কাজের এক বালিনিজ মুখোশ ও এক নর্তকীর মুখাবয়ব। একটু বেশির দিকে দর হেঁকে সুন্দরী সেলসগার্ল হাসিমুখে জানালেন, আমাদের পছন্দ হলে, সে দর কমাতে রাজি। বেশ কিছু ক্ষণ দর কষাকষির পর দুই-তৃতীয়াংশ দাম কমিয়ে আমার স্ত্রীর মুখে বিজয়ীনির হাসি। বালিনিজ কন্যাও খুশি মনে অতি যত্নে প্যাক করে দিলেন আমাদের স্যুভেনির!

পরবর্তী গন্তব্য ডেনপাসার থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরত্বে গোয়া গজ (হাতি গুহা) মন্দির। বেশ কিছু সিঁড়ি নেমে মন্দির চত্বর। তিনটি জলাশয় ও লম্বা লম্বা গাছে ঘেরা, চারপাশে সবুজের ছোঁয়া, এক দিকে কাঠ দিয়ে তৈরি সুন্দর কারুকার্যময় প্যাভিলিয়ন। আমাদের গাইড, মাউয়ি জানালেন, মন্দির প্রতিষ্ঠা স্মরণে দু’সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান চলে ওই প্যাভিলিয়নে। এর মধ্যেই পাহাড়ের গায়ে গুহার প্রবেশপথ। গুহাটি ইংরেজি
‘টি’ অক্ষরের মতো, যার এক প্রান্তে শিবলিঙ্গ, অপর প্রান্তে গণেশের প্রস্তর মূর্তি। হাজার হাজার বছর আগে বিপদসঙ্কুল সমুদ্র পেরিয়ে অজানা-অচেনা এই দেশে হিন্দু ধর্ম প্রচারে ব্রতী পূর্বসূরিদের কথা মনে করে আমাদের মাথা নত হল।
উলুওয়াটু মন্দির পুরা টানা লট মন্দির
পর দিন আমরা গিয়েছিলাম উলুওয়াটু মন্দির দেখতে। বালির একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে এই মন্দির ডেনপাসার থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। বালির দক্ষিণ তটরেখা পাহাড়ে ঘেরা, খাড়াই ক্যানিয়নের পাদদেশে নীল-সবুজ রঙ মেশানো ভারত মহাসাগরের আছড়ে পড়া ঢেউ— বড় মনমুগ্ধকর শোভা। এ হেন জায়গায় এক পাহাড়ের শীর্ষে একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত উলুওয়াটু মন্দির। ইন্টারনেটে পড়েছিলাম, এখানে বাঁদরের উপদ্রব হতে সাবধান। বাঁদরের দল চোখের নিমেষে হস্তগত করে চশমা-টুপি, ফেরত দেয় কলা বা বাদাম খাওয়ানোর ঘুষে! আমরা এ সব ছেড়ে এসেছি গাড়িতে। দেখি অনেক অসাবধানী পর্যটকই শিকার হলেন তার।

ফিরতি পথে জিম্বারন বিচে কিছু ক্ষণ কাটালাম। সমুদ্রতীরে সারি সারি রেস্তোরাঁ আর পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়— টাটকা মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া ও ঝিনুকের লোভে! আমরা অর্ডার করলাম ‘হোয়াইট স্ন্যাপার’। পরিবেশিত হল একটি আস্ত গ্রিলড ফিশ, সঙ্গে স্যুপ, অনেকটা ভাত আর সেদ্ধ সব্জি। ব্যাকগ্রাউন্ডে গিটার বাজিয়ে বালিনিজ সঙ্গীত পরিবেশকের দল। সূর্য তখন পাটে নেমেছেন, মেঘে লেগেছে রঙের ছটা। শেষ হল বালির আর এক বর্ণময় দিন!

আরও একটি সুন্দর মন্দির দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমাদের বালিতে— পুরা টানা লট, ভাষান্তরে সমুদ্রে ভাসমান মন্দির। ডেনপাসার থেকে ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে বালির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে হিন্দু জলদেবতা বরুণ বন্দনার মন্দির। তীর থেকে অল্প দূরে এক ছোট্ট দ্বীপে এই মন্দির। ভাঁটার সময় সমুদ্রের জল যায় সরে, হেঁটে পৌঁছনো যায় মন্দির চত্বরে। কিন্তু আমরা গিয়েছিলাম ভরা জোয়ারে, অতএব দূর থেকেই সারতে হয়েছিল মন্দির দর্শন!

বড় তাড়াতাড়িই যেন শেষ হল আমাদের বালি-ভ্রমণ। এ বার ঘরে ফেরার পালা। ভারাক্রান্ত মন, পিছুটানে পদক্ষেপ ধীর— বিদায় নয়, হয় যেন এক বিরতি, বিরতি শেষে ‘আবার আসিব ফিরে’!

কুটা বিচ... বিদায় বালি

এক কথায়: ইতিউতি উড়ে যাওয়া ঘন মেঘের দল আর সোনালি সূর্যের লুকোচুরি, নীচে অন্তহীন সমুদ্র।
পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ছেলেবেলা কেটেছে কলকাতা ও খড়্গপুরে। আইআইটি খড়্গপুর ও আইআইএম কলকাতায় শিক্ষালাভ। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকে কাজের সুবাদে এখন দিল্লিবাসী। লেখালেখির পাশাপাশি ছবি তোলাটাও বেশ পছন্দের।
ছবি: লেখক
লেখকের আরও ভ্রমণকথা
• ত্রাঙ্কেবার— হারানো উপনিবেশের খোঁজে
• ‘গেটওয়ে আর্চ’, প্রকৌশলীর অন্যতম সৃষ্টি
সুন্দরী সাইপ্রাস
• প্রাচ্যের ‘ফ্রেঞ্চ রিভেরা’

রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ